ইসলামিক ব্যাংকিং কী - ইসলামিক ব্যাংকিং এর সুবিধা

ইসলামিক ব্যাংকিং এর সুবিধা সম্পর্কে আমাদের অনেকের জানার আগ্রহ রয়েছে। ইসলামিক ব্যাংকিং যা ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে অর্থনৈতিক লেনদেন পরিচালিত হয়ে আসে। এটির মূল উদ্দেশ্য হলো সমাজে সুদের প্রভাব এড়ানো যা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখে।

ইসলামিক-ব্যাংকিং-কী-ইসলামিক-ব্যাংকিং-এর-সুবিধাইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনা মানুষের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশেষত মুসলিম দেশগুলোতে এর কার্যকারিতা এবং সুবিধা সম্পর্কে মানুষ সচেতন হয়ে উঠছে। এখানে ন্যায় বিচার ভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে।

পেজ সূচিপত্রঃইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা কি এর সুবিধা

ইসলামিক ব্যাংকিং কি

ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা হল এমন একটি ব্যাংকিং যা অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে ইসলামী শরিয়া আইন অনুযায়ী পরিচালিত হয়ে থাকে। ইসলামী শরিয়া এর মূলনীতি অনুযায়ী ব্যাংকিং ব্যবস্থায়ী অর্থনৈতিক লেনদেন এবং সেখান থেকে সুদ গ্রহণ বা প্রদান সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়ে থাকে। সুরিয়া মোতাবেক ইসলামী ব্যাংকগুলো প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থা সুদের পরিবর্তে মুনাফা ভিত্তিক বিনিয়োগ ব্যবসায়িক চুক্তি প্রদান এবং লাভ-ক্ষতির অংশীদারিত্বের মাধ্যমে তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে।

ইসলামী শরিয়া মোতাবেক ব্যাংকিং ব্যবস্থা এর ন্যায়বিচার সাম্যতা এবং সম্পদের ন্যায়বিচার ভিত্তিক বন্টন নিশ্চিত করে থাকে। এতে করে সমাজে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সাম্যতা আরো সুদৃঢ় করা হয়। কারণ হিসাবে এখানে ব্যবসা এবং প্রকল্পের বিনিয়োগের লাভের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত বন্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার ভিত্তিক একটি রাষ্ট্র গঠনে সহায়তার ভূমিকা পালন করে থাকে।

ইসলামিক ব্যাংকিং এর মূলনীতি ও শর্তাবলী

ইসলামী শরিয়া মোতাবেক এই ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় মূলত কিছু শর্ত এবং এর কিছু নীতিমালা রহিয়াছে জাহানারা এই ব্যবস্থাপনা পরিচালিত হয়ে আসছে।প্রধান নীতিগুলোর মধ্যে সুবিন্যস্ত আকারে আলোচনা করা গেল।

  • সুদ নিষিদ্ধঃ প্রচলিত ব্যাংক ব্যবস্থাই আমাদের দেশে সুদের হিসাব নিকাশ করা হয়ে থাকে। ইসলামের দৃষ্টি দিয়ে বিচার করলে সুদ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় যেকোনো ধরনের লেনদেনের ক্ষেত্রে সুদের ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে লাভ-ক্ষতির ভিত্তিতে এই ব্যবস্থাপনা পরিচালিত হয়
  • লাভ ক্ষতির ভাগাভাগিঃ ইসলামী শরিয়া মোতাবেক এই ব্যাংকিং ব্যবস্থার অনেকগুলি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে প্রধান বৈশিষ্ট্য হল লাভ এবং ক্ষতির ভাগাভাগি। এখানে বিনিয়োগকারীরাও ব্যবসার ঝুঁকির অংশীদার হয়ে থাকে। যেখানে লাভ এবং লোকসানের অংশীদারিত্ব থাকে সেখানে এই ব্যবস্থাপনা ব্যাংকিং ক্ষেত্রে ব্যবসার আওতাভুক্ত লাভ এবং ক্ষতি শরিয়া মোতাবেক প্রচলিত ব্যবসার আঙ্গিকে এ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে দেয়।
  • নৈতিক বিনিয়োগঃ এই বিনিয়োগে নৈতিকতার এবং সমাজ সমর্থন করে এমন ব্যবসার কথা উল্লেখ করা হয়ে থাকে। ইসলামিক শরিয়া ব্যাংকিংয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো সব বিনিয়োগ শরিয়া মোতাবেক হতে হবে। এখানে অনৈতিক বিনিয়োগের কোন সুযোগ নেই। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যেমন অ্যালকোহলের ব্যবসা যেটা ইসলাম সমর্থন করে না আবার সমাজে জোয়ার ব্যবসা এবং হারাম ব্যবসায়ী বিনিয়োগ করা থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদে রাখা সম্ভব।

