বাইনারি ট্রেডিং কি বাংলাদেশে হালাল?

বাইনারি ট্রেডিং কি বাংলাদেশে হালাল? সাম্প্রতিক সময়ে এ ব্যবসা নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। ব্যবসা গুলোর দিকে বিবেচনা করলে দেখা যায় এটি একটি দূরদর্শী ও সুনিপুণ দক্ষতাকে সামনে রেখে পরিচালিত হয়ে থাকে। 

বাইনারি-ট্রেডিং-কি-বাংলাদেশে-হালালধর্মীয় দিক থেকে অনেক আলেম-ওলামা ও মাসেহাকগন এই ট্রেডিং সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত প্রদর্শন করে আসছেন। এ ট্রেডিং এর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক তার বৈধতা কতটা ইসলাম সম্মত তা বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।

পেজ সূচিপত্রঃ বাইনারি ট্রেডিং কি বাংলাদেশে হালাল?

বাইনারি ট্রেডিং কি হালাল

বিশ্বব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জনকারী ট্রেডিং ব্যবসা গুলোর মধ্যে বাইনারি ট্রেডিং ব্যবসা বেশ জনপ্রিয়তা অর্জনকারী করেছে। ব্যবসা গুলোর মধ্যে বাইনারি ট্রেডিং ব্যবসা অন্যতম ব্যবসা হিসেবে এরই মধে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছে। এই ব্যবসায়ী ট্রেডাররা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এই ব্যবসাটি করে থাকে। এই সময়ের জন্য তারা দূরদৃষ্টি সম্পূর্ণ চিন্তা চেতনা দ্বারা কোন দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি বা দর পতনের পূর্বাভাস নির্ণয় করে লাভ করার চেষ্টা করে থাকেন।

 বিশ্বব্যাপী এই ব্যবসার জনপ্রিয়তা অনেক বেশি হলেও আমাদের দেশে ইসলামী শরীয় ভিত্তিতে কতটা গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে তা নিয়ে বিভিন্ন ইসলামিক চিন্তাবিদগণ বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করেছেন। এটির হালাল বা হারাম নিয়ে অনেকে অনেক মতামত প্রকাশ করলেও এই ব্যবসার সঙ্গে অনেকেই সরাসরি জড়িত। যারা হালাল হিসেবে কাজ করে থাকেন তারা প্রত্যক্ষভাবেই এই ব্যবসার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততা প্রকাশ করেছেন। 

বাইনারি ট্রেডিং কি বাংলাদেশে বৈধ

বাইনারি ট্রেডিং নিয়ে বাংলাদেশ তার বৈধতা ও তার আইনগত অবস্থান সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণে করে আশানুরূপ কোন মতামত প্রকাশ করেন নাই। বাংলাদেশ সরকার তার ব্যাংকিং ব্যবস্থাই স্পষ্ট কোন আইন বা কোনরূপ নীতিমালা প্রকাশ করতে পারে নাই। বাংলাদেশে বাইনারি ট্রেডিং সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংক অথবা রাষ্ট্রীয় কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই ট্রেডিং সম্পর্কিত কোন নির্দিষ্ট নিয়ম বা কোন বিধিমালা বা কোনরূপ পরিপত্র বা গঠণতন্ত্র  প্রকাশ করতে পারে নাই।

কোন নিয়ম-নীতি বা কোনরূপ নীতিমালা না থাকাই বাইনারি ট্রেডিং নিয়ে তার বৈধতা নির্ধারণে এ ট্রেডিংটা বেশ ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক আছে যা নিয়ে বিনিয়োগকারী মনে রেখে এ ট্রেডিং এ অংশগ্রহণ করতে পারেন। 

১. ফাঁদে পড়ার ঝুঁকি থাকেঃ বাইনারি ট্রেডিং নিয়ে আলোচনায় বলা হয় যে এই অর্থনৈতিক ট্রেডিং এর নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম রহিয়াছে। যেখানে অর্থনীতির প্রচারণামূলক তথ্য উপাত্ত প্রদান করা হয়ে থাকে। সুতরাং সকলের অবশ্যই এই ব্যাপারে এই ট্রেডিং প্লাটফর্ম ব্যবহার করার পূর্বে তার বৈধতা বা নির্ভরযোগ্য বিশ্বস্ততা যাচাই করে নেওয়া আমাদের উচিত বলে আমি মনে করি।

