নিয়ম লঙ্ঘনের পরেও ফেসবুকে শাস্তি এড়ানোর রহস্য
নিয়ম লঙ্ঘনের পরেও ফেসবুকে শাস্তি এড়াতে চান? মানুষ মনের ভাব প্রকাশের জন্য
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কে বিশেষ করে ফেসবুক ব্যবহার করছে কিন্তু ফেসবুক
ব্যবহারের উপকারিতার পাশাপাশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
ইন্টারনেট ব্যবহারে ২০০৬ সালে সরকারের প্রযুক্তি আইন পাশ করলেও তা অনেকটা
বাস্তবায়ন না হওয়ায় সমস্যা রোধে ২০১৩ সালে তথ্য প্রযুক্তি আইন কে আইসিটি
সংশোধনের জন্য ৪০টি ধারা অনুযায়ী অপরাধ ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করে মামলা দায়ের
করে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন,
পেজ সূচিপত্রঃ নিয়ম লঙ্ঘনের পরেও ফেসবুকে শাস্তি এড়ানোর রহস্য
- ফেসবুকে নিয়ম লঙ্ঘন এড়ানোর উপায়
- ফেসবুকে নিয়ম লঙ্ঘন কি
- কি করলে ফেসবুকে নিয়ম লঙ্ঘন হয়
- ফেসবুকে নিয়ম লঙ্ঘন নিয়ে লেখকের শেষ কথা
ফেসবুকে নিয়ম লঙ্ঘন কি
কোন ব্যক্তি বা সম্প্রদায় বা কোন গোষ্ঠীর ব্যাপারে কোন রূপ হিংসা-বিদ্বেষ ব্যক্তি
বা বক্তৃতা ভিজুয়াল বা কোন স্পর্শকাতর বিষয়ে কোনো রূপ লিখিত ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া
যাবে না। আবার কোন জাতি বা মানুষের ধর্ম বর্ণ লিঙ্গ বা কোন শারীরিক অথবা মানসিক
প্রতিবন্ধীদের বিষয় নিয়ে সরাসরি আক্রমণ করা নীতি বিরুদ্ধ যুদ্ধ হিসেবে বিবেচিত
হবে।
কোন দুর্ঘটনার জন্য আর অঙ্গহানি বা কোন বিষয়গুলি ছবি
অথবা ভিডিও পোস্ট থেকে বিরত থাকতে হবে। কোন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডের ছবি ও ভিডিও কোন
ব্যক্তির শরীরের অঙ্গহানি অথবা মৃতদেহ শ্মশানে দাহ করার কোন ভিডিও কোন শিশু
নির্যাতনের অথবা কোন নারীর যৌন নির্যাতনের কোন ছবি বা ভিডিও দেওয়া যাবে না।
অপরদিকে প্রাপ্তবয়স্কদের নগ্নতার ও যৌন কার্যকলাপের কোন ছবি বা ভিডিও বা জনতা
কার্যকলাপ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা যৌন আবেদন নাঙ্গের উন্মুক্ত ছবি ফেসবুকে নিয়ম
লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত। সত্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার ভিত্তিতে ফেসবুকে যেকোনো ধরনের
ভুয়া আইডি কোন অসামঞ্জস্য ভুয়া খবর সরানোর জন্য ফেসবুক অভিযান পরিচালনা করে থাকে।
এ ব্যাপারে ফেসবুক লাইভ বা সাময়িক সময়ের জন্য ব্লক করে দিতে পারে। কোন ভুয়া আইডি
সন্দেহ হলে বিভিন্ন পেজে কমেন্ট করলে সবাই নিরাপত্তা বিকৃত হই এমন পোস্ট করলে
অবিশ্বাস যোগ্য কোন পোস্ট করলে ফেসবুকে নিয়ম লুঙ্গিত হতে পারে।
আপনার আরো যে যে পোস্ট পছন্দ হতে পারেঃ
কি করলে ফেসবুকে নিয়ম লঙ্ঘন হয়
