ফ্রিল্যান্সিং কি? - বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি?
ফ্রিল্যান্সিং কি ও বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি জানতে চান? ফ্রিল্যান্সিং বর্তমানে বেশ প্রসার লাভ করেছে। আমাদের দেশে অনেক ছেলে মেয়েরা এ পেশার সঙ্গে জড়িত।তারা ফ্রিল্যান্সিং করে নিজেরা প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
পেজ সূচিপত্রঃ ফ্রিল্যান্সিং কি? - বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি?
- ফ্রিল্যান্সিং কি
- বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
- ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কি কি
- ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন হয়
- ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোন কোন বিষয় সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ
- ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সব চেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি
- ফ্রিল্যান্সারদের টাকা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি
- কোন ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য আয় বেশি
- ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি
- ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত
- ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণের শতকরা হার কত ২০২৪
- ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সেলার কাকে বলা হয়
- ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪
- ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে লেখকের বক্তব্য
ফ্রিল্যান্সিং কি
ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে এমন একটি স্ব উদ্যোগী পেশা, যেখানে আপনি নিজে ইন্টারনেটের সংযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন । আমরা এটাকে চাকুরীর মতই দেখে থাকি। কিন্তু এর ভিন্নতা হল, এখানে আপনি কারো অধীনস্থ না থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন। এর আবার কেউ কেউ নিজে উদ্যোক্তা হয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।
দেখা গেল আপনার কোন একটি সময়ে কাজ করতে ভালো লাগছে না বা করবেন না, আবার যখন ইচ্ছা তখনই কাজ করতে পারবেন। এখানে ধরা বাঁধা কোন নিয়ম নীতি নাই। বা অফিস টাইম এর মত সময় নির্ধারণ করা থাকে না। এখানে আপনার নির্দিষ্ট এপ্লোয়ার নেই। যখন যে কোন বায়ার এর কাজ নিবেন তখনই সেই আপনার এপ্লোয়ার হিসেবে কাজ করবেন। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোন অফিস প্রয়োজন হয় না।এটা মূলত বাড়িতে বসেই আপনি কাজ করে যেতে পারবেন।
আমরা জানি আমাদের দেশে যে কোন বিষয়ে দক্ষতার তেমন কোন কদর নেই। কিন্তু বাইরের দেশ গুলোতে দক্ষতার যথেষ্ট মূল্যায়ন আছে। আপনি যদি যথেষ্ট পরিমাণ দক্ষতা আপনার থেকে থাকে তবে আপনার কদর বাড়বে। আপনি বাইরের দেশের সাথে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করলে বাংলাদেশের তুলনায় বাড়িতে বসে দ্বিগুণ অথবা তিন গুণ অর্থ অনায়াসে উপার্জন করতে পারবেন।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সবচাইতে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সবচাইতে ডিমান্ডেবল সেক্টর হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং হল ইন্টারনেট সোশ্যাল মিডিয়া সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। ইমেল এবং এরই সঙ্গে ডিজিটাল প্লাটফর্ম যেখানে বসে এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করে যে কোন পণ্য সেবা ব্র্যান্ড বা যেকোন প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা চালানোর একটি প্রক্রিয়া।