২. সতর্কতা অবলম্বনঃ বাইনারি ট্রেডিং এর কোন প্রচলিত আইন না থাকার কারণে বিনিয়োগকারীদের সবসময়ই সতর্ক থাকা আবশ্যক। কারণ অর্থনৈতিক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে গেলে তাতে ঝুঁকি রয়ে যায়। এই ব্যাপারে যারা বিশেষজ্ঞ আছেন তাদের সাথে পরামর্শ করে এই ট্রেডিংয়ে অংশগ্রহণ করা আপনিসহ আমাদের সকলেরই সতর্ক হিসেবে কর্তব্য নিষ্ঠার সাথে কাজ করা উচিত।
কারণ এই ট্রেডিং এর ঝুঁকি থেকেই যাই। নির্ভরযোগ্য তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে এই বাইনারি ট্রেডিং এই পেশায় অংশগ্রহণে সতর্কতা অবলম্বন করা সকলের কর্তব্য হিসেবে বিবেচিত।

৩. আইনগত পরামর্শঃ বাইনারি ট্রেডিং এ বিনিয়োগ করা এই ব্যাপারে নিয়মিত আইনি পরামর্শ নিয়ে অংশগ্রহণ করা উচিত বলে মনে করি। এই ব্যাপারে যারা বিশেষজ্ঞগণ আছেন তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে বাইনারি ট্রেডিং এ কাজ করা একান্ত উচিত বলে মনে করি।
যারা এই ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কাজ করে থাকেন তারা যেভাবে পরামর্শ প্রদান করেন সেভাবে কাজ করে যেতে হবে। যদি প্রয়োজন পড়ে সে ক্ষেত্রে একজন আইনজীবীর সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। সে ব্যাপারে একজন ভালো মানের আইনজীবী প্রয়োজন হতে পারে।
আপনার আরো যে যে পোষ্ট পছন্দ হতে পারেঃ

বাইনারি ট্রেডিং কিভাবে কাজ করে 

বাইনারি ট্রেডিং এর মৌলিক প্রক্রিয়া বেশ সহজ ও বোধগম্য হলেও এ ট্রেডিং একটি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ট্রেডিং হিসেবে কাজ করে থাকে। কারণ লাভ বা লোকসান তার পূর্বভাগের উপরে নির্ভর করে থাকে। তবে প্রকাশ থাকে যে একজন দূরদর্শী সম্পূর্ণ মানুষ তার মন, মনন ও বিবেচনা করে এর ট্রেডিং করে থাকেন। এর কার্যপ্রণালী ব্যাখ্যা করা হলো।

বাইনারি-ট্রেডিং-কি-বাংলাদেশে-হালাল১. অ্যাসেট নির্বাচনঃ বাইনারি ট্রেডিং একটি দূরদর্শী সম্পন্ন ব্যবসায়িক ফর্মুলেশন। যেখানে একজন দূরদর্শী সম্পূর্ণ মানুষ তার কার্যক্রমের দ্বারা সে অ্যাসেট নির্বাচন করে থাকেন। অ্যাসেট নির্বাচনে তাকে পণ্যের স্টক, ওয়েবসাইটের মূল্য, সোনা রুপা ইত্যাদি পণ্যের দাম, বা অন্যান্য ফাইনান্সিয়াল ইন্সট্রমেন্টস নির্বাচন করে কার্যপ্রণালী সম্পন্ন করে থাকেন।
২. পূর্বাভাস প্রদানঃ বাইনারি ট্রেডিং এ দূরদর্শী সম্পন্ন মানুষ বা ট্রেডাররা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অ্যাসেটটি মূল্য ক্রমবদ্ধমান বৃদ্ধি অথবা হ্রাসের পূর্বাভাস নির্ণয় করে থাকেন। এই অ্যাসেটির মূল্য কি হতে পারে তা নির্ণয় করার একটি দক্ষতা থাকা জরুরি বলে বিশেষজ্ঞগণ মত প্রকাশ করেন।
দূরদৃষ্টি সম্পূর্ণ বাইনারি ট্রেডিং এ যারা সম্পৃক্ত থাকেন তাদের এ ব্যাপারে যথেষ্ট দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। এই পূর্বাভাস ব্যবস্থার দূরদৃষ্টি জ্ঞানকে Call Option বা Put Option হিসাবেও আমরা চিহ্নিত করতে পারি।

