কিভাবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন পাওয়া যায়?

বাংলাদেশে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে কিভাবে লোন পেতে পারেন ? প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক একটি আদর্শ ব্যাংকিং ব্যবস্থা যেখান থেকে প্রবাসীদের জন্য একটি অর্থনৈতিক সহায়তা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এর মধ্যেই খ্যাতি অর্জন করেছে।

কিভাবে-প্রবাসী-কল্যাণ-ব্যাংক-থেকে-লোন-পাওয়া-যায়আপনি যদি একজন প্রবাসী হয়ে থাকেন অথবা প্রবাস ফেরত হয়ে থাকেন তবে আপনি অতি সহজে অনলাইনের মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে কিভাবে লোন পেতে পারেন তার বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

পেজ সূচিপত্রঃ কিভাবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন পেতে পারেন

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কি

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বাংলাদেশ সরকারের তফসিলি ব্যাংকগুলোর মধ্যে অন্যতম ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। বেঙ্গলি বাংলাদেশের প্রবাসী কর্মীদের লাভজন ক আর্থিক সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে গঠিত হয়েছে। এই ব্যাংকটি প্রবাসীদের বিভিন্ন ধরনের লোনের সহায়তার জন্য ঋণদান প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

বিভিন্ন ঋণ প্রদানের মধ্যে বিদেশে চাকুরীর জন্য ঋণ প্রদান করে থাকেন।আবার বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসা শ্রমিকদের দেশে ফিরে এসে তাদের কর্মসংস্থানের জন্য পুনর্বাসন ঋণ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য করে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য পুঁজি গঠনে ঋণ প্রদান করে থাকেন। এই ব্যাংকটি প্রবাসীদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা যাতে প্রবাসীরা দেশে ফিরে এসে আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারে।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোনের ধরন

বাংলাদেশে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসী বসবাসকারী অথবা প্রবাসীরা দেশে ফিরে এসে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে অথবা নিজে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন পেতে পারেন। কি কি কাজের জন্য লোন পেতে পারেন তার নিম্নে ব্যাখ্যা করা হলো।

  1. পুনর্বাসন লোনঃ প্রবাসীরা বিদেশে দীর্ঘদিন কাজ করে থাকেন। চুক্তি শেষ হয়ে গেলে অনেক সময় তারা দেশে ফিরে আসেন। কেউ কেউ আবার বিদেশে চুক্তিভিত্তিক চলে যায় আবার কেউ কেউ বিদেশ যেতে চাই না। তারা দেশের মাটিতে কাজ করে থাকেন। যখন তারা দেশে ফিরে আসেন তখন তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য তারা লোন গ্রহণ করতে পারেন। তবে তাদের কর্মসংস্থানের জন্য সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন প্রদান করা হয়ে থাকে।
  2. ব্যবসা লোনঃ প্রবাসীরা দেশে ফিরে কর্মসংস্থানের জন্য অনেকে ব্যবসা-বাণিজ্য করে থাকেন। কর্মসংস্থান ব্যাংক এ সকল দেশে ফেরত প্রবাসীদেরকে ব্যবসা করার জন্য লোন প্রদান করে থাকেন। তবে এ লোন তাদের জন্য সুবিধা জনক হয়ে থাকে।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন পাওয়ার যোগ্যতা

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে প্রবাসী বা দেশে ফেরত প্রবাসীদের লোন পেতে বেশ কিছুটা নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হয়। সে যোগ্যতাগুলো কি কি চলুন আপনাদের বিস্তারিত জানিয়ে দেই,

  1. বাংলাদেশী নাগরিকত্বঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন পেতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিকত্ব হতে হবে।
  2. বৈধ প্রবাসী পরিচয় পত্রঃ প্রাপ্তিকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন পেতে হলে তার বৈধ প্রবাসী পরিচয় পত্র থাকতে হবে।
  3. আয়ের প্রমাণ পত্রঃ প্রার্থীকে নিয়মিত বৈধ আয়ের প্রমাণপত্র থাকতে হবে। অথবা ব্যাংক হিসাবে ব্যাংক স্টেটমেন্ট অথবা বৈধ বেতন স্লিপ থাকতে হবে।

