কাজে মনোযোগ ধরে রাখার আটটি উপায় জেনে নিন
কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে উপায় হলো যেকোনো কাজের পূর্ব শর্তের দিকে যথাযথ ভাবে মনোযোগ দিতে হবে। প্রসঙ্গত যে কোনো কাজ তা বড় হোক অথবা ছোট হোক কাজের প্রতি সম্মান রেখে সে কাজ করে যেতে হবে। একই কাজ অনেক সময় বিরক্তির কারন হয়ে দাঁড়ায়।
পেজ সূচিপত্রঃ
- কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে কাজের সময়সীমা নির্ধারণ
- কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে কাজের পূর্বপরিকল্পনা তৈরি
- কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে কাজের মাঝে কিছু বিরতি
- কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে কাজ যেভাবে করতে হবে
- কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে কাজের পরিবেশ তৈরি
- কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে সামাজিক মাধ্যম থেকে বিরত থাকুন
- কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে কাজের অনুপ্রেরণা খুঁজে নিন
- কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে শরীর সুস্থ রাখুন
- আমাদের শেষ কথা
কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে কাজের সময়সীমা নির্ধারণ
পূর্ব পরিকল্পিতভাবে যে কাজটি সম্পন্ন করবেন তার সময়সীমা নির্ধারণ করে নিন। কারণ যে কাজটি সম্পন্ন করবেন তা কত সময়ের মধ্যে শেষ করবেন তা আপনার মস্তিষ্কে চ্যালেঞ্জ হিসেবে কাজ করে থাকবে। এ সমস্ত কারণে কাজের গতিও বেড়ে যায়। সেই ক্ষেত্রে আপনাকে নিজ মস্তিষ্কে একটি পরিকল্পনা তৈরি করে নেওয়া জরুরী। কিভাবে কত কম সময়ে সুন্দরভাবে কাজটি সম্পন্ন করে দিবে তার নিজের অজান্তেই আপনার মস্তিষ্ক পরিকল্পনা তৈরি করে থাকে।
যেকোনো কাজ শুরু করার আগে নিজের মন অবচেতনভাবে যে কোন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে মস্তিষ্কে ঝড়ের সৃষ্টি করে থাকে তখন নিজের অবচেতন মনে একটি দৃঢ় পরিকল্পনা তৈরি করে থাকে। তবে মনে রাখতে হবে তাড়াহুড়ো করে কাজ তৈরি না করে মন স্থির ভাবে ও নিখুঁতভাবে কাজটি পরিপূর্ণতা দেওয়ার জন্য কাজ শুরু করার আগে বিষয়টি নিয়ে একটু ভাবুন। এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করা ও পরিছন্নতা ও সময় ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভাবুন।
আরো পড়ুনঃ লোকাল SEO দিয়ে কিভাবে ব্যবসার সফলতা করবেন
কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে কাজের পূর্বপরিকল্পনা তৈরি
কাজ শুরু করার আগে কাজ শুরুর আগের দিন কাজের পূর্ব পরিকল্পনা তৈরি করে রাখুন। কাজের গুরুত্ব অনুযায়ী যে কাজটা আগে করবেন সেই হিসেবে সিকোয়েন্স এর উপর গুরুত্ব বিবেচনা করুন। কোন কাজটা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগে করবেন তারপর দ্বিতীয় অতঃপর তৃতীয় এভাবে কাজের পরিকল্পনা আগেই তৈরি করে নিন। যদি কোন কারনে কাজের পূর্ব দিনটা তৈরি করতে না পারেন তবে সকালে ঘুম থেকে উঠে তা তৈরি করতে পারেন।