৩. নির্ধারিত সময়ঃ বাইনারি ট্রেডিং এ যারা সম্পৃক্ত থেকে থাকেন তারা এটি সময়ের ব্যাপারে পূর্বাভাস নির্ণয় করে থাকেন। একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এই ট্রেডিং টি প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে (যেমন হয়ে থাকে ট্রেডিংটির সময় ৫ মিনিট, ৩০ মিনিট, অথবা ১ ঘন্টা) অপেক্ষা করতে হয়ে থাকে।
এই সময়ের মধ্যে বাইনারি ট্রেডাররা অপেক্ষা করেন যে অ্যাসিডটির মূল্য কতক্ষণ সময়ে পরিবর্তন হতে পারে। যদি লভ্যাংশের পরিমাণ আশাব্যঞ্জন যোগ হয়ে থাকে তবে এই বাইনারি ট্রেডাররা লভ্যাংশের হিসাবটি সহজেই অনুমান করতে পারেন। তবে অনেক ক্ষেত্রে লোকসান হলে ট্রেডারগণ অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

৪. ফলাফলঃ এটি একটি অনুমিয় ট্রেডিংয়ের পর্যায়ে পড়ে থাকে। সঠিক সময় শেষে যদি ট্রেডারের পূর্বাভাস সঠিকভাবে নিরূপণ করে থাকে সেক্ষেত্রে ট্রেডরগণ ফলাফল হিসাবে যথেষ্ট লাভবান হয়ে থাকেন। অপরদিকে ট্রেডারগণের যদি পূর্বাভাস ভুল নির্ণয় করে থাকেন।
তবে তাদের যে বিনিয়োগ সে বিনিয়োগের অংশ হারান যা হতাশা ব্যঞ্জক। এখানে বাইনারি ট্রেনিং এ একজন ট্রেডারকে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন প্রকৃত পূর্বাভাস ও তার সঠিকতা যাচাই করে অংশগ্রহণ করতে হয়। পূর্বাভাসে সঠিকতা ও ট্রেডিং প্লাটফর্মের কিছু শর্তাবলীও মেনে চলা উচিত। 

বাইনারি ট্রেডিং কি জুয়া 

আমরা সচরাচর লক্ষ্য করে থাকি বাইনারি ট্রেডিং এর ধরন ও প্রকৃতি অনেকাংশে এটিকে জুয়া বা গেম্বলিংয়ের সাথে মিলে যেতে পারে। এ ব্যাপারে এর কিছু কারণ বিশ্লেষণ করলে তা সহজেই অনুমেয়। কারণগুলি নিচে ব্যাখ্যা করে বুঝানোর চেষ্টা করা যাক। 

১. উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ: বাইনারি ট্রেডিং করার জন্য একজন মানুষের দূরদৃষ্টি সম্পূর্ণ ও চিন্তা চেতনা অনেকটা দক্ষ ব্যক্তিত্বের পরিচয় বহন করে। এখন অনেকেই এই বাইনারি ব্যবসার সঙ্গে সরাসরি জড়িত হয়ে থাকেন। এই ব্যবসাটি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ কাজে অনেক দক্ষতার প্রয়োজন হয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ করে তা কাজে লাগতে পারে যার ফলাফল অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রায়ই অনিশ্চিত অবস্থায় পড়ে থাকেন। 

২. অনিশ্চয়তা: বাইনারি ট্রেডিং এ অনেক দক্ষ ও বিশ্লেষণ মতাবলম্বী অনেক ব্যক্তিত্বই কাজ করে থাকেন। এই টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ করাটাও একটি অনিশ্চয়তার মধ্যে কাজ করে থাকে। যেখানে অনিশ্চয়তার ফলাফল নির্ভর করে সেখানে তাকে ভাগ্যের উপর অনেকাংশে ছেড়ে দিতে হয়। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ বা মার্কেট প্রবণতা অনুসরণ করা সত্ত্বেও এখানে লভ্যাংশের পূর্বাভাস সঠিকভাবে নিশ্চয়তা প্রদান করতে অক্ষম হয়ে থাকে। 

