গুগল অ্যাডসেন্স কি? - গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করার উপায়
গুগল অ্যাডসেন্স ইন্টারনেটে আয়ের একটি অসাধারণ প্রক্রিয়া। ওয়েবসাইট মালিকদের একটি প্রোগ্রাম এটি google ওয়েবসাইটের ভিজিটরদের জন্য সরাসরি বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে আয় করতে সাহায্য করে।
এটি এমন একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি যেখানে সহজে ব্লগার এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য
যাদের নিজ নিজ ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে
পারে।যা বর্তমানে সফলতা অর্জন করেছে।
পেজ সূচিপত্রঃ গুগল অ্যাডসেন্স কি? - গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করার উপায়
গুগল অ্যাডসেন্স কি
২০০৩ সালে চালু করা গুগল অ্যাডসেন্স হলো একটি অ্যাডভার্টাইজিং নেটওয়ার্কিং
সিস্টেম। কনটেন্ট ক্রিয়েটররা তাদের পাবলিকেশন গুগল বিজ্ঞাপন পরিষেবা
ওয়েবসাইট মালিকদের কনটেন্ট লেখার মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের সুযোগ করে দেয়। ওয়েব
সাইটে ভিজিটর বিজ্ঞাপন এ ক্লিক করলে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
এটি এমন একটি পরিষেবা যেখানে কনটেন্ট থিয়েটাররা googleঅ্যাডসেন্স মাধ্যমে
ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে অর্থ উপার্জনের এটি সিস্টেম তৈরি করে, এটিকে সিপিসি(Cost
Per Click) এবং সিপিএম(Cost Per Mile) অথবা প্রতি ১০০ ভিউয়ের মূল্য এর মূল্যায়ন
করা হয়ে থাকে।
গুগল অ্যাডসেন্স এর গুরুত্ব
গুগল অ্যাডসেন্স এমন একটি ওয়েবসাইটে প্রোগ্রাম যে প্রোগ্রামের মাধ্যমে
ব্লগের মালিকগণ তাদের নিজ নিজ ওয়েব সাইটে আয়ের পথ উন্মুক্ত করে দেয়। গুগল
ওয়েবসাইটে আয়র উচ্ছেদ এমনই সহজলভ্যতা যা অন্যান্য আয়ের উৎসের তুলনায় অনেক
বেশি কার্যকরী। যা আপনাকে আরও সুস্থ দিকনির্দেশনা প্রদান করবেন।
আপনি যদি আপনার নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি হাই করতে চান তবে
অ্যাডসেন্স কি আদর্শ মাধ্যমে হিসেবে পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। বলা যায় এটি
আপনাকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে একটি সুযোগ দিয়ে থাকে। আপনার ওয়েবসাইট যখন রেংকিং
প্রদর্শন করবে তখন আপনি নিজে কাজ না করেও প্রদর্শিত বিজ্ঞাপন গুলোর মাধ্যমে আপনি
নিরবিচ্ছিন্নভাবে আয় করতে পারবেন।
আপনার আরো যে যে পোষ্ট পছন্দ হতে পারেঃ
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করার প্রক্রিয়া
- গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আপনি সহজে উপার্জন করতে হলে আপনাকে একটি google অ্যাডসেন্স একাউন্ট খুলতে হবে।
- google অ্যাডসেন্স একাউন্ট খোলার জন্য গুগলের কিছু নির্দেশনা বলি অনুসরণ করে গুগলকে সঠিক তথ্য দিয়ে আবেদন করতে হয়।
- গুগলের অ্যাডসেন্স একাউন্ট খোলার কথা বলি মেনে আপনাকে এই ওয়েবসাইট পরিচালনা করতে হবে।
- গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল নিতে বেশ কিছু সময় লেগে যেতে পারে। google অ্যাপ্রুভাল এর জন্য ওয়েবসাইটটি পর্যালোচনা করে দেখেন যে গুগলের পলিসি মোতাবেক ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে কিনা সেই দিকে বিবেচনা করতে হবে।
গুগল অ্যাডসেন্স একাউন্ট খোলার ধাপসমূহ
- গুগল অ্যাডসেন্স অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান ।
- আপনার গুগল একাউন্ট দিয়ে সাইন ইন করুন বা নতুন একাউন্ট খুলুন।
- আপনার ওয়েবসাইটি ঠিকানা দিন এবং প্রয়োজনীয় সকল তথ্য পূরণ করুন।
- অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার পরে গুগল এডসেন্স কোড কপি করে আপনার ওয়েবসাইডে পোস্ট করুন।