মানুষ তার সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে কাজ করে থাকে একেক জন একেক কাজের জন্য ফেসবুক
ব্যবহার করে থাকে। ফেসবুকে কাজ করার জন্য মোটেও হেলাফেলা করা যাবে না। ফেসবুক
ব্যবহারে নিজের নিরাপত্তা নিজস্ব ইমেজ ধরে রাখতে হবে।এমন ভাবে ফেসবুক ব্যবহার করবেন
যাতে করে কোন নিয়ম লঙ্ঘিত না হয়।
১. ফেসবুকে যেকোনো পজিটিভ উত্তর দিনঃ
ফেসবুকে যে কোন ব্যক্তি বা কেউ আপনাকে টাইমলাইনে এসে যেকোনো পোস্ট দিচ্ছে অথবা কোন
মেসেজ দিচ্ছে অথবা আপনাকে কোন ট্যাগ দিচ্ছে তখন স্বাভাবিকভাবে আপনার ভদ্রতার জন্য
আপনাকে তার উত্তর দিতে হবে। কারণ ব্যক্তি তার উত্তরের অপেক্ষায় থাকে আপনার সাথে কেউ
কথা বললে যেমন আপনাকে উত্তর দিতে হয়। তেমনি ফেসবুকে ব্যক্তির উত্তর একটি ভদ্রতার
গুনাগুন হিসেবে বিবেচিত হবে এটা না দিলে ফেসবুকে নিয়ম লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হতে
পারে।
২. অপরকে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করুনঃ
মানুষ সামাজিক জীব সে সমাজে বসবাস করে থাকে। কোন বন্ধু বা পরিচিত জনের সাথে আপনার
মনমালিন্য থাকতেই পারে। তবে তার ওয়ালে আপনি আজেবাজে কথা লিখে চলে আসলেন। এতে করে
আপনার উপর আস্থা হারাতে পারে। পাশাপাশি আপনার অনেক পরিচিত জন আপনার উপরে বিরাট বিরক্ত হতে পারে। এতে দ্রুত আপনার বন্ধুর সাথে ইনবক্সে মনোমালিন্য মিটিয়ে ফেলুন।এটির উপর গুরুত্ব না দিলে আপনি আপনার ফেসবুকের নিয়ম লঙ্ঘিত হবে।
৩. কোন কিছু পোস্ট করার আগে চিন্তা করুনঃ
বিভিন্ন সময়ে বন্ধু-বান্ধবরা মজা করার ছলে অনেকে অনেক কিছু লিখে থাকে। এটা অনেকের
কাছে দৃষ্টিকটু মনে হয়। কোন কিছু পোস্ট করার আগে একটু চিন্তা করুন যাতে করে আপনার
পরিচিত জনসহ আপনি সামাজিকভাবে হেও হতে পারেন। এমনভাবে ফেসবুকে কাজ করুন যাতে কোন
কারণে আপনার ফেসবুক লঙ্গিতো না হয়।
৪. কোন কিছু রিপোর্ট করবেন নাঃ
আমরা দেখে থাকি সাধারণত ফেসবুকে বন্ধুকে এমন একটি ছবি ট্যাগ করলেন। যা তিনি পছন্দ
করলেন না। তাই সেগুলিকে আপনি আনত্যাগ করে ফেলুন। এই ছবিটি পুনরায় আপনার বন্ধুকে আপনি
ত্যাগ করবেন না। যদি তিনি ডিলিট করে ফেলেন তবে সেটা রিপোর্ট করবেন না। এতে করে আপনার
ফেসবুক ব্যবহারের নিয়ম-লন্দিত হবে।
৫. সত্য ও বাস্তব জীবনকে ভুলে যাবেন নাঃ
সাধারণত আমরা সামাজিক জীব হিসেবে সমাজে বসবাস করে থাকি। ফেসবুকের কারণে জন্য কোন
বন্ধুর সাথে সরাসরি দেখা করবেন না। এটা হতে পারে না ভার্চুয়াল জীবন এবং বাস্তব জীবন
দুটি আলাদা ভার্চুয়াল এ বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে যোগাযোগ করাটাও আবশ্যক। আবার সরাসরি
সাক্ষাৎ করাও আপনার জীবনের একটি সুশৃংখল সমাজবদ্ধ ভাবে প্রতিষ্ঠিত। সেই ক্ষেত্রে