কোন কোন ব্যক্তি এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন

যেকোনো বাংলাদেশী সে বৈধ প্রবাসী বিদেশে থাকেন অথবা দেশে ফিরে এসেছেন তারাই উপরে উল্লেখিত তথ্যাদি পূরণ সাপেক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য অথবা উদ্যোক্তা হিসাবে প্রতিষ্ঠার জন্য লোন আবেদন করতে পারবেন।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোনের আবেদন প্রক্রিয়া

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোনের জন্য আপনি অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। অনলাইনে আবেদন করতে হলে এই ধাপগুলো অনুসরণ করে আবেদন করতে পারেন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে আবেদন করতে হলে নিম্নের ধাপ গুলো অনুসরণ করে আবেদন করতে হবে।

  1. ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুনঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে লোনের জন্য আবেদন করতে হলে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
  2. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা দিনঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের চাহিদা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলি স্ক্যান করে অনলাইনে জমা দিন।
  3. আবেদন ফি পরিশোধ করুনঃ অনেক সময় আবেদনের জন্য আবেদন ফি প্রয়োজন হয়ে থাকে। আবেদনের জন্য যদি ফি লেগে থাকে তবে তা পূরণ করে আবেদন করুন।
  4. আবেদন জমা দিনঃ আবেদন করার সময় সকল তথ্য সঠিক কিনা তা যাচাই করে নিন। যাচাইয়ের পর আবেদনপত্র সাবমিট করুন। মনে রাখবেন আবেদন সাবমিট করার পর আপনি একটি কনফারমেশন লেটার পাবেন।

সরাসরি প্রবাসী করলেন ব্যাংকে গিয়ে আবেদন করার পদ্ধতি,

আপনি যদি সরাসরি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে গিয়ে আবেদন করতে ইচ্ছা পোষণ করেন তবে এই ধাপগুলো আপনার জন্য।

  1. নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখাই যান।
  2. লোনের জন্য আবেদন ফরম সংগ্রহ করুন ।
  3. ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করুন এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস যুক্ত করুন।
  4. ফরমটি ব্যাংক লোন কর্মকর্তার কাছে জমা দিন।
  5. আবেদন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি সম্পর্কে ব্যাংক থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

প্রবাসীরা প্রবাসে থাকাকালীন অথবা দেশে প্রত্যাবর্তনের সময় নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্য বা উদ্যোক্তা হিসেবে বিভিন্ন সময় অর্থের প্রয়োজন হয়ে থাকে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসীদের চাহিদা মোতাবেক সর্বোচ্চ পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন প্রদান করে থাকে। মন গ্রহণের আবেদনের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত ডকুমেন্টগুলি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য আপনাকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অনুরোধ করবেন।

  1. আবেদনকৃত প্রার্থীর জাতীয় পরিচয় পত্র বা পাসপোর্ট এর ফটোকপি
  2. আবেদনকৃত প্রার্থীর বৈধ প্রবাসী পরিচয় পত্র ফটোকপি
  3. বৈধ আয়ের প্রমাণপত্র যেমন (স্যালারি স্লিপ অথবা ব্যাংক স্টেটমেন্টের কপি)।

ডকুমেন্টস গুলি জমা দেওয়ার নিয়মাবলী

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে লোন আবেদনের সময় আপনার যাবতীয় ডকুমেন্টস গুলির মূল কপি সঙ্গে নিয়ে যান। মূল কপি থেকে এক কপি ফটোকপি করে আপনি ব্যাংকে জমা প্রদান করবেন ফটোকপির সঙ্গে সামঞ্জস্যতা আছে কিনা তা যাচাই জন্য ব্যাংক কর্মকর্তা আপনার মূল কপি দেখে তা গ্রহণ করতে পারেন। এখানে উল্লেখ্য যে আপনি ব্যাংকে আপনার ডকুমেন্টস গুলির ফটোকপি শুধুমাত্র জমা দিয়ে থাকবেন।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের সুদের হার ও শর্তাবলী

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে প্রবাসী গন প্রবাসে থেকে অথবা দেশে ফিরে এসে উদ্যোক্তা হিসেবে অথবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করে থাকেন। সরকার এই সমস্ত শ্রম কল্যাণ অধিদপ্তরের শ্রমিকদের কাজের গতিকে ত্বরান্বিত করার জন্য অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে থাকেন।

