ক্যান্সার নিরময়ে করোসলের ফলের উপকারিতা
ক্যান্সার নিরময়ে করোসলের ফলের উপকারিতা বিশেষভাবে লক্ষণীয় করোসল ফল গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে বেশি দেখতে পাওয়া যায়। এটি টক জাতীয় আতা লক্ষণ ফল বা গায়োবানো নামেও বিশেষভাবে আমাদের দেশে পরিচিতি লাভ করেছে।
পেজ সূচিপত্র
- করোসল ফলের ঔষধি গুন
- করোসল গাছ চাষে মাটির গুনাগুন
- করোসল ফলের বীজ সংগ্রহ ও চারা উৎপাদন
- করোসল ফলের চারা লাগানোর সময়কাল
- করোসল ফলের গাছের পাতার উপকারিতা
- আমাদের শেষ কথা
করোসল ফলের ঔষধি গুন
করোসল ফলের ঔষধি গুনাগুন সম্বন্ধে বিজ্ঞানীগণ বলেছেন এই করোসল ফল ক্যান্সার প্রতিরোেধক হিসাবে বিশেষভাবে কার্যকরী। তারা বলেন এই ফল খেলে কেমোথেরাপির আর বিশেষ প্রয়োজন পড়ে না। তারা প্রমাণ করেছেন এই ফল নাকি কেমোথেরাপির চেয়ে ১০ হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী। যা রোগীকে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে দেবে বলে তাদের দাবি
বিজ্ঞানীগণ আরও দাবি করেছেন এই করোসল গাছ ও তার ফলে রয়েছে অ্যানেনাসিয়াম অ্যাস্টোজেনিন নামক এক ধরনের যৌগ উপাদান। এই যৌগ উপাদান দিয়ে ক্যান্সারের বর্ধিত কোষ গুলোকে তার বৃদ্ধি ও বিস্ততিকে রুখে দিতে পারে। যা কেমোথেরাপীরের ১০ হাজার গুণ শক্তি অর্জন করে রোগীর শরীরকে সতেজ করে গড়ে তুলতে পারে।ততে করে রোগী তার শারীরিক সুস্থতা ফিরে পেয়ে থাকে।
বিশেষ করে স্তন ক্যান্সার, ফুসফুসে ক্যান্সার, প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার সহ সকল ক্যান্সার নিরাময় হয় বলে বিজ্ঞানীগণ দাবি করেন।এছাড়া নিয়মিত এই ফল খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়, শরীর ও চাঙ্গা থাকে এবং দুর্বল ভাব থাকে না। রক্তকে পরিশোধিত করতে এ ফলের গুনাগুন অনস্বীকার্য ।
আপনার পছন্দ হতে পারে আরো কিছু পোস্টের তালিকাঃ
করোসল গাছ চাষে মাটির গুন
করোসল গাছ চাষে বেলে বা বেলেদোয়াস মাটি বিশেষ ভাবে প্রয়োজন হয়। চারা রোপনের আগে মাটিকে নিড়ানি দিয়ে খুব পরিপাটি করে তৈরি করতে হয়। তবে কৃষিবিদগণ বলে থাকেন, গ্রীষ্মমন্ডলীর গাছ হিসাবে বেলে মাটি এ গাছ চাষের জন্য উপযুক্ত হিসাবে বিবেচনা করে থাকেন। তবে যেখানেই এই করোসল গাছের চাষ করবেন সেখানে যেন সেচ ব্যবস্থা পদ্ধতি ঠিক থাকে। কারণ বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে যে তাপমাত্রা প্রবাহিত হয়ে থাকে তাতে করে সে সময়ে সেচ ব্যবস্থা ঠিকঠাক রাখা জরুরী প্রয়োজন।
করোসল গাছের বীজ সংগ্রহ ও চারা উৎপাদন
বীজ সংগ্রহের সময় করোসল বীজের মাঝ বরাবর কেটে সুন্দরভাবে এর ফল থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হয়। সাধারণত একটি পরিপক্ক বড় বীজে ২০ টা থেকে ২৫ টা বীজ থাকে। বীজ সংগ্রহের পর সুস্থ পরিবেশে ঘরের যে কোন ছায়াযুক্ত স্থান বেছে নিতে হবে। সেই স্থানে অঙ্করোদম হওয়ার জন্য তাকে সেই পরিবেশে উপযোগী ব্যবস্থা তৈরী করে দিতে হবে। বীজ সংগ্রহের পরে সেই বীজকে কুসুম কুসুম গরম পানিতে ২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে।