ওয়েব সাইটে গুগল অ্যাডসেন্স সেটা আপ করা সম্ভব
গুগল অ্যাডসেন্স সঠিকভাবে আপনার ওয়েবসাইটে সেটাপ করার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত
ধাপ গুলি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
- এড কোড তৈরি করাঃ গুগল অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপন প্রদানের জন্য আপনাকে বিভিন্ন কোড প্রদান করে থাকে যা আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটে পোস্ট করতে সহায়তা করে থাকবে।
- সঠিক স্থানে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করাঃ বিজ্ঞাপন গুলোকে এমনভাবে রাখতে হবে যেখানে ভিজিটররা অতি দ্রুত সময়ে সহজে দেখতে পারে তবে তা যেন কনটেন্টের উপরে তা বিরক্তিকর না হয়ে ওঠে।
- বিভিন্ন ফরমেটের বিজ্ঞাপন ব্যবহার করাঃ গুগল তোর বিজ্ঞাপনের জন্য অথবা অ্যাডসেন্স বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন ফরমেট অফার করে থাকে যেমন টেক্সট অ্যাড, বিভিন্ন ধরনের ভিডিও এড ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনাকে খুব ক্রিয়েটিভ মেন্টালিটি তৈরি করতে হবে যেখানে ওয়েবসাইটের কনটেন্ট অনুযায়ী বিজ্ঞাপন ফরমেট নির্বাচন করা উচিত।
- অপটিমাইজেশন টুলস ব্যবহার করাঃ গুগল অ্যাডসেন্স কিছু কিছু denization আছে যা আপনাকে বিজ্ঞাপনের পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করতে সহায়তা করে থাকে। এই এই জাতীয় টুনগুলো ব্যবহার করে আপনি জানতে পারবেন কোন বিজ্ঞাপন গুলো বেশি কার্যকরী হচ্ছে এবং কিভাবে আপনার আয় বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে।
আর্টিকেল রাইটিং সম্পর্কে আরো কিছু পোষ্টঃ
গুগল অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে আয় বাড়ানোর কৌশল
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় বাড়ানোর জন্য কিছু কার্যকরী যুগ উপযোগী কৌশল আছে যা
আপনি অনুসরণ করে আপনার আয়-কে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারেন সেগুলো নিম্নে
পর্যালোচনা করা হলো।
১. উচ্চমানের কনটেন্ট তৈরি করুনঃ গুগল অ্যাডসেন্স মাধ্যমে কিভাবে
আপনার আয় সর্বোচ্চ পর্যায়ে বাড়াতে পারেন সেজন্য উচ্চমানের আকর্ষণীয় এবং
যুগোপযোগী ইনফরমেটিভ কনটেন্ট তৈরি করা এবং তা পাঠক সমাজ উপস্থাপন করে অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন এদিকে বিচার বিশ্লেষণ করা আপনার কর্তব্য।
আপনার কন্ঠের যত বেশি দর্শক আপনার কন্টেন্ট করবে সেই ক্ষেত্রে তত বেশি ক্লিক
বাড়ার সম্ভাবনা থাকবে এবং আপনার উপার্জন সর্বোচ্চ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছবে।
২. সঠিক কীওয়ার্ড নির্বাচন করুনঃ আপনার গুগল সার্চ ইঞ্জিন এর মাধ্যমে
আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়াতে সঠিক কিবোর্ড ব্যবহার করতে পারেন।
কীওয়ার্ড নির্বাচনের ক্ষেত্রে গবেষণা এবং এস ই ও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন)
যুগোপযোগী কৌশল ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটে যথেষ্ট পরিমাণে ভিজিতের সংখ্যা
বাড়াতে পারেন।।
এভাবে যত ভিজিটরের সংখ্যা বাড়বে ওয়েবসাইটে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে
আপনার ইনকাম তত বৃদ্ধি পাবে।
৩. মোবাইল ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট তৈরি করুনঃ বর্তমানে অনেক অনেক ভিজিটরের মোবাইল ডিভাইস থেকে বিভিন্ন সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন। আই ওয়েবসাইটের
ব্যবহারের কারণে মোবাইল ব্যবহারকারীরা সহজে আপনার সাইট ভিজিট করতে পারবে। এভাবে
মোবাইল ব্যবহার করিগন যত ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন তত বিজ্ঞাপনে ক্লিক আপনার সংখ্যা
