গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? - গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজগুলো কি কি?

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি জানেন কি? বর্তমানে ফ্রিল্যানসিং সেক্টরে গ্রাফিক্স ডিজাইন একটি জনপ্রিয় সেক্টর। গ্রাফিক্স ডিজাইন চাক্ষুস বার্তা গুলির ব্যাখ্যা ও তার উপস্থাপন নিয়ে কাজ করে থাকে। আজ আপনাদের সাথে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজগুলো কি কি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

গ্রাফিক্স-ডিজাইন-কি-গ্রাফিক্স-ডিজাইন-এর-কাজগুলো-কি-কিগ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে জ্ঞানের ভিন্নতা ও বিভিন্ন ক্ষেত্র আছে। যেখানে ভিজুয়াল যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার উপর দৃষ্টি নিবন্ধিত থাকে। এই ক্ষেত্রে তথ্য বিনিময়ের দিকে গুরুত্ব বিবেচনার উপর ভিত্তি করে কাজ করা হয়ে থাকে।

পেজ সূচিপত্রঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? - গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজগুলো কি কি?

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি

আমরা সাধারণত গ্রাফিক্স ডিজাইনের কথা শুনেই কল্পনা করে থাকি তা হল লোগো ডিজাইন, বিভিন্ন কার্ড ডিজাইন, ফ্লাইয়ার ডিজাইন, ইন্টারফেস ডিজাইন বাস্তবে এর ব্যাখ্যা ব্যাপক। গ্রাফিক্স ডিজাইন হল একটি মননশীল বাস্তব প্রক্রিয়া, যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার বিভিন্ন ভিজুয়াল এলিমেন্টস দ্বারা তার চিন্তা ও মনোনয়নশীলতার প্রকাশ ঘটায়।

এতে করে তার চিন্তা ভাবনা দ্বারা সোসাইটিকে মেসেজ প্রদান করে। এই জন্য এই ব্যবস্থাপনাকে বলা হয় আর্ট অফ কমিউনিকেশন। গ্রাফিক্স ডিজাইন চাক্ষুস বার্তা গুলির ব্যাখ্যা ও তার উপস্থাপন নিয়ে কাজ করে থাকে।সাধারণত গ্রাফিক ডিজাইন, টাইপোগ্রাফিক্স, নান্দনিকতা এবং টেক্সট আলংকরন এবং চিত্রের গঠনমূলক বিন্যাসের ব্যবহার করে  থাকে।যা চারুকলারএকটি আন্ত:বিভাগীয় শাখা হিসাবে কাজ করে। 

সাধারণত গ্রাফিক্স ডিজাইনের কথা আসলে দুটি সফটওয়্যার এর কথা আমাদের চোখের সামনে উঠে আসে। সফটওয়্যার দুটি হল এডোবি ফটোশপ এবং ইলাস্টেটর । গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ফটোগ্রাফি রিটাচ, ফটো ম্যানিপুলেশন, প্রজেকশন টেমপ্লেট, থ্রিডি অ্যানিমেশন, গ্রাফিক্স মাল্টিমিডিয়া প্রোডাকশন এসব ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সাপোট এ দুটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকি। 

তবে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে হলেই যে আপনাকে ফটোশপ ইলাস্টেটর হিসাবে কাজ শিখতে হবে তা কিন্তু নয়। কাজের ক্ষেত্রে নিজের ব্যবসা, ব্যক্তি জীবন প্রতিটি ক্ষেত্রেই দুটি সফটওয়্যার অর্থবহ করে তুলবে। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার তার কাজের চাহিদা ও প্রজেক্ট এর ধারণা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ইমেজ ডিজাইন তৈরির দায়িত্বে থাকেন। বর্তমানে এই পেশার যথেষ্ট পরিমাণ চাহিদা রহিয়াছে যা মানুষকে অর্থ উপার্জনের পথ দেখায়।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের গুরুত্ব 

গ্রাফিক্স ডিজাইনের গুরুত্বের দিকে বিবেচনা করলে দেখা যায় এটি এমন একটি ডিজাইন যা মূল ভূমিকা হল মানুষের সাথে সংযোগ প্রতিস্থাপন করা এবং যেকোনো বার্তা অতি দ্রুত সঙ্গে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আমাদের বাজার ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তাদের ব্রান্ডের পরিচিতি তৈরি, পণ্য ও সেবার বিজ্ঞাপন, এবং তাদের দর্শকের সাথে যোগাযোগের জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যবহার করে থাকে। 

কোন ভিজুয়াল উপাদানগুলি যেমন হতে পারে লোগো, হতে পারে কোন পোস্টার, অথবা ওয়েব ডিজাইন একটি ব্র্যান্ডের প্রভাব বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। এই দিক থেকে বিবেচনা করলে গ্রাফিক্স ডিজাইন যোগাযোগের মাধ্যম এবং পণ্যের বিজ্ঞাপন হিসাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। যা প্রতিনিয়ত মানুষকে তার কাজের বার্তা সহজে পৌঁছে দেয়।