বন্ধুর সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলবেন।
৬. সততা একটি বাস্তবতার বিকল্পঃ
বাস্তবিক পক্ষে মোবাইল আবিষ্কারের পরে মানুষের সততা অনেকটা পথভ্রষ্ট অবস্থায় নিজের
ব্যাপারে এবং অন্যদের ব্যাপারে সৎ থেকে ফেসবুক ব্যবহার করুন। সামাজিক জীব হিসেবে এর
গ্রহণযোগ্যতা আমাদের কাছে অনেক প্রশংসনীয়। কোন মিথ্যা বা বিকল্প পথ নিবেন না। যেখানে
আপনার বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আপনার দূরত্ব সৃষ্টি হয়। বাস্তবতা অনেক সত্য এ সত্যের
উপর ভিত্তি করে আপনি নিজেকে প্রতিষ্ঠা করুন।
৭. ফেসবুকে আসক্ত হয়ে যাবেন নাঃ
ফেসবুকের ব্যবহারে মানুষ দিনের পরে দিন আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। এতে যে কোন নেশাজাতীয়
দ্রব্যের চাইতে ভয়াবহ রূপ লাভ করছে। আপনি দৈনন্দিন কাজকর্ম এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন
করে আপনি যাতে ফেসবুকে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেই ব্যাপারে আপনাকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
বিশেষত আমাদের দেশের মারা শিশুকে মোবাইল দিয়ে তারা খাবার খাওয়াই থাকেন।
এদিক থেকে শিশু মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে যাই এভাবে চলতে থাকলে আমাদের সমাজ
ব্যবস্থা এক সময়ে মোবাইল এডিক্ট হয়ে উঠবে। সেই ক্ষেত্রে আপনার ফেসবুকের নিয়ম
লঙ্ঘিত হতে পারে।ছোটফ ছোট বচ্চা ছেলে মেয়েরা মোবাইন গেমে আসক্ত হয়ে তাদের আচরন পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। যার পরনায় তাদের মেধার বিকাশে বাধাগ্রস্থ্য হচ্ছে।মানুষ তার সামাজিকতার অবক্ষয়তার দিকে ধাবিত হচ্ছে।এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আশা খুবই জরুরী হয়ে উঠেছে।
৮. নিজেই নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুনঃ
ফেসবুকে আপনি যাদেরকে ফ্রেন্ড লিস্টে যোগ করে রেখেছেন সবাই যে আপনার হিতাকাঙ্খী
বন্ধু হিসেবে বিবেচিত তা নাও হতে পারে। আপনি এমন কিছু ফেসবুকে পোস্ট করবেন না, যা
আপনার জন্য বিপদ দেকে আনতে পারে। এমন কোন তথ্য বা ছবি পোস্ট করবেন না, যা ব্যবহার করে
আপনি আপনার ভবিষ্যৎ সাইবার ক্রাইম মামলার দিকে ধাবিত না হয়, সেদিকে সচেষ্ট থাকবেন।
এর নিয়মের যদি ব্যক্তই ঘটে তাহলে আপনি যে কোন রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা জড়িয়ে যেতে
পারেন। আপনি নিজেকে এবং এবং নিজের পরিবারকে সবসময় নিরাপদ রাখার জন্য এমন কিছু
করবেন না যাতে আপনি রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার সঙ্গে জড়িয়ে যান। এ ব্যাপারে আপনার
ফেসবুক নিয়ম লঙ্ঘিত হতে পারে।