ইসলামিক ব্যাংকিং এর সুবিধা

ইসলামিক ব্যাংকিং এর সুবিধা কি? ইসলামে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় গ্রাহকদের অনেক অনেক সুবিধা রয়েছে। এর প্রতিটি সুবিধা ইসলামিক নিয়ম-কানুন এবং শরীয়া মোতাবেক ইসলামী সমর্থনযোগ্য ও সামঞ্জস্যপূর্ণ।এই ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ন্যায় ভিত্তিতে সমাজ গঠন এবং ন্যায্য বিচারক পূর্ণ অর্থনৈতিক পরিবেশ তৈরিতে বিশেষভাবে সহায়তা প্রদান করে। নিচে কিছু সুবিধা গুলো গ্রাহকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

ইসলামিক-ব্যাংকিং-কী-ইসলামিক-ব্যাংকিং-এর-সুবিধা১. সুদ মুক্ত লেনদেনঃ ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ধর্মীয় দিক থেকে বিচার-বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এই ব্যাংকিং ব্যবস্থায়ী লেনদেন সম্পূর্ণ সুদ মুক্ত। এখানে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় সমাজে সুদের মাধ্যমে অর্থের অপ্রয়োজনীয় বৃদ্ধি হয় না যে ক্ষেত্রে অনেক সময় অর্থনৈতিক বৈষম্য সৃষ্টি করে।

ইসলামী ব্যাংকিং এ সাধারণত আমরা দেখে থাকি সুদের বিপরীতে লাভ এবং ক্ষতির অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে গ্রাহকদের লেনদেন হয় যা সবার জন্য হতে পারে মঙ্গল এবং শরিয়া মোতাবেক নয় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকিং ব্যবস্থা।

২. নৈতিক বিনিয়োগঃ ইসলামী ব্যাংকিং এ নৈতিক বিনিয়োগের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়ে থাকে সেখানে ব্যবসায়ী মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে হালাল হিসেবে বিবেচিত হয়। হারাম বা অনৈতিকতার কোন স্পর্শ এই লেনদেন ব্যবস্থায় নেই যেখানে বলা হয়ে থাকে জুয়া খেলাকে অনুৎসাহিত করা হয়। আবার অ্যালকোহল বা সুদের লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত।

কোন ব্যবসায়ী ইসলামিক ব্যাংক বিনিয়োগ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এই লেনদেনের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক একটি বিশুদ্ধ ও সুষ্ঠু অর্থনৈতিক সামাজিক পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। যেখানে থাকবে না কোন অনৈতিক ব্যবসা বা অনৈতিক কোন কর্মকান্ড।

৩. ঝুঁকি ভাগাভাগিঃ ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় গ্রাহকদের সুবিধা হল ঝুঁকি এবং লভ্যাংশের অংশীদারিত্ব নির্ণয় করা হয়ে থাকে। অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে শরিয়া ব্যাংক ও গ্রাহক ব্যবসায়িক ঝুঁকির অংশীদারিত্ব নির্ণয় করা হয়। এই কার্যক্রমের ফলে প্রকৃত ব্যবসায়িক তার অংশীদারিত্ব তৈরি করতে পারে এর মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হিসেবে কাজ করে থাকে।