আরও কিছু ফ্রিল্যানসিং সম্পর্কিত পোষ্টঃ

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর ইতিহাস 

গ্রাফিক্স ডিজাইনের ইতিহাস বেশ পুরনো। প্রায়ই উনিশ শতকের শেষে ছাপাখানার যখন ক্রমান্বয়ে উন্নতি সাধিত হচ্ছে সাথে সাথে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে আধুনিক ডিজাইন ও বিজ্ঞাপনের চাহিদার সঙ্গে বিবেচনায় এর প্রসার বাড়তে থাকে। এখানে অনায়াসে একজন ডিজাইনার সাবলীল দৃষ্টিভঙ্গি থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে। 

ক্রমবর্ধমান আধুনিক ডিজাইন ও বিজ্ঞাপনের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে এই শিল্পের ও প্রযুক্তিগত ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয় এবং প্রয়োগ শুরু হয়। বর্তমান ডিজিটাল যুগের সূচনায় গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিস্তারে একটি মাইন্ড ফলক হয়ে দাঁড়ায়, যেখানে নির্মাতাগণ সহজলভ্য হিসেবে কম্পিউটার এবং সফটওয়্যার দ্বারা ডিজাইন করা সম্ভব হয়ে থাকে। 

গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রধান উপাদান

গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রধান উপাদান হিসাবে আমরা সচারাচর সৃজনশীল প্রক্রিয়াকেই বিভিন্ন উপাদানের উপর ভিত্তি করে কাজ করে থাকি। এই উপাদানগুলো কার্যকরীভাবে এবং সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারলেই এটি সফল ডিজাইন তৈরি করা সম্ভব দেখো। 

  1. সঠিক রং নির্বাচনঃ গ্রাফিক্স ডিজাইনে রং নিশ্চিত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে কাজ করে। যেখানে মানুষের আবেগ এবং মনোভাব কে আকৃষ্ট করে এবং প্রভাবিত করে। বিভিন্ন রং এর ব্যবহার এটি একটি বাচ্চা বা ধারণার মানসিক প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে সাহায্য করে 
  2. ফন্ট এবং টাইপোগ্রাফিঃ এখানে ফন্টের আকার, ফন্টের ধারণা এবং এর বিন্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে কাজ করে। কারণ এটি পাটযোগ্যতার উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ট্রাইপোগ্রাফি সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারলে এটি যে কোন দর্শকের মনোযোগ এবং আকর্ষণ ধরে রাখার একটি কার্যকরী উপায় হতে পারে যা মানুষকে সার্বক্ষণিক নতুনত্বের দিকে ধাবিত করে ও তার মনোবল বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। 
  3. আকার ও বিন্যাসঃ গ্রাফিক্স ডিজাইনে ডিজাইনের আকার ও বিন্যাস মানুষের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়ের উপর প্রভাব বিস্তার করে তার দৃষ্টিভঙ্গি আকৃষ্ট করতে পারে। ডিজাইনের বিভিন্ন উপাদান যেমন টেক্সট, ছবি, এবং আইকন কে একটি নিখুত বিন্যাসে সাজানো ডিজাইনের মান বৃদ্ধিতে সহায়ক হিসাবে কাজ করে। আকার এবং বিন্যাস সঠিক থাকলে তথ্য বেশি সংগঠিত এবং সহজে বোধগম্য হয়। 
  4. ছবি এবং আইকনঃ ছবি এবং আইকন ব্যবহার করে সচরাচর যে কোন বার্তা দ্রুত ও ব্যবহারকারীর কাছে সরাসরি পৌঁছানো যায়। এটি অনেক সময় শব্দের চাইতে শক্তিশালী হতে পারে কারণ ভিজুয়াল ইমেজ সহজেই স্মৃতিকে আকৃষ্ট করে যা মানুষের মনে দীর্ঘ সময় এটির অবস্থান নিশ্চিত করে। 

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো কি কি

আলোচনার প্রথমেই আমরা গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজগুলো কি কি তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য উপস্থাপন করছি। ফ্রিল্যান্সিং ডিজাইন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসাবে স্বাধীনভাবে কাজ করতে বিভিন্ন শিল্প ও ক্লাইন্টের পরিষেবা প্রদান করতে আপনি ফ্রিল্যান্সিং ডিজাইনার হিসেবে আপনি এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কাজ করতে পারেন।