এভাবে কাজ করলে কাজের সময় ও কাজের স্বচ্ছতা সবকিছু ঠিক থাকবে। এই ভাবে কাজ করলে কাজের সময় ও বাঁচানো সম্ভব হয়ে থাকে। নির্দিষ্ট ও পূর্বপরিকল্পিতভাবে কাজ করলে কাজের গতি ও কাজের নির্ভুলতা বেড়ে যায় ও কাজের পরিপূর্ণতা লাভ করা সম্ভব হয়ে ওঠে ।
কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে কাজের মাঝে কিছু বিরতি
কর্মব্যস্ততাই একটানা যদি কাজ করতে থাকেন তবে আপনার মস্তিষ্কে সঙ্গে সঙ্গে এলো মেলো ও ক্লান্ত হয়ে যাই। একটানা চেয়ারে বসে কাজে যেমন সমস্যা তৈরি হয় তেমনি মস্তিষ্ক ও কাজের প্রতি একাগ্রতা ঠিক থাকে না। কাজের মাঝে ও বিরতি দিতে হয় নচেৎ তার কর্ম দক্ষতা আস্তে আস্তে কমতে থাকে। কাজের সময়ের উপরে বিবেচনা করে অন্তত প্রতি সময়ে পাঁচ থেকে দশ মিনিট পর্যন্ত বিরতি দিতে পারেন। এতে আপনি একটু মানসিক প্রশান্তি পাবেন।
কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে কাজ যেভাবে করতে হবে
একসঙ্গে একাধিক কাজ করবেন না। অনেকেই শারিরিক ভাবে ভালো আছেন। যারা একসঙ্গে একাধিক কাজে মনোনিবেশ করে থাকেন। একসঙ্গে একাধিক কাজ করলে কাজের ফোকাস ঠিক রাখা যায় না। তাতে কাজের গুরুত্ব থাকেনা কাজের স্বচ্ছতা ঠিক রাখা যায় না। সেই দিক থেকে আপনাকে একসঙ্গে একাধিক কাজ না করে কাজের গুরুত্ব বিবেচনা করে একটি কাজের উপরে গুরুত্ব দিতে হবে।
একসঙ্গে একাধিক কাজ করলে মস্তিষ্ক ফোকাস ঠিক রাখা যায় না। মনে রাখতে হবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একটি কাজ শেষ করে আরেকটি কাজ শুরু করা। একটি কাজ শেষ করে দশ মিনিট পরবর্তী কাজের জন্য চিন্তা করে দ্বিতীয় কাজটি শুরু করুন। তাদের দ্বিতীয় কাজটিরও গুরুত্ব পাবে। এভাবে কাজ করলে কাজের যেমন স্বচ্ছতা বাড়বে অপরদিকে আপনার দক্ষতা ও বেড়ে যাবে।
কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে কাজের পরিবেশ তৈরি
নিখুঁত ও ভালোভাবে এবং সাবলীলভাবে কোন কাজ করার জন্য কাজের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা আবশ্যক। অনুকূল পরিবেশ না পেলে কোন কাজই ভালোভাবে তৈরি করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। মনে রাখতে হবে যে কোন কাজ স্বচ্ছতার সঙ্গে করতে হলে কাজের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
কাজের জন্য অনুকূল পরিবেশ কাজের গতিকে প্রভাবিত ও সহায়ক হিসেবে কাজ করে থাকে। যেখানে বসে আপনি কাজ করছেন সেখানে কাজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও তথ্যাদি হাতের কাছে থাকে। তাতেই কাজের গতি ও গুরুত্ব ঠিক থাকবে। কাজ যাতে নির্বিঘ্নে হয় এর জন্য কাজের অনুকূল পরিবেশ আপনাকেই তৈরি করে নিতে হবে।
কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে সামাজিক মাধ্যম থেকে বিরত থাকুন
আমাদের সকলেরই জীবনে সামাজিক মাধ্যমগুলো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা এই সামাজিক মাধ্যমে কাজের ফাঁকে ফাঁকে অনুপ্রবেশ করে থাকে। এভাবে কাজ করলে কাজের প্রতি নিষ্ঠা ও অনুপ্রেরণা নষ্ট হয়ে যায়। কিছু লোক আছেন যারা কিছু সময় পরপর সামাজিক মাধ্যমে অনুপ্রবেশ না করলে অস্থির হয়ে যাই এতে করে কাজের ব্যাঘাত ঘটে।