৪. সামাজিক ও অর্থনৈতিক দায়িত্বঃ ইসলামী শরিয়া ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সমাজের আপামর মানুষের সামাজিক দায়বদ্ধতার উপর জোর দিয়ে এই ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রচলিত।। এটি শুধুমাত্র গ্রাহক লেনদেনের উপরি গুরুত্ব দেওয়া হয় না বরং সমাজের উন্নয়ন এবং কল্যাণে অংশীদারিত্ব হিসাবে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

আমাদের দেশে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক যাকাত ও দানশীলতার উপর ইসলামিক গুরুত্ব অনেক বেশি সেই ক্ষেত্রে যাকাত এবং দানশীলতা প্রণোদিত করে যা সমাজের বিশাল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সহায়তায় এগিয়ে আসে। এতে করে আপনার ধর্মীয় অনুশাসন এবং সামাজিক চিন্তা চেতনা ধর্মীয় দিকে প্রবাহিত করে।

৫. ব্যবসা এবং উৎপাদনশীলতায় সহায়তাঃ ইসলামিক ব্যাংকিং এর সুবিধা হলো ধর্মীয় অনুশাসন দ্বারা পরিচালিত হয় এর জন্য সুবিধা হল এটি ব্যবসা এবং উৎপাদনশীলতার উপর গুরুত্ব আরোপ করে। খুদের উপর গুরুত্ব আরোপ না করে তার পরিবর্তে লাভ ভিত্তিক বিনিয়োগের মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্যোক্তা এবং ব্যবসা সৃষ্টি করে উদ্যোক্তার বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করে থাকে।

আরো পড়ুনঃ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

ইসলামিক ব্যাংকিং বনাম প্রচলিত ব্যাংকিং

ব্যাংকিং ব্যবস্থার কার্যক্রমের ভিত্তিতে এবং ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থা এবং ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণ পার্থক্য বিদ্যমান। পার্থক্যের দিক থেকে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় আমাদের দেশে প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থায়ী সুদ ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। তবে ইসলামিক ব্যাংকিং এর সুবিধা কিছু রয়েছে।

যেখানে গ্রাহকদের ঋণ প্রদানের বিপরীতে সুদ এর কার্যক্রম নিবিড় ভাবে জড়িত। অপরদিকে ইসলামিক শরিয়া ব্যাংক গ্রাহকদের সুদ মুক্ত লেনদেন নিশ্চিত করে থাকে । এখানে বিচার-বিশ্লেষণ করলে ইসলামী ব্যাংক মুনাফা ভিত্তিক বিনিয়োগের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে। প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থায়ী মূলত ব্যক্তিগত মুনাফার দিকে লক্ষ্য রেখে কার্যক্রম পরিচালিত করে।

অপরদিকে যেখানে ইসলামী শরিয়া ব্যাংকিং একটি নৈতিকতা ভিত্তিক ব্যাংক এবং ন্যায়বিচার পণ্য অর্থনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে সমাজে কাজ করে থাকে। বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় এটি সব ধরনের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সামাজিক কল্যাণ যা সমাজের জন্য মঙ্গল কর এবং দায়িত্ববোধ বজায় রাখে।

ইসলামী ব্যাংকিং এর চ্যালেঞ্জ ও সমাধান

ব্যাংকিং ব্যবস্থাই শরীয়া ভিত্তিক ইসলামিক ব্যাংকিং এর সুবিধা যতই ভালো হোক না কেন ব্যাংকিং ব্যবস্থায়ী এর কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে শরিয়া ভিত্তিক ইসলামী ব্যাংক এর অন্যতম চ্যালেঞ্জ অর্থনীতিতে সুদ মুক্ত ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করার যথেষ্ট সমস্যা রয়েছে। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখনো সরিয়াভিত্তিক ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থাপনার প্রতি মানুষের আস্থা সম্পূর্ণভাবে তৈরি করা সম্ভব হয়ে ওঠে নাই।