কিভাবে-প্রবাসী-কল্যাণ-ব্যাংক-থেকে-লোন-পাওয়া-যায়প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন সাধারণত ৭% থেকে সর্বোচ্চ ১২% হারে লোন প্রদান করে থাকেন।তবে লোনের ধরন ও মেয়াদের উপর নির্ভর করেও সুদের হার নির্ণয় করা হয়ে থাকে। সঠিক সুদের হার জানার জন্য আপনি সরাসরি ব্যাংক লোন কর্মকর্তার সঙ্গে খোলামেলা কথা বলে নেওয়াও আপনার জন্য উচিত বলে মনে করি।

লোনের শর্তাবলী ও কিভাবে তা আপনার জন্য প্রযোজ্য

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণের সময় আপনার লোনের ইতিবৃত্ত আপনাকে জেনে নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। প্রতিটা ব্যাংকে প্রত্যেকটি ঋণের নির্দিষ্ট কিছু শর্ত থেকে যায় যেমন ঋণের মেয়াদ কতদিন হবে ঋণের কিস্তির পরিমাণ কি হবে আপনার লোন পরিষদে বিলম্ব হলে বিলম্ব ফি আপনাকে প্রদান করতে হবে কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি। লোন গহনের আগে আপনার লোনের শর্তাবলী এবং লোন পরিষদের শর্তাবলী সমস্ত কিছু ভালোভাবে জেনে নেওয়া এ আপনার জন্য উত্তম।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন আবেদনের পরবর্তী ধাপ

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে লোন আবেদন সরাসরি অথবা অনলাইনে সমস্ত ডকুমেন্ট স জমা দেওয়ার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার জমাকৃত কাগজপত্রের বৈধতা এবং তার রিয়েলিটি যাচাই-বাছাই করবেন। যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে আপনাকে ঋণের অনুমোদন বা যদি কোন ভুল ত্রুটি বা কাগজপত্রের অসম্পূর্ণতা থাকে তাহলে লোন আবেদন অশ্বিকৃতি জানানো হবে।

অনুমোদন পেলে আপনাকে নির্দিষ্ট মেয়াদে ঋণের টাকা আপনার একাউন্টে ট্রান্সফার করে দেওয়া হবে। তবে প্রকাশ থাকে যে ঋণ গ্রহণের অনুমোদন পেলে আপনাকে ওই ব্যাংকে আপনার নামে একটি সঞ্চয়ী হিসাব অথবা চলতি হিসাব খুলতে হবে।
আপনার আরো যে যে পোষ্ট পছন্দ হতে পারেঃ

আপনার আবেদন প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করার উপায়,

  1. আপনার নিকট চাহিতব্য প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট স এবং সঠিক তথ্য জমা দিন।
  2. আপনি যদি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে অনলাইনে আবেদন করেন সেই ক্ষেত্রে তাদের ওয়েবসাইটে সব ধাপ গুলি সঠিকভাবে পূরণ করুন।
  3. প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন কর্মকর্তার সাথে আপনি নিয়মিত যোগাযোগ করুন।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোনের সুবিধা এবং অসুবিধা

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে লোন গ্রহণে অনেক সুবিধা রয়েছে। আপনি কি জানতে চান সুবিধাগুলো কি কি? চলুন আপনাদের বিস্তারিত সে ব্যাপারে জানিয়ে দেই,

  1. কম সুদের হারঃ বাংলাদেশ সরকার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে প্রবাসীদের অথবা দেশে ফেরত প্রবাসী গনের ব্যবসা-বাণিজ্যকে সফল করার জন্য অথবা উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তুলনামূলক প্রবাসীদেরকে কম সুদে লোন প্রদান করে থাকেন।
  2. সহজ কিস্তিতে পরিশোধঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক তার ঋণের কিস্তি পরিষদের জন্য যথেষ্ট নমনীয় পদ্ধতি প্রদান করে থাকেন। প্রবাসীরা যাতে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন না হন বা আর্থিক সমস্যার চাপে না থাকেন এদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখেন।সেই ক্ষেত্রে আপনি আর্থিকভাবে কোন সমস্যার সম্মুখীন না হন সেদিকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সজাগ দৃষ্টি রাখেন।