  1. লোগো ডিজাইনঃ যেকোনো ধরনের লোগো একটি প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ডিং পরিচিতি হিসাবে প্রকাশ পায়। এই ব্র্যান্ডিং পরিচিতি প্রকাশনার মূল উপাদান হিসেবে সেই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম কে সুবিন্যস্ত ভাবে প্রকাশনার উৎস হিসেবে দিক নির্দেশ করে। এটি একটি প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধ এবং দর্শকের সাথে যোগাযোগ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। 
  2. পোস্টার এবং ব্যানার ডিজাইনঃ বিজ্ঞাপনের জন্য পোস্টার এবং ব্যানার ডিজাইন সাধারণত যে কোন প্রতিষ্ঠানের প্রচারমূলক কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিজ্ঞাপন যেকোনো ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, অথবা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিসুয়াল কনটেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে এ ধরনের ডিজাইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত।
  3. ব্র্যান্ডিং এবং আইডেন্টিটি ডিজাইনঃ যেকোনো প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ডিং আইডেন্টিটি সেই প্রতিষ্ঠানের পরিচয় এবং বিশ্বস্ততা তার সহায়ক হিসেবে কাজ করে। একটি প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড পরিচয় এবং এর বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধির জন্য ব্র্যান্ডিং এবং আইডেন্টিটি ডিজাইন একান্ত অপরিহার্য। এটি লোগো, ব্র্যান্ডের রং, এবং ভিজুয়াল স্টাইলসহ অন্যান্য উপাদানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের দৃশ্যমান পরিচিতি তৈরিতে বিশেষ সহায়ক হিসেবে কাজ করে। 
  4. ওয়েব ডিজাইনঃ ওয়েব ডিজাইন এমন একটি প্রতিষ্ঠানের শাখা বিশেষ যেখানে একটি ওয়েবসাইটের নান্দনিক এবং কার্যকরী দিকগুলো ডিজাইনের মাধ্যমে সে প্রতিষ্ঠানের রূপরেখা নির্ণয়ে সহায়কের ভূমিকা পালন করে থাকে এটি ভিজুয়াল ডিজাইন এবং ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন এর গুরুত্ব অপরিসীম। 
  5. সোশ্যাল মিডিয়া ডিজাইনঃ সোশ্যাল মিডিয়া যে কোন প্লাটফর্মে এটি প্রতিষ্ঠানের পণ্য,, বা সে প্রতিষ্ঠানের বার্তা প্রচারের জন্য ভিজুয়াল ডিজাইনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ইনস্টাগ্রাম পোস্ট, ফেসবুক ব্যানার, ইউটিউব থামবোনেইল সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া দ্বারা কনটেন্ট ডিজাইন করা হয়।
  6. Brand identify design: আমরা সাধারণত ব্র্যান্ড আইডেন্টিফাই করার জন্য ব্র্যান্ড ডিজাইন লোগো, টাইপোগ্রাফি, কালার স্কিন সহ প্রতিষ্ঠিত যে কোন কোম্পানি তার ব্র্যান্ডিং এ জাতীয় কাজ করে থাকি। 
  7. Print design: প্রিন্ট ডিজাইন এর ক্ষেত্রে পোস্টার ডিজাইন, ব্রাউজার, ফ্লায়ার, বিজনেস কার্ড, ম্যাগাজিন, নিউসপেপার সহ প্রয়োজনীয় প্রিন্টিং ও অন্যান্য ম্যাটেরিয়াল ডিজাইন করতে পারি। 
  8. Digital  design: ওয়েব ডিজাইন ওয়েবসাইট ডিজাইন ইমেইল নিউজ লেটার সোশ্যাল মিডিয়া বা পোস্টার ছবি ওয়েবসাইট ব্যানার এই জাতীয় কাজ ওয়েব ডিজাইনের মাধ্যমে করা সম্ভব হয়। 
  9. Packaging design: কোন কোমল পানীয় বা কোন খাদ্য অথবা ইলেকট্রনিক্স দ্রব্য  অথবা কোন প্রসাধনই পণ্যগুলোর জন্য এ প্যাকেজিং ডিজাইন করা হয়ে থাক।
  10. Motion graphics: মিশন গ্রাফিক্স এই গ্রাফিক্সের মধ্যে ভিডিও চলচ্চিত্র উপস্থাপন এবং ডিজিটাল প্লাটফর্মের জন্য অ্যানিমেটেড গ্রাফিক্স শিরোনাম সিকুয়েন্স এবং ভিজুয়াল ইফেক্ট ডিজাইন করা সম্ভব।
  11. 3D design: থ্রিডি ডিজাইন এর আওতায় পণ্য ডিজাইন আর্কিটেকচারাল, ভিজুয়ালাইজেশন গেমিং এবং আরো অনেক কিছুর জন্য ত্রিমাত্রিক মডেল অ্যানিমেশন এবং ভিজুয়াল তৈরি করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 
  12. Environmental design: ভৌত অবকাঠামোর জন্য ইনভারমেন্টাল ডিজাইনগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এখানে রিটেল স্টোর অথবা কোন মিউজিয়াম অথবা কোন পাবলিক এলাকার মতো ভৌত স্থানগুলো এই ডিজাইনের আওতায় পড়ে। 
  13. Animation: অভিজ্ঞতাকে আরো গতানুগতিক করার জন্য এবং ডিজিটাল ইন্টারফেসের মাধ্যমে অ্যানিমেটেড ট্রানজেকশন করে এখান থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। 
  14. Book design: আপনি এখানে বিভিন্ন বই তার কাভার লেটার ডিজিটাল প্রকাশনার জন্য লেআউট টাইপ সেটিং ডিজাইন করে মোডক উন্মোচন কাজে ব্যবহার করতে পারেন।
  15. Social media design: শ্রোতাদের এই ডিজাইনে সম্পৃক্ত করে ব্র্যান্ড বা বার্তা প্রচার করার জন্য বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের জন্য আপনি এই গ্রাফিক্স ডিজাইন ভিজুয়াল করতে পারেন। 
  16. Icon design: এই আইকন ডিজাইনের মাধ্যমে আপনি ইন্টার ফেস এবং ব্র্যান্ডিং অ্যাপ্লিকেশনগুলিকে ব্যবহার করে ডিজাইন আইকন এবং চিত্রগ্রাম সম্পাদন করতে পারেন। 
  17. Photography editing and manipulation: গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনি যেকোন বিজ্ঞাপন অথবা সম্পাদকীয় অথবা ব্যক্তিগত প্রকল্প সহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ফটোগ্রাফ সম্পাদনা এবং উন্নত করতে এ ডিজাইন ব্যবহার করতে পারেন।। 
  18. Game design: যেকোন ভিডিও গেম অথবা গেমিং অ্যাপ্লিকেশনের জন্য আপনার এই ইন্টারফেস উপাদান মূলক এবং প্রচার মূলক উপকরণ তৈরি করে আপনি ভিডিও অ্যানিমেশনের জন্য এ কাজ করতে পারেন। 
  19. Art design: কোন সৃজনশীল কাজের উপাদান হিসেবে বিভিন্ন মাধ্যম জুড়ে প্রকল্পগুলো চাক্ষুষ তত্ত্বাবধান এবং তার ধারাবাহিকতা এবং গুণগতমান নিশ্চিত করতে এই ওয়েবসাইট গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইনে কাজ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মদক্ষতা থাকা প্রয়োজন । এ সমস্ত দক্ষতার উপর ভিত্তি করে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার তার সমস্ত কার্যাবলী সম্পাদন করে ক্রেতা এবং প্রচারণামূলক বিভিন্ন ভিজুয়াল কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।নিম্নে আমরা একজন গ্রাফিক্স ডিজাইন এর দ্বারা কি কি কাজ সম্পূর্ণ হয় তা নিপুনভাবে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে বদ্ধপরিকর।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের সফটওয়্যার এবং সরঞ্জাম 