দিন আস্তে আস্তে যত এগোচ্ছে মানুষ ততই অনলাইনে দিকে ঢুকে পড়ছে। ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য বা সেবা অনলাইনের মাধ্যমে তাদের ব্যবসার বিস্ততি ঘটাচ্ছে এভাবে তাদের পণ্য মানুষের কাছে প্রচার-প্রচারণার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে। ফ্রিল্যান্সিং এর যতগুলো সেক্টর রয়েছে তার মধ্যে ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, ভিডিও মেকিং সবগুলো আলাদা আলাদা কনটেন্টের কাজ করে।
সকল কাজ কর্ম শেষে যে কোনো কনটেন্টটি তাদের ওয়েবসাইট কন্টেন্ট, ভিডিও প্রোডাক্ট এসবের কাজ, প্রচার প্রচারণার জন্য একজন ডিজিটাল মার্কেটিংকে খুঁজবে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর হল ডিজিটাল মার্কেটিং। তবে এই সেক্টরের সময় ও কাজ ভেদে আলাদা আলাদা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হল,
- এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)
- এস ইএম বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটি (SEM)
- কনটেন্ট মার্কেটিং( Contact Marketing)
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM)
- ইমেল মার্কেটিং (E-mail Marketing)
- ভিডিও মার্কেটিং (Video Marketing)
- এফিলিয়েট মার্কেটিং( Affiliate Marketing)
তবে উপরের যেকোনো একটি পছন্দ করে আপনি আপনার কাজ আরম্ভ করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কি কি
বর্তমানে ডিজিটাল যুগে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় পেশা হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছে । এটি এমন একটি পেশা যা যেখানে ইচ্ছা পোষণ করবেন সেখানে থেকেই কাজ করে যেতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে দশটি সহজ উপায়ে আপনি আপনার ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবেন। আপনি এ জগতে নতুন হোওন বা পুরাতন হোওন নিম্নের নির্দেশিকা আপনাকে আদর্শ ফ্রিল্যান্সার হিসাবে তৈরি করতে সাহায্য করবে।
কন্টেন্ট রাইটিংঃ
বর্তমানে ব্লগে কনটেন্ট রাইটিং হিসেবে কাজ করে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেন। আপনার লিখার যদি ভালো দক্ষতা থেকে থাকে অথবা কার্যকর বিষয় নিয়ে গবেষণা করার মতো দক্ষতা থেকে থাকে অথবা লেখালেখি করতে ইচ্ছা পোষণ করে থাকেন তবে এই পেশাটি আপনার জন্য। এই কন্টেন্ট হতে পারে যে কোন ভাষাতে তবে আপনি বাংলা ভাষাভাষী তবে বাংলাকে গুরুত্ব দিয়ে আপনি লিখতে পারেন।
ডাটা এন্টিঃ
ব্যক্তিগত পছন্দ ও দক্ষতার উপর ডেটা এন্টিকে কাজে লাগাতে পারেন। বেসিক কম্পিউটার ও টাইপিং দক্ষতা দিয়ে আপনাকে কাজ করতে হবে। আপনার ডোটা এন্টির কাজ জানা থাকলে আপনি দ্রুত এ কাজ করতে পারেন। এ কাজ করতে আপনাকে উচ্চশিক্ষিত বা বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না। বর্তমানে এ কাজের প্রতিযোগিতা বেশি অপরদিকে চাহিদাও কম। তবুও নিরাশ না হয়ে কাজ শুরু করতে পারেন। একজন ব্যক্তির সফলতা নির্ভর করে, তার দক্ষতা পছন্দ ও ডাটা এন্টির দক্ষতার উপর।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টঃ
যাদের ফ্রিল্যান্সিং কাজে অভিজ্ঞতা কম কিন্তু আগ্রহ আছে, তারা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে কাজ করতে পারেন। এজন্য আপনার হাতে প্রচুর খালি সময় থাকতে হবে। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ হল ব্যবসা উদ্যোক্তা এবং ব্যক্তির বিভিন্ন কাজের সহায়তা করা। অনেক ব্যবসায়ী তাদের ব্যস্ততার জন্য ভার্চুয়াল ব্যবসায়ীদের খুঁজে নেন। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে আপনাকে ব্যবসার রিপ্লাই দেওয়া, সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল ম্যানেজ করা, এপার্টমেন্ট নির্ধারণ করা ইত্যাদি কাজ করে দিতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টঃ
আমরা বিভিন্ন সময় সোশ্যাল মিডিয়ার অনেক সময় ব্যয় করে থাকি। আমরা যদি বুঝি তবে এই মিডিয়ার মাধ্যমে আয়ের উৎস খুঁজে পেতে পারি। এখন প্রতিটা ব্যবসা ও ব্র্যান্ডগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সুন্দরভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন একটি প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জ্ঞানী হন তবে ব্যবসার জন্য সামাজিক মিডিয়ার অ্যাকাউন্টগুলি পরিচালনা করতে পারেন তবে এটি আপনার জন্য উপযোগী।