৩. গেম্বলিং: বাইনারি ট্রেডিং এ সাধারণত সবসময়ের জন্য একটি ব্যস্ততম ট্রেডিং হিসাবে উত্তেজনা বা তাড়াহুড়ার প্রভাব দেখা যায়। এই তাড়াহুড়ার কারণে এটাকে গেম্বলিং এর মৌলিক বৈশিষ্ট্যের সাথে মিলে যাই। যেখানে বলা হয় তাড়াহুড়া কোন কাজেই সফলতা আনয়ন করা অনেক ক্ষেত্রে অসম্ভব হয়ে পড়ে।

বিধায় তাড়াহুড়ার কারণ এর জন্য এটাকে অনেক সময় গেম্বলিং এর সাথে তুলনা করা হয়ে থাকে। এখানে বাইনারি ট্রেডিং হিসাবে এত তাড়াহুড়া করা একটি ট্রেডিং ব্যবসার বৈশিষ্ট্য হিসেবে আমরা সমর্থন করতে ব্যর্থ হই। 

ইসলামিক আইন অনুযায়ী বাইনারি ট্রেডিং এর বৈধতা 

বাইনারি ট্রেডিং সাধারণত একটি ব্যবসা যা দক্ষতা সূনিপুণতা দূরদৃষ্টিতে এবং বিচক্ষণতা নিয়ে কাজ করে থাকে। এটি একটি মস্তিষ্ক ঝড়ের সৃষ্টি করে যেখান থেকে একজন ট্রেডার বিশ্লেষণ করার সক্ষমতা অর্জন করে থাকে। এটি একটি বিশেষায়িত গুণ যা মানুষকে তার ক্রিটিভিটি তৈরিতে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে।

ক্রিয়েটিভিটির কারণে মানুষ তার সঠিক দিকনির্দেশনা প্রকাশ করে থাকে। ধর্মীয় দিক থেকে বিচার বিশ্লেষণ করলে ইসলামী শরীয়া আইন অনুসারে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেনের বৈধতা নির্ধারণ করার জন্য কিছু মৌলিক নীতিমালা মেনে চলা আমাদের কর্তব্য।

ইসলামী নিয়ম-নীতি মেনে চলে বাইনারি ট্রেনিং এর ইসলামিক শরীয়া মোতাবেক তার বৈধতা বিশ্লেষণ করতে গেলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলির বিবেচনায় আনা জরুরী বলে আমরা মত প্রকাশ করি। 

ইসলামী শরিয়া আইন ও বাইনারি ট্রেডিং 

ইসলামী শরিয়া আইন অনুযায়ী যেকোনো আর্থিক লেনদেনের ধরন অনুযায়ী তার বৈধতা নির্ধারণ করে থাকে। সেই ক্ষেত্রে বাইনারি ট্রেডিং  তার গুরুত্ব ও যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করলে এর গুরুত্ব অনুধাবন করা আমাদের ধর্মীয় নীতি নির্ধারণে যে প্রভাব ফেলতে পারে তা নিম্নরূপ। 

রিবা (সুদ) আমাদের ধর্মে সাধারণত সুদ গ্রহণ এটি ধর্মীয় অনুশাসন দ্বারা গ্রহণযোগ্যতা পায় না বলে এটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যারা বাইনারি ট্রেডিং এ সরাসরি যুক্ত থাকেন, সেই ক্ষেত্রে এই ট্রেডিং এ ঝুঁকি ও অস্থিরতার কারণের এটিকে সুদ গ্রহণের চরিত্রের মধ্যে সুবিন্যস্ত আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।  যা ইসলামী শরীয়া মোতাবেক এই ব্যবসার গ্রহণযোগ্যতা মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য বিপদজনক বলে প্রতিমান।

বাইনারি-ট্রেডিং-কি-বাংলাদেশে-হালালগেম্বলিং (জুয়া) বাইনারি ট্রেডিং এর ব্যাবসায়িক চরিত্র এটিকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসায় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ চরিত্রের কারণে এটিকে গেম্বলিং এর মতো মনে হয়। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এর অস্থিরতা অনেক সময়ই গেম্বলিং এর মত মনে হতে পারে। এই কারণে শরিয়া মোতাবেক এটি ইসলামী অনুশাসন দ্বারা নিষিদ্ধ। সেই ক্ষেত্রে বিচার-বিশ্লেষণ করে গ্যাম্বলিং ট্রেডিং এ আপনাকে অনুপ্রবেশের অনুমতি প্রদান করা যাচ্ছে।