গ্রাফিক্স ডিজাইনে সফটওয়্যার এবং এর সরঞ্জামাদি এটি একটি টুলস হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গ্রাফিক্স ডিজাইনে কাজ করতে হলে এই সমস্ত সফটওয়্যার এবং এর সরঞ্জামাদি এর ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ হিসেবে ডিজাইনার গন ব্যবহার করে থাকেন।

গ্রাফিক্স-ডিজাইন-কি-গ্রাফিক্স-ডিজাইন-এর-কাজগুলো-কি-কি

  1. এডোবি ফটোশপঃ এডোবি ফটোশপ গ্রাফিক্স ডিজাইনের সবচাইতে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত সফটওয়্যার হিসেবে কাজ করে থাকে। খুবই সম্পাদনা, রিটাচিং, এবং বিভিন্ন ধরনের ভিজুয়াল এফেক্ট তৈরির জন্য এটি বহুল প্রচলিত। বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনারগন এই এডোবি ফটোশপ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে ব্যবহার করে থাকেন। 
  2. এডোবি ইলাস্টেটরঃ এডোবি ইলাস্ট্রেটর একটি ভেক্টর -ভিত্তিক ডিজাইন সফটওয়্যার যা বিশেষ করে লোগো ডিজাইন, যে কোন আইকন, এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি স্কিলেবিলিটির কারণে খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। 
  3. ক্যানভাঃ ক্যানভা একটি বহুল জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট যে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইন টুল বা সহজেই ভিজুয়াল কনটেন্ট তৈরি করতে যথেষ্ট সহায়ক। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য এতটাই সহজ এবং ইন্টারফেস হওয়ায় এটি খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের ভবিষ্যৎ

গ্রাফিক্স ডিজাইনের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে গেলে প্রথমেই উঠে আসে ডিজিটালাইজেশন এই যুগে গ্রাফিক্স ডিজাইনের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সাথে সাথে উন্নত হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন।প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে ভিজুয়াল কনটেন্ট তৈরির নতুন নতুন উপায় এবং সরঞ্জাম বর্তমানে উন্নত থেকে উন্নততর উপায়ে বাজারে আসছে। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অটোমেশন ডিজাইনের ক্ষেত্রে একটু বড় পরিবর্তন আনবে বলে আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করি। 

গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়

আপনি নিজেকে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে যদি সফলতা আনতে চান এবং আপনার ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে নির্দিষ্ট কিছু দক্ষতা এবং জ্ঞান অর্জন করা আপনার জন্য আবশ্যক। গ্রাফিক ডিজাইন সম্পর্কিত ডিগ্রি অর্জন করা বিভিন্ন ভিজাইল টুলস শেখা এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভ করা আপনার জন্য জরুরী। এটি শক্তিশালী পোর্টফোলিও ডিজাইনের সাফল্যের জন্য তা আবশ্যক এবং অপরিহার্য হিসেবে বিবেচিত। 