৯. আপনার কমনসেন্স নিয়ে ভাবুনঃ
আপনার নিজের বুদ্ধিমত্তা নিজের বিচক্ষণতা দিয়ে, আপনি ফেসবুক ব্যবস্থাপনায় সঠিক
দিকনির্দেশনা তৈরি করুন। আপনার কমনসেন্স এবং সেন্স অফ হিউম্যানিটি সবসময়ই খেয়াল
রাখবেন, যাতে আপনার কোন পোস্ট দেখে আপনার নিজেকেই আপনার উপরে বিরক্ত বোধ মনে হয়, সেই
দিক থেকে খেয়াল রেখে আপনি আপনার ফেসবুক পরিচালনা করবেন। রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে আপনি
ফেসবুকে নিয়মিত হতে পারেন।
১০. আপনার প্রফেশনাল দিকটি মাথায় রাখুনঃ
আপনার একান্ত বন্ধু বান্ধবের গোপন অনেক কিছু তথ্য আপনার কাছে থাকতে পারে এই
গোপনীয়তা রক্ষা করা আপনার একটি অত্যাবশক্তি ও কাজ হিসেবে বিবেচিত। এমন কিছু
বন্ধু-বান্ধবের তথ্য উপস্থাপন করবেন না যাতে করে তার প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন
কর্মকর্তা এই ব্যাপারে অবগত হন এতে করে আপনার বন্ধুর প্রফেশনাল কেরিয়ার নষ্ট হতে
পারে এ ব্যাপারে আপনার ফেসবুক নিয়ম লঙ্ঘনের অপরাধে আপনি অপরাধী হতে পারেন।
ফেসবুকে নিয়ম লঙ্ঘন এড়ানোর উপায়
আমাদের দৈনন্দিন বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যাংকিং বিভিন্ন ,শপিং মলে কেনাকাটা, এবং সামাজিক
মাধ্যমে অনলাইন প্লাটফর্ম ও সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে আমরা প্রতিনিয়ত নানাবিধ সুবিধা
ভোগ করে থাকি। এক্ষেত্রে ফেসবুকে রয়েছে অসংখ্য বিভিন্ন সুবিধা। বিভিন্ন নীতিমালা এবং
বিভিন্ন টুলস যা যেকোনো হ্যাকার আক্রমণ থেকে,আপনার পরিচয় ও ব্যক্তিগত তথ্যকে
সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে। এগুলি ব্যবস্থাপনা না থাকলে আপনার ফেসবুকে
নিয়ম-লঙ্ঘিত হওয়া এড়ানোর সম্ভব না।
১. এইটা কি আমি ছিলামঃ
লগইনের সুবিধার মাধ্যমে আপনি যেকোনো অবস্থায় ডিভাইস থেকে একাউন্টে লগইন করেছেন। এই
লগইন দেখার সুযোগ আপনার সৃষ্টি করতে পারবেন। আপনার একাউন্টে অস্বাভাবিক কার্যক্রম
বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আপনি নিজেই চিহ্নিত করতে পারবেন। অপরিচিত কোন স্থান থেকে লগইন
হওয়া ডিভাইসকে Not me হিসেবে আপনি বেছে নিয়ে তার মাধ্যমে একাউন্ট কে সুরক্ষিত করে।
যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন কম্পিউটার বা অন্য কোন ডিভাইস থেকে ফেসবুক লগইন
করে থাকেন তাহলে ফিচারটি নিয়মিত চেক করে দেখা আপনার উপায় হিসেবে আপনি বিশেষভাবে
চিহ্নিত করতে পারেন যেটা আপনার ফেসবুকের নিয়ম লঙ্ঘন এড়ানোর উপায় হিসেবে বিবেচিত
হতে পারে।
২. এটা কি আপনি নিজেঃ
এটা কি আপনি অথবা আপনার অ্যাকাউন্ট এটাকে নিশ্চিত এবং নিরাপত্তা সেবা হল লগইনের
জন্য এলার্ট চালু করা। গেট এলার্টস about and recognize the logins এ