হালাল ট্রেডিং এর নিয়ম ও শর্ত 

আমরা সাধারণত ইসলামী শরীয়া মোতাবেক হালাল উপার্জনের পক্ষে মতামত প্রকাশ করে থাকি। কারণ ইসলাম হারাম উপার্জনকে বৈধতা দেয় না। বাইনারি ট্রেডিং সে ক্ষেত্রে হালাল হতে পারে না, তবে কিছু নিয়ম ও শর্ত মেনে চললে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক আপনাকে এই ব্যবসারসঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে উঠতে সহায়তা পেতে পারেন। 

১. স্পষ্টতাঃ বাইনারি ট্রেডিং সব সময়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ,সেই ক্ষেত্রে কিছু কিছু ট্রেডিং এর শর্ত ও নিয়ম জেনে আপনাকে স্পষ্টভাবে এর নিয়ম নীতি জেনে এবং পরিষ্কার অবস্থা বুঝে আপনাকে এই ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত হতে হবে।
যেটি শরীয়া মোতাবেক আপনার ধর্মীয় অনুশাসন দ্বারা আপনি নিয়ন্ত্রিত হতে পারেন। যেন কোনভাবেই ধর্মীয় অনুশাসনের পরিপন্থী না হয় সেদিকে বিচার-বিশ্লেষণ করে আপনাকে এই বাইনারি ট্রেনিং এ সম্পৃক্ত হতে হবে।

২. ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাঃ বাইনারি ট্রেডিং এ সবসময় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে থেকে কাজ করতে হয়। যেকোনো ঝুঁকি আপনার মন মানসিকতাকে অস্থিরতার দিকে এগিয়ে নিতে যেতে পারে। ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আপনাকে আপনার মানসিক এবং শারীরিক অবস্থার দিকে বিবেচনা করে যুগোপযোগী কৌশল অবলম্বন করতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনি একজন বিনিয়েগকারী হিসেবে আপনাকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করবে। সেই ক্ষেত্রে যাতে কোন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থনে না যান সেই ক্ষেত্রে ধর্মীয় অনুশাসন আপনাকে মেনে বাইনারি ট্রেনিং এর সঙ্গে কাজ করে যেতে হবে।

৩. অন্যায়ের অভাবঃ বাইনারি ট্রেনিং এ অনেক ব্যক্তি আছেন যাদের মধ্যে অন্যায় অবিচার এবং প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে থাকেন। ক্ষেত্রে বিশেষে আপনি একজন মুসলমান হিসাবে আপনাকে এই অন্যায় অবিচার এবং প্রতারণা থেকে অনেক দূরে থাকতে হবে।
যাতে করে আপনি ধর্মীয় নীতি নির্ধারিত কাজকর্মে কোনর রূপ ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয়। এই বিষয়গুলো নিয়ে আপনি যথাযথভাবে কাজ করে যেতে পারেন।

বাইনারি ট্রেডিং নিয়ে আমাদের শেষ কথা 

বাইনারি ট্রেডিং নিয়ে বহুবিধ বিতর্কিত বিষয় উঠে আসে যা সরিয়া মোতাবেক ইসলামী আইনের পরিপন্থী।  এটিকে একটি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এবং সম্পূর্ণ অস্থিরতা নিয়ে কাজ করতে হয়। অস্থিরতার সঙ্গে কাজ করাকে ইসলাম সমর্থন করেনা। সে ক্ষেত্রে এটি জুয়া বা গেম্বলিং এর মত হতে পারে। আমাদের দেশে বাইনারি ট্রেডিং এর আইনি বৈধতা এখনো স্পষ্ট নয়। সেই ক্ষেত্রে আমাদের বিনিয়োগের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

আপনি নিজে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এই বাইনারি ট্রেডিং এর জন্য প্রাসঙ্গিক তথ্য সংগ্রহ, গবেষণা এবং আইনগত পরামর্শ গ্রহণ করা অতীব জরুরী। ইসলামী ধর্মীয় অনুশাসন ও তার নীতিমালা মেনে চলা, ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবস্থাপনা এবং তার সতর্কতা অবলম্বন করে আপনি নিজে এই প্রক্রিয়ার সাহায্য নিতে পারেন। আপনি একজন বিবেকবান ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানবিক গুণাবলী নিয়ে সঠিক ও সচেতন দৃষ্টিকোণ থেকে বাইনারি ট্রেডিং এ অনুপ্রবেশ করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পেন এন্ড পেপার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url