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা

নিজেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর দক্ষতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে আপনাকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে এর মধ্যে অন্যতম হলো ক্রমাগত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি এবং ট্রেনদের সাথে তাল মিলিয়ে চলা। ডিজাইনারদের ক্রিয়েটিভিটি এবং টেকনিক্যাল দক্ষতার উন্নতি বজায় রাখতে হয়। তবে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে যে ডিজাইনের সম্ভাবনা কে সামনে রেখে ভিজিটাল মার্কেটিং এবং ব্র্যান্ডিংয়ের উচ্চ চাহিদার কারণে গ্রাফিক ডিজাইন এর সম্ভাবনা ও অনেক যা গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য একটি চ্যালেঞ্জও বটে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার

শৈল্পিক সৌন্দর্য একসঙ্গে রঙের অবলীলায় যে চর্চাটা উঠে আসে সেটি হচ্ছে গ্রাফিক ডিজাইনের পথ। এখানে রঙের মাধ্যমে শিল্পের নৈপুণ্যতা প্রদর্শন করা হয়ে থাকে আমরা জানি গ্রাফিক্স ডিজাইন এমন একটি শিল্পকর্ম যে শিল্পকর্মের মাধ্যমে অবলীলায় শিল্পের নৈপুণ্যতা প্রকাশ পেয়ে থাকে। 

আমরা সাধারণত দেখে থাকি গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রে লোগো নির্ধারণ করা এবং বাণিজ্যিকভাবে কোন চিত্রকর্ম প্রদর্শন করা বা শৈল্পিক সৌন্দর্যের বিকাশ ঘটানো এটিও গ্রাফিক ডিজাইনের একটি অংশবিশেষ। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় এই শৈল্পিক সৌন্দর্যের জন্য মানুষ গ্রাফিক্স ডিজাইনগুলো প্রস্ফুটিত করে থাকে। 

গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজের অংশ হিসেবে সাধারণত আমরা গ্রাফিক্স ডিজাইন কে দুই ভাগে ভাগ করতে পারি। 

১. বাণিজ্যিক ভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ বাণিজ্যিকভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন বাণিজ্যিকভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন যেকোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে আপনি যদি চাকুরীজীবী হয়ে থাকেন তবে এই পেশাটি ব্যবসায়িকভাবে প্রতিষ্ঠিত হলে এটি বাণিজ্যিক গ্রাফিক্স ডিজাইন হিসেবে পরিগণিত হবে। যেহেতু আপনি এই প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করে আসছেন অতএব আপনার প্রতিষ্ঠিত গ্রাফিক্স ডিজাইন টি বাণিজ্যিকভাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। 

২. ব্যক্তিগত গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ ব্যক্তিগত গ্রাফিক্স ডিজাইন আপনি যদি শখের বশবর্তী হয়ে কোন লোগো ডিজাইন অথবা কোন কারণৈপুণ্যতা প্রদর্শন করে থাকেন যেখানে আপনার ব্যবসায়ী কোন চিন্তা চেতনা থাকবে না এটিই হচ্ছে ব্যক্তিগত গ্রাফিক্স ডিজাইন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। কারণ এখানে আপনি অর্থের বিনিময়ে এ কাজগুলো সম্পাদন করছেন না।

এছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইন এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে দুজন শীলতাকে ইচ্ছে মতো ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ভিজুয়াল কনটেন্ট তৈরি করা হয়। গ্রাফিক্স ডিজাইনকে আমরা সাধারণত কয়টি প্রধান ভাগে ভাগ করতে পারি যেমন 

১. লোগো ডিজাইনঃ কোন প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি তুলে ধরার জন্য লোগো ডিজাইন অপরিহার্য ।এটি সাধারণত ব্র্যান্ডিং বা মার্কেটিং এর অংশ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

২. প্রিন্ট ডিজাইনঃ প্রিন্ট ডিজাইন কনটেন্ট তৈরি যেমন পোস্টার, ফেস্টুন, ব্যানার, ম্যাগাজিন, ব্রুসিউর এগুলি পিন্ট মিডিয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। 

৩. ওয়েব ডিজাইনঃ ওয়েবসাইটের ভিজুয়াল লে আউট এবং ইউজার ইন্টারফেস তৈরি করা হয়ে থাকে। ওয়েব ডিজাইন করতে HTML,CSS এবংJavascript ধারণা থাকা অতীব জরুরী।

৪. ইউ এক্স এবং ইউআই ডিজাইনঃ ইউজার এক্সপিরিয়েন্স (UX) এবং ইউজার ইন্টারফেস(UX) ডিজাইন ওয়েব এবং অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারে গ্রাহকের অভিজ্ঞতাকে সুন্দর সাবলীল ও সহজ করে তোলার প্রক্রিয়া বটে।

৫. মেশিন গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ মেশিন গ্রাফিক্স ডিজাইন অ্যানিমেশন বা ভিডিও ভিত্তিক ডিজাইন বিজ্ঞাপন সিনেমা এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। 