এ বিষয়টি সত্য যে কোম্পানিগুলো ফ্রিল্যান্সারদের খুঁজে খুঁজে কাজে দিয়ে থাকেন। ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আপনার কাজ হল নিয়মিত কন্টেন্ট লেখা ও পোস্ট করা। ফলোয়ারদের রিপ্লাই দেওয়া আর এই কাজের জন্য ক্লায়েন্ট আপনাকে ঘন্টা হিসেবে টাকা প্রদান করবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ
গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজের চাহিদা দিনের পরে দিন বেড়ে চলেছে। অনলাইনে এই ডিজাইনের কাজের গুরুত্ব অনেক বেশি। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে ওয়েবসাইট পর্যন্ত সব খানের এ কাজের গুরুত্ব অপরিসীম। আপনার যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মৌলিক দক্ষতা থাকে তবে আপনি সাধারণ লোগো সোশ্যাল মিডিয়া গ্রাফিক্স বা মৌলিক বিজ্ঞাপন তৈরির মতো প্রকল্পের কাজ করে যেতে পারেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন যেমন পেশাদার ব্র্যান্ডিং বা জটিল ইলেকট্রোনের কাজ উন্নত বলে বিবেচিত।।
ভিডিও এডিটিংঃ
বর্তমানে ভিডিও কনটেন্টে জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এর সঙ্গে সঙ্গে ভিডিও এডিটিং এর কাজের প্রয়োজন হচ্ছে। আপনি youtubers ব্যবসা বা বিষয়বস্তু নির্মাণে ভিডিও এডিট করতে পারেন, তবে এই পেশাটি আপনার জন্য । ভিডিও এডিট করতে সফটওয়্যার এর দক্ষতা আবশ্যক। এতে করে আপনার উপার্জন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকবে।।
অনলাইন টিউটরিংঃ
আপনি যদি অনলাইনে টিউটর হিসাবে নিজেকে তৈরি করতে পারেন। এতে করে শিক্ষাবিদ থেকে সংগীত ও ভাষাবিদ হয়ে আপনার দ্বারা অনলাইনে টিউটরিং করে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব বলে মনে করি।
কপিরাইটিংঃ
সচারচর দেখে থাকি, কপি রাইটাররা বিজ্ঞাপনের জন্য কপিরাইট করে থাকেন। ভাষা জ্ঞান সময়োপযোগী আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন লেখা পণ্যের জন্য আকর্ষণীয় বিবরণ উপস্থাপন এটি একটি সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ। ভোক্তার মনোবিজ্ঞানের দিকে খেয়াল রেখে অন্যের বিবরণ লিখে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।।
ওয়েব ডেভেলপমেন্টঃ
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ফ্রিল্যান্সারদের খুবই বেশি চাহিদা রহিয়াছে। দিনে দিনে দক্ষ ওয়েব ডেভলপারদের চাহিদা বাড়ছে। আপনার যদি কোডিং দক্ষতা থাকে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। যে কোনো সমস্যার সমাধান যদি নিজে থেকে করতে পারেন তবে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য। সময় ব্যবস্থাপনা, সুশৃংখল দক্ষতা ইত্যাদি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর সুযোগ খুঁজে পাওয়া যাবে। Upwork ফ্রিল্যান্সার ও ফাইবারের মতো বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে আপনি flashing এর সুযোগ খুজে পাবেন।
আপনার পছন্দের তালিকায় থাকতে পারে এমন আরো কিছু পোস্ট
ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন
অনেকে মনে করেন একটি ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে তা নয় নিজেকে ফ্রিল্যান্সার হিসাবে তৈরি করতে নিজ দক্ষতা অনুশীলন আবশ্যক। ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। যদি আপনি একজন দক্ষ ফ্রিলান্সার হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা অর্জন করতে চান তবে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
আপনি একটি স্মার্টফোনের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শুরু করতে পারেন। তবে এটি পর্যাপ্ত নয়। আপনি জানেন স্মার্টফোন অ্যাপ এর বৈশিষ্ট্য সীমিত এ ব্যাপারে নির্বিঘ্নে কাজ করার জন্য একটি ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ প্রয়োজন পড়বে। সঠিকভাবে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য এটির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