তবে পর্যায়ক্রমে আস্থাভাজনের উপর ভিত্তি করে সমস্যাগুলোর সমাধান করাও সম্ভব বলে আমরা মনে করি। ইসলামী শরিয়া ব্যাংকের ব্যাংকিং ব্যবস্থার সুবিধা ও কার্যকারিতা সম্পর্কে সাধারণ জনগণে সচেতনতা বৃদ্ধি করা সরকারি সমর্থন পুষ্ট ব্যবসায়িক লেনদেন তৈরি করা এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এই ব্যবস্থাপনার আরো অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সরকারকে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

ইসলামিক ব্যাংকিং এর ভবিষ্যৎ

আমাদের দেশে শরিয়া ভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ আশা ব্যঞ্জন এবং অত্যন্ত উজ্জ্বল বলে আমরা মনে করি। পর্যায়ক্রমে দিনের পরে দিন বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং ব্যবস্থার চাহিদা বাড়ছে। বিশ্বের অনেক বড় বড় অর্থনৈতিক শক্তি ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনারকে সমর্থন করে এই ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে এবং স্বীকৃতি প্রদান করেছে।

ইসলামিক-ব্যাংকিং-কী-ইসলামিক-ব্যাংকিং-এর-সুবিধাএখানে লক্ষ্যণয় অনেক অমুসলিম দেশেও এই ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রতি পর্যায়ক্রমে আগ্রহ বাড়ছে যা মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এখানে লক্ষ্যণীয় ইসলামিক শরিয়া ব্যাংকের সুবিধা যেহেতু উদ্মুক্ত ও ন্যায়বিচার পূর্ণ সামাজিক মূল্যবোধেরকে জাগ্রত করে মানুষের মধ্যে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে।

ব্যবসায়িক উদ্যোগে সরাসরি বিনিয়োগ এবং ঝুঁকি ভাগাভাগি করে এ ব্যবস্থাকে আরো অধিক কার্যকর ও দীর্ঘমেয়াদীর সফলতায় অনেকটাই এগিয়ে নিতে পারে। এক্ষেত্রে ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ যথেষ্ট আশা ব্যাংক বলে পতীয়মান হয়। ইসলামিক ব্যাংকিং এর সুবিধা থাকার জন্য এর ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল।

ইসলামী ব্যাংকিং নিয়ে আমাদের শেষ কথা

ইসলাম সুরিয়া ব্যাংকিং ব্যবস্থা একটি যুগোপযোগী আধুনিক ও ন্যায়বিচার পূর্ণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যা সামাজিক কল্যাণ ও রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্স্থিতিশীলতার দিকে লক্ষ্য রেখে এই ব্যাংকিং ব্যবস্থাটি পরিচালিত হয়ে আসছে। এই ব্যাংকিং ব্যবস্থা সর্বাধিক সুবিধা হল এটি সুদ মুক্ত লেনদেন যা সামাজিক অর্থনৈতিক এবং দুর্নীতিমক্ত সমাজ গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।

অধিকতর বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এটি নৈতিক বিনিয়োগ ও ঝুঁকি ভাগাভাগির মাধ্যমে একটি সুস্থ অর্থনৈতিক পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব। পৃথিবীব্যাপী ইসলামিক শরিয়া ব্যাংকিং এর গ্রহণযোগ্যতা পর্যায়ক্রমে বেড়েই চলেছে। এর সুবিধা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির সাথে সাথে সমাজের কল্যাণকর অত্যন্ত উজ্জ্বল বলে প্রতি প্রমাণ হয়।

যেখানে অর্থনৈতিক স্বয়ংবরতা ও ন্যায়বিচার ও সামাজিক কল্যাণে বিশ্বাস অর্জনে ইসলামী শরিয়া ব্যাংকিং একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থাপনা হিসাবে যথেষ্ট স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য বলে আমি মনে করি। তাহলে এবার বুঝলেন ইসলামিক ব্যাংকিং এর সুবিধা কি!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পেন এন্ড পেপার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url