৬. ভিজুয়াল ব্র্যান্ডিং এবং আইডেন্টিটি ডিজাইনঃ ভিজুয়াল ব্র্যান্ডিং এবং আইডেন্টিটি ব্র্যান্ডিং যে ব্র্যান্ডিং এ ভিসুয়াল আইডেন্টিটি তৈরি করা যেমন লোগো ডিজাইন টাইপোগ্রাফি কালার প্যাটেল এবং ব্র্যান্ডের নান্দনিক বিষয়গুলো ডিজাইন করা হয়ে থাকে। 

৭. 3D গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ 3D গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রে মডেলিং এবং এনিমেশন ডিজাইন যা সাধারনত গেমিং সিনেমা এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এর মত বিষয়গুলো ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে কি কি শিখতে হয় 

গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য নির্দিষ্ট কিছু দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে। নিচে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিষয় ভিত্তিক গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসাবে কাজ করার জন্য এই সমস্ত দক্ষতাগুলো বাড়ানো অতীব জরুরী বলে আমরা জেনে থাকি। বিষয়গুলো নিম্নরূপ। 

১. ড্রয়িং এবং আর্ট স্কিল: গ্রাফিক্স ডিজাইনে কাজ করার জন্য আপনার মৌলিক আটের ধারনা থাকা আবশ্যক। আট এর ক্ষেত্রে যেমন আট এর সেফ, কালার কম্বিনেশন থিউরি, কম্পোজিশন ইত্যাদি আপনাকে জানতে হবে। ডিজাইন করার সময় ড্রেসিং এবং স্কেচিং এর দক্ষতা খুবই প্রয়োজনীয়। 

২. ডিজাইন সফটওয়্যার শেখা: ডিজাইন সফটওয়্যার শেখা আপনার জন্য আবশ্যক। নির্দিষ্ট কিছু সফটওয়্যার যেমন Abode Photoshop, Illustrator এবং In Design শিখতে হবে। এছাড়া CorelDraw, Sketch এবং Figma প্রয়োজন হতে পারে, 

৩. টাইপোগ্রাফি: টাইপোগ্রাফি গ্রাফিক্স ডিজাইনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হিসেবে বিবেচিত। কিভাবে ফন্ট নির্বাচন করতে হয় এবং তা কিভাবে ব্যবহার করতে হবে তা জানতে হবে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারকে। এটি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে অত্যন্ত আবশ্যক, 

৪. ভেক্টর এবং রাস্তার গ্রাফিক্স: ভেক্টর গ্রাফিক্স (যেমন. Illustrator-এ তৈরি গ্রাফিক্স) এবং রাস্তার গ্রাফিক্স (যেমন Photoshop) এর মধ্যে পার্থক্য এবং তাদের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ধারণা থাকা অতীব জরুরী হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকে।

৫. কালার থিউরি: রংয়ের ব্যবহার এবং তা কিভাবে একজন দর্শককে মনস্তাত্ত্বিক প্রভাবে আকৃষ্ট করতে পারে তার আকর্ষণের দিকটাও বিবেচনা সঙ্গে গুরুত্ব আরোপ করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে। 

৬. ক্রিয়েটিভ এবং ক্রিটিকাল থিংকিং: প্রতিটি ডিজাইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বের সঙ্গে নতুনত্বের দিকে বিবেচনা করা উচিত। নতুনত্বের সঙ্গে সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব এটি শেখাও একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে ।এ ব্যাপারে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের চিন্তা ও মননশীলতা যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করে।যাতে করে গ্রাফিক্স ডিজাইনার তার ক্রিটিকাল এবং ক্রিয়েটিভ থিংকিং দ্বারা দর্শকের প্রতি প্রভাব তৈরি করতে পারে। 

আরও পড়ুনঃ গুগলে রেংকিং উন্নত করার ১০টি কার্যকরী উপায়

গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার ওয়েবসাইট 

বর্তমানে অনলাইন প্লাটফর্মে বসে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে। উল্লেখ্য কিছু ওয়েবসাইট নিয়ে আপনাদের সাথে সুবিন্যাস্ত আকারে প্রকাশ করা যেতে পারে। 

১. Coursera: এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স পাওয়া যায় যেখানে গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ডিজাইন সম্পর্কিত বিস্তারিত শেখানো হয়। 

২. Udemy: Udemy-তে বিভিন্ন পেশাদার কোর্স আছে যেগুলো গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য সহায়ক হিসেবে কাজ করে। 

৩. Skillshare: Skillshareগ্রাফিক্স ডিজাইন সহ সৃজনশীলতার বিভিন্ন দিক শেখানোর জন্য এটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম কাজ করে যাচ্ছে। যেখানে এই প্লাটফর্মে বসে আপনি স্কিল শেয়ার করে আপনার দক্ষতাকে বাড়াতে পারেন। 