২. আপনি কি নিয়ে কাজ করতে চান ঠিক করুনঃ
অতিরিক্ত অভিজ্ঞতা ছাড়া আপনি কি নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে চান তা নির্ধারণ করুন। আপনার কাজের ধরন ঠিক করুন সেই হিসেবে একটি তালিকা তৈরি করুন। আপনি সেগুলি একটি পরিসেবাতে পরিণত করুন। যার জন্য ক্লায়েন্ট আপনাকে অর্থ প্রদানে ইচ্ছুক। আপনি নির্দিষ্ট কাজের জন্য আপনার অভিজ্ঞতা দক্ষতা এবং খ্যাতি গড়ে তুলবেন। যা একটি নির্দিষ্ট স্থানের বিশেষজ্ঞ বা নামী সংস্থাগুলি তার জন্য সাইড গীগ করার জন্য আপনার নিয়োগ যোগ্যতা বাড়িয়ে তুলবে।
৩. আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি করুনঃ
আপনি একজন দক্ষ ব্লগার হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে হলে আপনাকে একজন ভালো আর্টিকেল লিখার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। আপনাকে ভালোভাবে লিখার শৈলী ও নিবন্ধন গুলির জন্য যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য প্রচুর বই পড়ুন ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং দক্ষতা ও শিল্পের সাথে সম্পর্কিত কাজ গুলি বেশি বেশি পড়তে থাকুন।
৪. আপনার জন্য একটি প্লাটফর্ম খুঁজুনঃ
আপনার ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য একটি প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার চ্যানেলগুলি ও গিগ গুলির একটি দুর্দান্ত উৎস হতে পারে। শুরুর দিকে ফ্রিল্যান্সাররা যে ভুলটি করে থাকেন তা হল সবচাইতে জনপ্রিয় ফিনান্স মার্কেটিং প্লেস অনুসন্ধান করা। ফ্রিল্যান্সিং জগতে কম প্রতিযোগিতা পূর্ণ প্লাটফর্মে কাজ খোঁজা, যেখানে প্রতিযোগিতা কম হবে।
৫. আপনার প্রোফাইল তৈরি করুনঃ
আপনার উল্লেখযোগ্য প্রোফাইল তৈরি করুন। আপনার দক্ষতা অভিজ্ঞতা বিশেষ জ্ঞান অর্জনের তালিকা তৈরি করুন। এবং ব্যাখ্যা করুন কেন আপনি এ কাজের জন্য সেরা ব্যক্তি। সেখানে সংক্ষেপে আপনার কিছু কাজ পেজে একটি সুন্দর প্রোফাইল তৈরি করুন। গ্রাফিক্স ডিজাইন বা আর্টিকেল রাইটিং বা এস ই ও যায় করুন না কেন সেটা ফ্রিতে করে আপনি দেখানোর জায়গা তৈরি করুন।
৬. পোর্টফোলিও তৈরি করুনঃ
আপনি আপনার কাজগুলিকে বায়ারকে দেখানোর জন্য একটি পোর্টফলিও তৈরি করতে পারেন। একটি পোর্টফলিও একটি ওয়েবসাইট বা একটি ওয়েবপেজ হতে পারে। যেখানে আপনি আপনার সমস্ত কাজ প্রদর্শন করতে পারেন। আপনি যদি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হন আপনি আপনার সমস্ত ডিজাইন দেখাতে একটি সাইটে একটি পোর্টফলিও পৃষ্ঠা তৈরি করতে পারেন।
৭. পার্টটাইম ফ্রিল্যান্সিং করুনঃ
আপনি প্রথমেই নিশ্চিত হন যে ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য সঠিক ক্যারিয়ারের পদ কিনা। তবে এটি পার্টটাইম করার চেষ্টা করুন। প্রথমে ছোট ফ্রিল্যান্স গিগ গুলোকে কাজ করে প্রতিদিন কয়েক ঘন্টা ব্যয় করুন। আর শিখে নিন ফ্রিল্যান্সিং এর উপায়। আর যখনি আপনি বড় প্রকল্পগুলো মোকাবেলা করার মত আপনি আপনাকে প্রস্তুত করেছেন তবে পূর্ণ সময়ে আপনার ফ্রিল্যান্সিং করা উচিত।
৮. সঠিক মূল্য চার্জ করুনঃ
শুরুতে সঠিক মূল্য নির্ধারণ করা আপনার জন্য চ্যালেঞ্জ হিসাবে কাজ করবে। যেহেতু এ জগতে আপনি নূতন তাই অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের মতো একই দাম নেওয়া ঠিক নয়।এই বিবেচনায় আপনার মূল্যায়ন করে কাজের মূল্য ঠিক করবেন। এ ব্যাপারে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে।
৯. আপনার প্রথম ক্লাইন্ট খুঁজুনঃ
একজন ক্লায়েন্টের কাছে একটি প্রস্তাবনা লিখতে সতর্কতার সাথে লিখতে হবে। আপনাকে লিখার ক্ষেত্রে নিজেকে চিন্তা ভাবনা করে লিখতে হবে। ফ্রিল্যান্সার হিসাবে ক্লাইন্টকে কিভাবে আপনাকে চাকরি দেওয়া যাই তা খুঁজে বের করতে হবে। এই ব্যাপারে আপনাকে প্রাসঙ্গিক কভার লেটার তৈরি করে পাঠাতে হবে যাতে করে প্রাসঙ্গিক দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা হাইলাইট থাকে।