কোন কোন বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত অর্থাৎ অসুবিধা কি কি,

বিলম্ব ফিঃ আমরা জানি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক যথেষ্ট নমনীয় এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ পরিচালনা করে থাকেন। আপনি যদি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করেন এবং সময়মতো ঋণের কিস্তি পরিষদ করেন সেই ক্ষেত্রে ব্যাংক আপনাকে একজন সচ্ছলনি হিসেবে চিহ্নিত করতে পারে।

অপরদিকে সময়মতো লোনের কিস্তি পরিষদ না করলে অতিরিক্ত চার্জ হিসাবে আপনার কাছ থেকে টাকা আদায় করতে পারবে। সুতরাং দিন গহনের আগে ব্যাংকের সমস্ত শর্তাবলী ভালোভাবে বুঝে আপনি ঋণপত্রে স্বাক্ষর করবেন।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন সংক্রান্ত প্রায়ই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

প্রশ্নঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন আবেদন প্রক্রিয়া কত দিন লাগে?

উত্তরঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে লোন আবেদন জমা দেওয়ার পর সাধারণত পাঁচ থেকে সাত দিন কর্ম দিবসের মধ্যে আপনার ঋণ অনুমোদন হয়ে থাকে। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে সময় কিছুটা বেশি লাগতে পারে।

প্রশ্নঃ আমি কি অনলাইনে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারি?

উত্তরঃ যেহেতু এটি একটি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সেহেতু এই ব্যাংককে অনলাইনের মাধ্যমেও আপনি লোনের কিস্তি পরিশোধ করতে পারবেন।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের জেলা ভিত্তিক ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার

আপনাদের অনেকের বিভিন্ন শাখার সাথে যোগাযোগ করার দরকার পরে। কিন্তু তাদের সাথে যোগাযোগ করা ঠিকানা বা নাম্বার জানে না অনেকেই। এই আর্টিকেলে আমি প্রায় ৪০টি শাখার ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার এবং ইমেল দেওয়ার চেষ্টা করলাম।
কিভাবে-প্রবাসী-কল্যাণ-ব্যাংক-থেকে-লোন-পাওয়া-যায়