৪.Canva Design School: Canva একটি জনপ্রিয় গ্রাফিক্স ডিজাইন টুলস হিসাবে সমাধিক প্রচলিত। ক্যানভা ডিজাইন স্কুলে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার অনেক রিসোর্স পাওয়া যায়।যারা আপনাকে অনলাইন প্লাটফর্মে ওয়েব ডিজাইন শেখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহায়তা প্রদান করে থাকে।

৫.Adobe Creative Cloud Tutorials: Adobe- এর অফিসিয়াল টিউটোরিয়াল সাইট যেমন Adobe Photoshop, Illustrator এবং অন্যান্য সফটওয়্যার সম্পর্কে তার দক্ষতা বাড়াইতে এবং নতুন কিছু অফিশিয়ালি শেখার জন্য অনেক টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। 

গ্রাফিক্স ডিজাইন কেন শিখবেন 

গ্রাফিক্স ডিজাইনে কাজ করার জন্য আমরা সাধারণত আমাদের দক্ষতাকে বাড়িয়ে তুলতে পারি। এ দক্ষতার মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের পথ তৈরি করতে সক্ষম হব। অনেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার মাধ্যমে তার অর্থ উপার্জনের পথকে খুঁজে পেয়েছেন।

এভাবে এভাবে আমরা চাকুরীর পাশাপাশি অথবা অবসর সময়ে এই জাতীয় কাজ করে অনেকেই সফলতা অর্জন করেছে। এই কারণে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ আপনার অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের পথকে সহজতর করে তুলবে। যেখানে আপনার অর্থনৈতিক সচ্ছলতা বহুগুণে বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই এই কাজের প্রতি শেখার আগ্রহ আমাদের বাড়িয়ে তুলতে পারে। 

১. সৃজনশীলতা প্রকাশ: গ্রাফিক্স ডিজাইন হল একটি সৃজনশীলতার ক্ষেত্রে। যেখানে আপনার আইডিয়া চিন্তা বিকাশ মননশীলতা আপনার ভাবনাকে সুদূরপ্রসারী করা এবং সৃষ্টি ভিজুয়াল এর মাধ্যমে আপনার দক্ষতা কে প্রকাশ করা। 

২. বড় কর্মক্ষেত্র: গ্রাফিক্স ডিজাইনে বর্তমানে মার্কেটিং বিজ্ঞাপন ফিল্ম ইন্টারনেট ইত্যাদির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় একটি দক্ষতা বিশেষ। যেটির মাধ্যমে আপনার কর্মক্ষেত্র অনেক বড় স্থানে প্রকাশ করতে পারেন। 

৩. ফ্রিল্যান্সিংয়ের সুযোগ: আপনি যদি ইচ্ছা প্রকাশ করেন যে আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে চান তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসাবে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে পারেন। যা আপনার আয়ের একটি বড় অংশ হিসেবে আপনি কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করতে পারেন। 

৪. ব্র্যান্ডিং এবং মার্কেটিং এর ভূমিকা: গ্রাফিক্স ডিজাইন এ ব্র্যান্ডিং এবং প্রোডাক্ট মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা কোম্পানির সফলতার মূলে রয়েছে। এই সমস্ত ক্ষেত্রে আপনি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে সেই প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিংয়ে সহায়তা করতে পারেন। এই মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য অর্থ উপার্জন করতে পারেন। 

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কি কি সফটওয়্যার দরকার পড়ে

গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে আপনি যদি সফলকাম হতে চান তাহলে নিচের সফটওয়্যার গুলোর আপনার জন্য জানা একান্ত আবশ্যক।

১. Adobe Photoshop: Adobe Photoshop ছবি এডিটিং এবং ডিজাইন করার জন্য সবচাইতে জনপ্রিয় সফটওয়্যার হিসেবে কাজ করে আসছে। ছবি ম্যানিপুলেশন এবং বিভিন্ন গ্রাফিক্স তৈরীর ক্ষেত্রে এটি সচরাচর আমরা ব্যবহার করে থাকি।

২. Adobe Illustrator: ভেক্টর বেজড গ্রাফিক্স তৈরির জন্য Adobe Illustrator অপরিহার্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি লোগো আইকন এবং অন্যান্য ভিজুয়াল উপাদান যাহা বিভিন্ন ডিজাইন করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

৩. Adobe InDesign: বিভিন্ন ধরনের ম্যাগাজিন, বিভিন্ন ধরনের পাঠ্য বই, এবং অন্যান্য যে কোন মুদ্রণের মাধ্যমে ডিজাইন করার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার হিসেবে কাজ করে থাকে।

৪. CorelDRAW: ভেক্টর বেজড ডিজাইনের জন্য Adobe Illustrator এর পাশাপাশি CorelDRAW-ও সর্বক্ষেত্রে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

৫. Figma বা Sketch: UI/UX ডিজাইন এবং প্রোটোটাইটিং এর জন্য Figma এবং Sketch-ও বেশ জনপ্রিয় যা সচরাচর ওয়েব ডিজাইনগণ ব্যবহার করে থাকেন। 