১০. আপনার পেশাদার নেটওয়ার্ক তৈরি করুনঃ
একজন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আপনি নিজেকে একজন পেশাদার হিসাবে পরিচিত করে গড়ে তুলতে হবে। এ ব্যাপারে অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের সঙ্গে শক্ত নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারেন। এটি করার মাধ্যমে আপনি একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিতে পারেন এবং আপনার পেশাদার নেটওয়ার্ক প্রসারিত করা শুরু করতে পারেন।
১১. প্রত্যাশার বাইরে ক্লাইন্টকে কাজ ডেলিভারি দিনঃ
আপনার ক্লাইন্ট যে ভাবে অনুরোধ করছেন ঠিক সেই ভাবেই আপনার কাজ ডেলিভারি করছেন। এটি একটি প্রত্যাশার জায়গা হিসাবে বায়ার আপনাকে মূল্যায়ন করছেন।আমি ১২০০ শব্দের মধ্যে একটি ব্লগ লিখার কাজ পেলাম সেখানে ১৫০০ শব্দ দিয়ে আমি ক্লাইন্টকে যথাসময়ে কাজটি ডেলিভারি দিলাম। নিশ্চিত করুন যে আপনি সীমারেখা পূরণ করেছেন। ক্লায়েন্টের কাজ মন দিয়ে শুনেছেন এবং তার ভাষ্যমতে অনেক স্থানে এডিট করেছেন এটি করতে পারলেই আপনার ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার সফলতা পাবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোন কোন বিষয়গুলো সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ
ফ্রিল্যান্সিং জগতে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য যে যে বিষয়গুলো সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ তা হল।
১. ইন্টারনেট সম্পর্কে ভালো দক্ষতা থাকতে হবে
২. google ও youtube এর ব্যবহার ভালোভাবে জানতে হবে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত বের করে আনার দক্ষতা থাকতে হবে।
৩. ক্লায়েন্টের সঙ্গে যোগাযোগ দক্ষতা বিশেষ করে ইংরেজিতে ভালোভাবে আর্টিকেল লিখতে পারা ও জ্ঞান থাকা দরকার।
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আপনারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন। কিন্তু অনেকে জানে না কোন মার্কেটপ্লেসে আমরা ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ ইনকাম করতে পারি। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেসগুলো কোনটি সেটা চলুন আজ আপনাদের জানিয়ে দেই,
- ফ্রিল্যান্সার
- ফাইবার
- upwork
- ট্রল্যান্সার
- পিপল পার আওয়ার
- গুরু
- ৯৯ ডিজাইনস
- ড্রিবেল
- টপ টাল
- ইউওয়ার্ক বিসোটলি
- স্ট্যাটা আপাস
- অথেন্টিক জব
- গিগ স্টার
- ফলো
- ক্রিয়েটিভ মার্কেট
- ক্লারিটি
- বিহান্স
- স্মাশিং জবস
তবে আমাদের দেশে ফাইবার আপওয়ার্ক এবং ফ্রিল্যান্সিং জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি।
ফ্রিল্যান্সারদের টাকা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সবচাইতে বড় মাধ্যম কোনটি
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের লাস্ট রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য টাকা পাওয়ার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হলো,
- Payoneer
- Paypal
- Wish
- Bank deposit
- Skrill
- Webmoney
এই পেমেন্ট মেথডগুলির মধ্যে Payoneer সবচাইতে জনপ্রিয়। কারন Payoneer ফিচারের দিক থেকে ফ্রিল্যান্সাররা সরাসরি তাদের একাউন্টে টাকা গ্রহণ করতে পারবে। তাছাড়া Payoneer একটি ক্রেডিট কার্ড ফ্রিল্যান্সারদের প্রধান করে যার মাধ্যমে তারা পেমেন্ট গ্রহণ অপদান করতে পারে।
কোন ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য আয় বেশি
আমাদের দেশে কোন ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য আয় বেশি তা নিয়ে আলোচনা করব।
ডেটা অ্যানালিটিক্সঃ
২০২৩ সাল নাগাদ ডাটা অ্যানালিটিক্স এর মার্কেট বেড়ে দাঁড়াবে ২৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার । যারা ফ্রিল্যান্সিং জগতে আগ্রহী তাদের জন্য দক্ষতা বাড়িয়ে ডেটা অ্যনালিটিক্স কাজে আয় বেশি হয়ে দাঁড়াবে।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টঃ
ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট ৭৯২৫ থেকে ১২৩২৯ চাকুরী সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই দিক থেকে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এ কাজ করার সুযোগ বেশি। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট প্রকল্প ভিত্তিক বা ঘন্টা ভিত্তিতে আয়ের সুযোগ থাকে।
মাইক্রোসফট অফিসঃ
মাইক্রোসফট কাজের দক্ষতার উপর ভিত্তি করে কিছু কাজ যেমন ২০ ঘন্টা সময়ের কাজ ১ ঘন্টায় করা সম্ভব হয়ে ওঠে । এই কারণে মাইক্রোসফট কাজে সময় কম লাগে। এতে করে স্বল্প সময়ে প্রচুর আয় করতে পারেন। যারা ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী তারা এক্সেল নিয়ে কাজ করতে পারেন তাতে দক্ষতা ও অর্থ সবই বাড়বে।
কপিরাইটিংঃ
যারা দ্রুত ও নির্ভুল কপিরাইটিং করতে পারেন। তারা ফ্রিল্যান্সিং জগতে এ কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এই কপিরাইটিং শীর্ষ ১০ চাহিদা সম্পন্ন কাজের মধ্যে ৫৩ শতাংশই বেড়ে বর্তমানে অনেক উর্ধ্বে অবস্থান করছে। কপিরাইটিং করেও আপনি বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
ট্রান্সক্রিপশনঃ
ভাষার কাজে রূপান্তর ঘটিয়ে দক্ষতা অনুযায়ী আরবি, রুশ, ফ্রেন্ডস সহ অন্যান্য ভাষায় যারা পারদর্শী তারা ট্রান্সক্রিপশন কাজের মাধ্যমে অল্প সময়ে আপনি বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। বিগত সময়ের চেয়ে এই খাতে ৫২.২ শতাংশ চাহিদা বেড়েছ এই পেমেন্ট ট্রান্সক্রিপশন কাজ করে। আপনি যদি ট্রান্সক্রিপশন কাজে দক্ষ হন তবে এই কাজটি আপনার জন্য।
অন্যান্যঃ
কোন কোন ক্ষেত্রে বই লিখে দেওয়ার কাজ করে আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসাবে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। কোন কাজ করার জন্য আপনার অবসর সময় বেছে নিতে পারেন এ কাজ করে আপনি বাড়তি টাকা আয় করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি
পরিসংখ্যানে দিক থেকে বোঝা যায় ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল আপওয়ার্ক কাজে রাজস্ব ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২১ সালে এই জগতে Upwork কাজে ৫০২ মিলিয়ন ইউএস ডলার এর বেশি আয় করেছে। আমার জানামতে বিশ্বে ১.২ বিলিয়ন মানুষ ফ্রিল্যান্সিং জগতের সাথে সম্পৃক্ত। মোট কর্মশক্তির তিনভাগের একভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
প্রতিবছর পর্যায়ক্রমে এর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। ইন্টারনেটের অগ্রগতির পর থেকে আরও বেশি মানুষ দূর থেকে নিজস্ব শর্তে কাজ করা আগের চেয়ে সহজ করে তুলেছে। ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা বেশি এবং স্টাট আপ থেকে শুরু করে শীর্ষস্থানীয় কর্পোরেট কোম্পানিগুলো এখন ফ্রিল্যান্সারদের কাছে তাদের দক্ষতা খোঁজার জন্য পৌঁছাচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং জগতে এর ভবিষ্যৎ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ফ্রিল্যান্সিং এর আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশে কত তম
বাংলাদেশ ইন্টারনেট জগতে একটি অভূতপূর্ব অর্জন। ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগের যেকোন দক্ষতা সহ আয়ের উৎস হিসেবে কাজে লাগাতে পারি। বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং জগতে একটি বড় অংশ দখল করে আছে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে একটি বড় মার্কেটপ্লেস গড়ে তুলেছে।
এই হিসাবে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরটি অষ্টম স্থানে ও দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় স্থান হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ১০ লাখেরও বেশি উদ্যোক্তাগণ ফ্রিল্যান্সিং জগতের সাথে যুক্ত হয়ে লক্ষ লক্ষ ডলার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে আসছে। দেশের উন্নয়নে তারা কাজ করে যাচ্ছে। ফ্রিল্যান্সারদের উপার্জন দিনের পর দিন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণের শতকরা হার কত ২০২৪