তাই কোন কাজ শুরু করার আগে যথাসম্ভব ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসআপ, ভাইপার, ইমো সবগুলো সামাজিক মাধ্যম থেকে দূরে থাকতে হবে একটি স্মার্ট ফোন যেটি আপনার পাশে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এটিকে দূরে রাখতে হবে যাতে করে ঘন ঘন সেদিকে চোখ না পড়ে আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নোটিফিকেশন চেক করার জন্য ব্যস্ত হয়ে না উঠে সে দকে খেয়াল রাখতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ২০২৪ সালে ই পাসপোর্ট করার নিয়ম জানুন
কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে কাজের অনুপ্রেরণা খুঁজে নিন
কাজ করার আগে কাজের মধ্যে কাজের অনুপ্রেরণা খুঁজতে থাকুন। কাজের অনুপ্রেরণা পেলে কাজের উদ্যম ও নিষ্ঠা বেড়ে বেড়ে যাই। আর যখনই কাজের অনুপ্রেরণা বেড়ে যাবে। তাতে করে আপনার নিষ্ঠা ও একাগ্রতা আরো বৃদ্ধি পাবে এভাবে কাজ করলে তখনই কাজের পূর্ণ মনোযোগ ধরে রাখা সম্ভব হবে। আর কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করা আপনার জন্য সহজ হবে।।
প্রয়োজনে আপনি আপনার সহকর্মীর সাথে কাজটির গতি প্রকৃতি ও সফলতা নিয়ে মতবিনিময় করতে পারেন। এতে করে আপনার কোন ত্রুটি বা অপূর্ণতাও প্রকাশ করতে পারবেন। অন্যের ফিডব্যাক এর উপর গুরুত্ব দিতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে যে ফিডব্যাক নেওয়ার মতো মন মানসিকতাও আপনার থাকতে হবে। এভাবে কাজ করলে আপনার দক্ষতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে শরীর সুস্থ রাখুন
শরীর সুস্থ থাকলে মন ও কাজের প্রতি একাগ্রতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। কাজের সময় শরীর মিল একটা অপরটার পরিপূরক হিসেবে কাজ করে থাকে। বলা হয়ে থাকে শরীর ভালো তো সব ভালো। শরীর ভালো না থাকলে কাজে মন বসে না। কাজকে ভালো রাখতে হলে শরীরটাও ঠিক রাখতে হবে। শরীর সুস্থ রাখতে হলে সকাল সকাল ঘুমোতে যেতে হবে। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে শরীরকে সতেজ রাখতে হলে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। সঠিক সময়ে প্রত্যহ খাবারের উপর গুরুত্ব দিতে হবে।
আমাদের শেষ কথা
স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল। এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে আমাদের দৈনন্দিন কাজ করে যেতে হবে। এভাবে নিয়মানুবর্তিতার সঙ্গে সামঞ্জস্য দেখে জীবন যাপনে অভ্যস্ত হতে হবে। আপনার প্রফেশনাল কাজে গতিব আসবে এবং আপনার জীবনের সফলতা ফিরে পাবেন। "অলস মস্তিষ্ক শয়তানের আড্ডা" আপনি যদি সঠিক নিয়মানুবর্তিতার সঙ্গে জীবন যাপন করতে পারেন, অপরদিকে আপনার নিষ্ঠা ও একাগ্রতা দিয়ে জীবন যাপন করতে পারেন। তাতে যে কোন কারণে আপনার সফলতা নিশ্চিন্ত করতে পারবেন এবং মনোযোগ ধরে রাখতে পারবেন। যেটা আমাদের উন্নতির সোপান হিসেবে কাজে আসবে।
পেন এন্ড পেপার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url