বাড়বে।
এভাবে মোবাইলে ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনি আপনার বিজিত সংখ্যা বাড়াতে
পারেন এবং ক্লিক সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার জন্য বাড়তে থাকবে।
৪. বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের সঠিক সময়ঃ অনেক সময় ওয়েবসাইটে ভিন্ন ভিন্ন
সময়ে বিভিন্ন ধরনের ভিজিটর লক্ষ্য করা যায়। ভিন্ন ভিন্ন ভিজিটরের কারণে তারা
বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনুপ্রবেশ করে তাই বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের সময় সঠিকভাবে
নির্বাচন করা উচিত এর ফলে বিজ্ঞাপন থেকে আপনার ওয়েবসাইটে আয় বাড়ানো সম্ভব হয়ে
ওঠে।
গুগল অ্যাডসেন্স সফলভাবে ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজন টিপস
গুগল অ্যাডসেন্স নিষিদ্ধ কার্যক্রম: গুগল এডসেন্সে বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ
কার্যক্রম রয়েছে যা আপনি নিয়ম নীতি অনুসরণ না করলে আপনার একাউন্ট বাতিল হয়ে
যেতে পারে। এ নিষিদ্ধ কার্যক্রম গুলি হলঃ
১. কনটেন্টের মান উন্নত করুনঃ আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইটে কনটেন্ট কে
আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলুন। কোন ট্রেনটি তো আকর্ষণীয় এবং ডাটাবেজ হয়ে থাকবে যেটা
হবে প্রচণ্ড ইন্টারেস্টিং তাহলে বিজিত সেটি পড়তে আগলেই হবে এবং বিজ্ঞাপনে ক্লিক
করার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।
২. ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড বাড়ানঃ আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড
বাড়াতে হবে। ধীর গতি সম্পন্ন ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীগণ বিরক্ত হয়ে যায় তাই
ওয়েবসাইট স্পিড বাড়ানোর দিকে নজর দিন যাতে ওয়েবসাইট ব্যবহারকারী গণ প্রযুক্তি
থেকে মুক্তি পাই এবং আপনার ওয়েবসাইটে ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়তে পারে
সে ক্ষেত্রে আপনি যথেষ্ট পরিমাণ ক্লিক পাবেন এবং আপনার google অর্থ উপার্জনের পথ
খুঁজে পাবেন।
৩. এসইও এবং সঠিক কিবোর্ড ব্যবহার করুনঃ আপনি সঠিকভাবে এসইও অর্থাৎ সার্চ
ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরের সংখ্যা বাড়িয়ে নেই
আয় বাড়াতে পারেন । মনে রাখতে হবে আপনার কনটেন্টের সঙ্গে কিবোর্ড ব্যবহারের
সামঞ্জস্যের দিকেও আপনি মিল রেখে আপনার ব্লক পোস্ট দিতে হবে।
৪. বিজ্ঞাপন প্লেসমেন্ট পরীক্ষা করুনঃ আমরা সাধারণত বিভিন্ন ধরনের
বিজ্ঞাপন প্লেসমেন্ট পরীক্ষা করে দেখে থাকি। জেসমিনটার সঙ্গে বিজ্ঞাপনের
সামঞ্জস্য থাকলে আপনার কন্টেন্ট যথেষ্ট পরিমাণ ক্রিকেট সংখ্যা বাড়তে পারে।
গুগল অ্যাডসেন্স নিয়ে আমাদের শেষ কথা
আমরা গুগল অ্যাডসেন্স মাধ্যমে ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আয় করার একটি সময়কার
পদ্ধতি ইতিমধ্যে লক্ষ্য করেছি। বেটি থেকে সফলতার সাথে আয় করার জন্য অনেক ধৈর্য
নতুন নতুন কৌশল এবং কনটেন্ট এর গুনাগুন এবং মানসম্মত কনটেন্ট অপরিহার্য। google
অ্যাডসেন্স সচরাচর যারা ব্যবহার করে সফল হতে আপনাকে নিয়মিত যুগোপযোগী কন্টেন্ট
তৈরি করতে হবে।
দর্শকের এবং কনটেন্ট ব্যবহারকারীদের চাহিদা বুঝে বিজ্ঞাপনগুলি ঠিকমতো প্রেস করতে
হবে এবং গুগলের পলিসি মেনে চলতে হবে। আপনি যদি সঠিক পদ্ধতিতে গুগলের কাজগুলি মেনে
অ্যাডসেন্স মাধ্যমে আয় করতে চান তবে গুগল এডস ওয়েবসাইটের সকল নিয়মকানুন
মেনে আপনাকে কনটেন্ট তৈরি করে ব্যবহার কারিদের উপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
পেন এন্ড পেপার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url