কেরিয়ার হিসেবে গ্রাফিক্স ডিজাইন কেন এত জনপ্রিয়

বর্তমানে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করার মাধ্যম হিসেবে গ্রাফিক্স ডিজাইন একটি সফল ও জনপ্রিয় ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করে আসছে। এই সফলতার কারণগুলি এবং জনপ্রিয়তার কারণ হিসেবে অর্থ উপার্জনের একটি বলিষ্ঠ হাতিয়ার যা মানুষকে প্রলুব্ধ করছে।এই কারণগুলি নিচে ব্যাখ্যা করা হলো।

গ্রাফিক্স-ডিজাইন-কি-গ্রাফিক্স-ডিজাইন-এর-কাজগুলো-কি-কি

১. চাহিদা বৃদ্ধি: ডিজিটাল মারকেটিং এ ই কমার্সের কারণে গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা দিনের পরে দিন বেড়েই চলেছে। কারণ হিসাবে মানুষ গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে স্বাবলম্বী হয়ে গড়ে উঠছে। 

২. বৈচিত্র্যময় কর্মক্ষেত্র: গ্রাফিক্স ডিজাইনে ফ্রিল্যান্সিং থেকে শুরু করে কর্পোরেট ডিজাইন এমনকি স্টাটআপে কাজ করার সুযোগ ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে এবং অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। 

৩. কনস্টান্ট আপডেট: নুতন নুতন সফটওয়ার এবং ডিজাইন টুলের কারণে গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কোন কিছু শেখার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। বাজার ব্যবস্থাপনায় নতুন কনটেন্ট এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের পথ প্রশস্থ হচ্ছে। 

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয় কেমন হয়

বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনের আয়ের সুযোগ অনেক বিস্তৃত। এ আই নির্ভর করে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনের দক্ষতা অভিজ্ঞতা কাজের ধরন এবং কাজের ক্ষেত্রে উপর। নিচে গ্রাফিক্স ডিজাইনের আয়ের ধরন সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো। 

১. ফ্রিল্যান্স আয়: ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্ম যেমন Fiver,Upwork-এ গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে প্রতি কাজের জন্য $২০ থেকে  $১০০বা তার চেয়েও বেশি আয় করা সম্ভব হচ্ছে। 

২. ফুল টাইম ডিজাইনার: একজন ফুল টাইম গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর বাৎসরিক সর্বমোট আয় হতে পারে $৩০০০০ থেকে $৭০,০০০ পর্যন্ত হতে পারে। 

৩. আউটসোর্সিং এবং প্যাসিভ ইনকাম: বিভিন্ন ডিজাইনের পণ্য যেমন টেমপ্লেট বা ডিজাইন আইটেম বিক্রি করে প্যাসিভ ইনকাম করা সম্ভব। এটাকে আমরা আউটসোর্সিং এবং প্যাসিভ ইনকাম হিসেবে চিহ্নিত করে থাকি। 

গ্রাফিক্স ডিজাইনের ভবিষ্যৎ কি

কাজের ক্ষেত্র হিসেবে আমরা গ্রাফিক্স ডিজাইনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অত্যন্ত উজ্জ্বল একটি চিত্র লক্ষ্য করে থাকে। নিচের কিছু পয়েন্টের আলোকে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা তুলে ধরা হলো। 

১. প্রযুক্তিগত উন্নতি: AI এবং অটোমেশন ডিজাইনের জগতে একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে যা গ্রাফিক্স ডিজাইন এর জন্য নতুন নতুন সুযোগ এবং কর্মক্ষেত্র তৈরি করবে  বলে আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করি।

২. ই-কমার্স এবং ডিজিটাল মার্কেটিং বৃদ্ধি: ই-কমার্স, সোশ্যাল মিডিয়া এবং অনলাইন মার্কেটিং এর ব্যাপক চাহিদার কারণে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের কাজের ক্ষেত্র আরো উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে যা আগামী দিনে অনেক বেকার যুবকদের কর্মক্ষেত্র সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। 

৩. বহুমুখী দক্ষতার প্রয়োজন: ভবিষ্যতে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার কে বহুমুখীর দক্ষতার দ্বারা কাজ করে যেতে হবে যেখানে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি হতে হবে, যেখানে ডিজাইন এবং কোডিং এর সমন্বয় থাকতেও পারে। যার দ্বারা একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার কে বহুমুখী দক্ষতায় পরিপূর্ণতা লাভ করতে হবে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে লেখক এর শেষ কথা

বর্তমান অবস্থায় গ্রাফিক্স ডিজাইন একটি অভূতপূর্ব উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল ক্যারিয়ার যা ভবিষ্যতে যুবসমাজের চাকুরীর বাজার আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। ডিজিটাল বিশ্বের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রয়োজনীয়তা পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এই ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করলে একজন সফল পেশাজীবী হিসেবে গড়ে ওঠা সম্ভব।

গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের সৃজনশীলতা এবং প্রযুক্তির মেলবন্ধন তৈরি হবে আগামী দিনের নতুন প্রযুক্তি নির্ভর সমাজ ব্যবস্থা কায়েমের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পেন এন্ড পেপার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url