ফিচারটি চালু করার মাধ্যমে আপনি অপরিচিত কোন ডিভাইস থেকে আপনার অ্যাকাউন্ট লগইন
হওয়ার সাথে সাথে ফেসবুক একাউন্ট, ফেসবুক মেসেঞ্জার ও নিবন্ধিত ইমেইলে একটি
নোটিফিকেশন পেয়ে যাবেন।
এর মাধ্যমে আপনি অস্বাভাবিক বা অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনো ধরনের কার্যক্রম কে চিহ্নিত
করতে পারবেন এবং আপনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উদ্যোগী হয়ে উঠবেন এটি
facebook লঙ্কিত হওয়ার থেকে এড়ানোর একটি উপায় মাত্র।
৩. পাসওয়ার্ড কে হালকা ভবে নেবেন নাঃ
অনেকেই আছেন যারা ফেসবুক ব্যবহার করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার মোবাইলের পাসওয়ার্ড
কে আপনি শক্তিশালী করে গড়ে তুলেন। বিশেষত জন্মদিন বিবাহ বার্ষিকী সাথে মিল রেখে
পাসওয়ার্ড করবেন যেটা সহজে অনুমান করা যায়। একাউন্টে নিরাপত্তা জোরদার করে
হ্যাকিং সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের জন্য একটি কঠিন করে দিতে পারে পাসওয়ার্ড।
বিভিন্ন ক্যারেক্টার এবং তার সামঞ্জস্য মিলিয়ে আপনি পাসওয়ার্ড তৈরি করে নিতে
পারেন। সেভিংস এন্ড প্রাইভেসি থেকে চেঞ্জ পাসওয়ার্ড এ ক্লিক করে আপনি আপনার
পাসওয়ার্ডটি পরিবর্তন করে নিতে পারবেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে
বিবেচনা করা যায়। এই জাতীয় ব্যবস্থাপনার জন্য আপনার ফেসবুক লঙ্ঘনের উপায় এগিয়ে
চলতে পারেন।
৪. দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করুনঃ
প্রয়োজনে দুই স্তরের নিরাপত্তা দিয়ে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আরো নিরাপদ করে করে
তুলতে চাইলে, টু ফ্যাক্টরস অ্যাথেন নোটেশন বা টু এফ এ সুবিধা ব্যবহার করতে পারেন।
অনেক ক্ষেত্রে আমরা দেখে থাকি লগই ক্ষতিকর সফটওয়্যার থেকে সতর্ক থাকুন না কেনো, চেষ্টা
ততো ব্যক্তিরা দুই ধাপে সফলতা অর্জন করতে পারে না।
প্রথম ধাপে পাসওয়ার্ডে প্রবেশের পর দ্বিতীয় ধাপে ব্যবহারকারীকে একটি লগইনকোড
প্রবেশ করতে হবে যাও ওই ব্যবহারের নিবন্ধিত মোবাইল নাম্বারে টেক্সট মেসেজ বা ওটিপি
পাঠানো হয়ে থাকে ব্যক্তিগত অর্থ সংক্রান্ত তথ্যের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন ব্যাংক
বা অন্যান্য অনলাইন সেবা প্রতিষ্ঠান এই দুই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে
থাকে।
যে সকল ডিভাইস নিয়মিত ব্যবহার করে থাকেন সেখানে আলাদাভাবে নির্বাচিত করে রাখতে
পারে সেই ক্ষেত্রে দিতে হবে না। এভাবে দুই স্তরের পাসওয়ার্ড কে নিশ্চিত করতে পারলে
আপনার ফেসবুকে নিয়ম লঙ্ঘন এড়ানো সম্ভব।
৫. ক্ষতিকর সফটওয়্যার থেকে নিরাপদে থাকুনঃ