সারা বিশ্বে বাংলাদেশি কতজন ফ্রিল্যান্সার কাজ করছেন এর মধ্যে ছেলে ও মেয়ের রেশিও আমরা জানতে চাই। আই ডিএল সি এর আলোকে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ১৭ শতাংশ, তাহলে মোট ফ্রিল্যান্সারের ১০০ জনের মধ্যে ১৭ জনই বাংলাদেশি যা তাদের দক্ষতা অনুযায়ী সকল মার্কেটপ্লেসে কাজ করে যাচ্ছে।
বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং জগতে ৫৮ ভাগ নারী হলেও বাংলাদেশের হাইটেক পার্কের হিসাব অনুযায়ী নারী ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ৯ শতাংশ বাকি ৮% পুরুষ। তবে পরিবেশ আরো অনুকূল হলে, নারী ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এ ব্যাপারে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সেলার কাকে বলে
ফ্রিল্যান্সিং জগতে উদ্যোক্তা হিসেবে অনেকে পেশাদার হিসাবে কাজ করে আসছেন। আপনি কোন কাজের উপর আপনার দক্ষতা বিক্রি করে আসছেন যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন বা ডিজিটাল মার্কেটিং সহ অন্যান্য ওয়েবসাইটে কাজ করে আসছেন। এই যে আপনি আপনার দক্ষতা ক্রেতার নিকটে বিক্রি করছেন, এজন্য আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং সেলার হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। অপরদিকে যে প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি আপনার দক্ষতা ক্রয় করছেন তাকে ফ্রিল্যান্সিং বায়ার হিসাবে চিহ্নিত করে থাকি।
ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং জগতে বেশি পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে চান তবে আপনাকে এই জগত সম্পর্কে স্বমক জ্ঞান লাভ করতে হবে। আপনার যদি ফ্রিল্যান্সিং জগত সম্পর্কে জানা থাকে তবে আপনি এখন থেকেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এ ব্যাপারে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে অর্জন করতে হবে।
- ডেটা এন্ট্রি
- অ্যাপ ডেভোলেপার
- ভিডিও এডিটিং
- ভয়েস ওভার
- কনটেন্ট রাইটিং
- ওয়েব ডিজাইনার
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট
- সোশ্যাল মিডিয়া
সাধারণত উপরের দশটি কাজের চাহিদা ফ্রিল্যান্সিং জগতে সবচাইতে বেশি গুরুত্ব বহন করে। ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে এই দশটি উপায়ে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারেন। তবে আমাদের দেশে মার্কেটপ্লেস ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর সঙ্গে সঙ্গে ক্লায়েন্টদের সংখ্যা ও কাজের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। আগামী দিনে আমাদের দেশে উদ্যোক্তা হিসাবে অনেকে সফলতা অর্জন করবে।।
ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে লেখকের বক্তব্য
ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করতে আমাদের অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি সে বিষয়ে আপনার জ্ঞান থাকা আবশ্যক। আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং জগতে কাজ করার পূর্বে কোন কাজ করবেন, সে বিষয়টি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগত এখন অনেক সমৃদ্ধি লাভ করেছে।ফ্রিল্যান্সিং থেকে অর্থ উপার্জন করার জন্য আমাদের অবশ্যই লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে।
এরপর ফ্রিল্যান্সিং জগত থেকে অর্থ উপার্জন করার জন্য একমাত্র ফ্রিল্যান্সিং বিষয়গুলো জানার পর ফ্রিল্যান্সিং সফলতা অর্জন করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং কাজের প্রতি মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে হবে। আপনারা যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে প্রবেশ করেন, তাহলে কখনোই এখান থেকে সফলতা লাভ করা সম্ভব নয় । আপনাকে স্থির করে এ সম্পর্কে জেনে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তবেই এর সফলতা অনস্বীকার্য।
এতো সহজ ভাবে বুঝানোর জন্য ধন্যবাদ☺️