শাখা টেলিফোন নাম্বার মোবাইল নাম্বার ইমেল
৭১/৭২ ইস্কাটন রোড ঢাকা ১০০০ +৮৮০২৮৩-২১৮৭৮ +৮৮০১৭০০-৭০২৭০০ -
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ফরিদপুর শাখা +৮৮০৬৩১-৬৫২৫৫ +৮৮০১৭০০-৭০২৭০৩ -
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক মানিকগঞ্জ শাখা +৮৮০২৭৭-১০৭৬৭ +৮৮০১৭০০-৭০২৭০৬ -
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক মাদারীপুর শাখা - +৮৮০১৭০০-৭০২৭০৯ -
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক মির্জাপুর শাখা - +৮৮০১৭০০-৭০২৭১২ -
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক গাজীপুর শাখা +৮৮০২৪৯-২৬৩৮৮৬ +৮৮০১৭০০-৭০২৭১৫ -
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কুমিল্লা শাখা +৮৮০৮১৭-৩৪১০ +৮৮০১৭০০-৭০২৭১৮ -
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কক্সবাজার শাখা +৮৮০৩৪১৬-২০৩৬ +৮৮০১৭০০-৭০২৭৩১ -
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হাটহাজারী শাখা - +৮৮০১৭০০-৭০২৭২৮ -
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক রাউজান শাখা - +৮৮০১৭০০-৭০২৩৩০ -
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখা +৮৮০৭৮১৫-৩৩৮২ +৮৮০১৭০০-৭০২৭৩৩ -
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক পাবনা শাখা +৮৮০৭৩১-৬৫৬১৯ +৮৮০১৭০০-৭০২৭৩৬ -
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখা +৮৮০৭১৬-৩৩৫২ +৮৮০১৭০০-৭০২৭৩৯ -
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক দিনাজপুর শাখা +৮৮০৫৩১-৬৬৫৮০ +৮৮০১৭০০-৭০২৭৮২ -
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ভোলা শাখা - +৮৮০১৭০০-৭০২৭৪৫ -
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক নারায়ণগঞ্জ শাখা - +৮৮০১৭০০-৭০২৭৪৮ -
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক মাগুরা শাখা +৮৮০৪৮৮-৫১০২২ +৮৮০১৭০০-৭০২৭৫৩ -
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক শেরপুর শাখা - +৮৮০১৭১৩-০৫৭৫৩১ -
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বরগুনা শাখা - +৮৮০১৭১৩-০৫৭৫৩৫ -
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ঝিনাইদহ শাখা - +৮৮০১৭১৩-০৫৭৫৩৭ -
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা - +৮৮০১৭১৩-০৫৭৫৪৩ pkb.nawabgaj@gmail.com
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কাপাসিয়া শাখা - +৮৮০১৭১৩-০৫৭৫৪৬ pkb.kapasia@gmail.com
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কেরানীগঞ্জ শাখা - +৮৮০১৭১৩-০৫৭৫৪৯ pkb.keranigonj@gmail.com
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক টঙ্গী শাখা, গাজীপুর - +৮৮০১৭১৩-০৫৭৫৫২ tongi.pkb@gmail.com
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখা - +৮৮০১৭১৩-০৫৭৫৫৫ -
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কুমিল্লা শাখা - +৮৮০১৭১৩-০৫৭৫৫৮ pkb.gouripur@gmail.com
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর শাখা - +৮৮০১৭১৩-০৫৭৫৬১ pkb.nobinagat@gmail.com
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাঞ্ছারামপুর শাখা - +৮৮০১৭১৩-০৫৭৫৬৪ pkb.bancharampur@gmail.com
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কিশোরগঞ্জ বাজিতপুর শাখা - +৮৮০১৭১৩-০৫৭৫৬৭ pkb.bajitpur@gmail.com
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক নরসিংদী রায়পুরা শাখা - +৮৮০১৭১৩-০৫৭৫৭৪ pkb.raipura@gmail.com
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম শাখা - +৮৮০১৭১৩-০৫৭৫৬৯ pkb.chuddagram@gmail.com
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক টুঙ্গিপারা শাখা - +৮৮০১৭১৩-০৫৭৫৭৬ pkb.tungipara@gmail.com
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক গফরগাঁও শাখা - +৮৮০১৭১৩-০৫৭৫৭৯ pkb.gaffargaon@gmail.com
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক গাইবান্ধা শাখা - +৮৮০১৩২৯-৭০৯৮০৫ -
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক নওগাঁ শাখা - +৮৮০১৪২৯-৭০৯৮০৮ -
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ফরিদপুর বোয়ালমারী শাখা - +৮৮০১৩২৯-৭০৯৮১১ -
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক নড়াইল লোহাগাড়া শাখা - +০৮৮০১৩২৯-৭০৯৮১৪ -
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক শরীয়তপুর নড়িয়া শাখা - +৮৮০১৩২৯-৭০৯৮১৭ -
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সিলেট, গুয়াইনঘাট শাখা - +৮৮০১৩২৯-৭০৯৮০০ -
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ঢাকা বিমানবন্দর শাখা +৮৮০২৮৯-০১৮৪৬ +৮৮০১৭১৩-০৫৭৫৪০ pkb.hsia@pkb.gov.bd

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন নিয়ে আমাদের শেষ কথা

বাংলাদেশে প্রবাসী যারা বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন অথবা যারা বিদেশ থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন তাদের প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন পাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সহায়তা হতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে লোন নেওয়ার আগে লোনের শর্তাবলি এবং প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া আমাদের উচিত।

এই আর্টিকেলটি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন প্রক্রিয়াকে সহজ করতে সহায়তা করবে বলে আশা করি। যে সমস্ত প্রবাসী বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করছেন বা যারা বিদেশ থেকে প্রত্যাবর্তন করেছেন তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি যুগোপযোগী এবং অর্থবহ করে গড়ে তুলবে বলে আমি আশাবাদী।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পেন এন্ড পেপার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url