আমরা দেখে থাকি সাধারণত যে কোন অ্যাপ ডাউনলোড করে আপনি প্রতারিত হন। যেকোনো অ্যাপ
ডাউনলোডের ক্ষেত্রে আপনাকে সতর্কতা এবং বিশ্বস্ততা অর্জন করতে হবে। আপনার যদি ওয়েব
ব্রাউজটি হালনাগাদ কৃত রাখুন এবং ব্লাউজের এডসেন্স বা যেকোনো অ্যাপের আচরণ
সন্দেহজনক বলে উঠিয়েমান হয় সে ক্ষেত্রে তা মুছে ফেলুন।
অপরাধপ্রবণ ডেভেল কার্টুন ইমেজ বা এডিটর বা মিউজিক প্লেয়ার এর মত বিভিন্ন মজার
মজার অ্যাপ তৈরি করে আপনার মোবাইল স্টোরের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এই অ্যাপগুলি যদি
কেউ ইন্সটল করে পরবর্তীতে ফিচার সুবিধা পাওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের ফেসবুকের মাধ্যমে
অনলাইনে প্রয়োজনীয়তা তৈরি করে, যা আসলে তাদের তথ্যচুরির কৌশল হিসেবে বিবেচিত হয়।
কেউ তথ্য প্রকাশ করলেই ক্ষতিকর সফটওয়্যারটি তা চুরি করে নেই। এবং এই সফটওয়্যারটি
পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণে অ্যাকাউন্টটি চলে যাই। এভাবে পুরোপুরি তারা অ্যাকাউন্টটি
নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেই এক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর বন্ধুদের বা নিজের বিভিন্ন মেসেজ
দেওয়ার সক্ষমতা তারা অর্জন করে ।
ফেসবুক নিয়ম লঙ্ঘন নিয়ে লেখকের শেষ কথা
আমরা ফেসবুকের নিয়ম লঙ্ঘন কি কি করলে ফেসবুকে নিয়ম লঙ্ঘিত না হয় এবং ফেসবুকের নিয়ম লঙ্ঘন এড়ানোর উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আমরা দেখে থাকি যে
কোন সময় আপনার ফেসবুক বিভিন্ন হ্যাকারের মাধ্যমে হ্যাকিং করে আপনার প্রয়োজনীয়
তথ্য সহ আপনার বন্ধু-বান্ধবের প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত গুলোকে ব্ল্যাকমেইলিং করে।
এ জাতীয় তথ্য উপাত্ত গুলোকে বিকৃত করার সক্ষমতা অর্জন করে, এ থেকে আপনি বা আপনার যে
কোন পরিচিত জনের ফেসবুক যাতে হ্যাকাররা কোন অবস্থাতেই হ্যাকিং করতে না পারে সেই
ক্ষেত্রে আলোচ্যসূচিতে আমি দুই স্তরের নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করেছি। তাই উপরে যে যে
বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি তা অনুসরণ করলে আপনি ফেসবুকে নিয়ম লঙ্ঘন থেকে রক্ষা পাবেন।
আপনি নিজে সজাগ থেকে আপনার ফেসবুক এবং আপনার বন্ধুবান্ধবদের এবং আত্মীয়-স্বজনের
ফেসবুকগুলোকে নিরাপত্তা দিয়ে আপনি আপনার ফেসবুকে নিরাপত্তা বিধান করবেন। এটি আমার
প্রত্যাশা। ফেসবুক পাসওয়ার্ড গুলোকে প্রয়োজনীয় সময় ভেদে আপনে পরিবর্তন করে
সাধারণত যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করতে পারবেন। এটি আমার
প্রত্যয়।
পেন এন্ড পেপার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url