বীজ থেকে চারা টবে লাগানোর সময় অথবা বাগানে লাগানোর সময় মাটি ভালো করে তৈরি করে নিতে হবে। লাগানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে যে প্লান্টের শিকড় যাতে করে নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। গাছ ১৫ হাত পর পর লাগাতে হবে। প্রথম বছর ফল নাও পেতে পারেন, তবে দ্বিতীয় বছর থেকে তৃতীয় বছরের মধ্যে ফল ধরতে শুরু করবে। গাছ লাগানোর পরে গাছ বাঁসের শক্ত লাঠির সঙ্গে বেঁধে দিতে হবে। যাতে করে ঝড়ো হাওয়ায় গাছের কোন ক্ষতি না হয়।।
করোসল ফলের চারা লাগানোর সময় কাল
বর্তমান আগস্ট ২০২৪ মাস বিরাজ করছে। এই সময়টা সকল ধরনের গাছ লাগানোর জন্য উপযুক্ত সময় হিসাবে বিবেচিত। আমাদের দেশে বর্ষা মৌসুম এই সময়ে সরকারি এবং বেসরকারি সকল পর্যায়ের লোকেরা গাছ লাগিয়ে থাকেন ।এই সময়ে করোসল জাতীয় ঔষধি গাছ হিসাবে আপনিও এটি লাগাতে পারেন। কারণ আমাদের পারিপার্শিকতা সঙ্গে খাপ খায়িয়ে গাছ বেড়ে ওঠার জন্য উপযুক্ত আবহাওয়া অনুকূল থাকে সহনিয় তাপমাত্রা এবং পর্যাপ্ত বৃষ্টি থাকে বলে চারা ও সুন্দরভাবে প্রকৃতির মধ্যে বেড়ে ওঠে।
অপরদিকে ছাদ বাগানে বাগানসহ ছাদের তাপমাত্রার পার্থক্য প্রায় ৭.৮৫° সেলসিয়াস থাকে। ছাদ যদি অব্যবহৃত থাকে তবে পরিকল্পিতভাবে ফুল ফল ও শাকসবজি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি করোসলের চারা লাগিয়ে সমৃদ্ধ হতে পারবেন। এইসঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ও প্রিয় মানুষজনের উন্নয়নে করোসল ফল দ্বারা সেবা নিশ্চিত করতে পারবেন।।
করসোলের পাতার উপকারিতা
বিশেষজ্ঞ জনদের মতে করোসল গাছের ফল ও পাতার রস খেলে ক্যান্সার রোগীদের ক্যামোথেরাপীর প্রয়োজন পড়ে না। এ করোসল ফল ও পাতার রস নিয়মিত খেলে শরীরে ক্যান্সার রোগের সেলগুলোকে ধ্বংস করে ফেলে। এর ফলে এ পাতার কৃত্রিম কেমোথেরাপির চেয়ে ১০ হাজার গুন বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে। এই করোসল গাছে রয়েছে অ্য়াননাসিয়াস অ্যাসটোজেনিন নামক একপ্রকার যৌগ।
করোসল পাতা পাটায় থ্যাতা করে তার থেকে যে নির্যাস বের হয় সেই রস সকালে বিকালে নিয়মিত পরিমিত ও ক্রমাগত সেবন করলে ক্যান্সারের কোষগুলিকে অকার্যকর করে তোলে। এভাবে ক্রমাগত সেবনে অনেকে সুস্থ হয়েছেন বলে অনেকেই দাবি করে থাকেন । এছাড়া করোসল এর পাতার রস শরীরের নানা উপকারে লাগে। যেমন ডায়াবেটিক্স মাথাব্যথা উচ্চ রক্তচাপ সহ বহুবিধ উপকারে আসে।
করোসল পাতার উপকারিতা সঠিকভাবে পেতে হলে সঠিক নিয়মে সেবন করতে হবে। অনেক সময় অনেকে এ পাতার চা বানিয়ে সেবন করতে দেখেছি।- চা বানানোর পদ্ধতি ১০ গ্রাম পরিষ্কার করোসলের পাতা নিন
- ১ লিটার সমপরিমাণ পরিষ্কার বিশুদ্ধ পানি নিন
- ১ লিটার সমপরিমাণ পরিষ্কার পানি নিয়ে গরম করতে থাকুন ফুটন্ত সেই পানিতে দশ গ্রাম সমপরিমাণ পরিষ্কার করোসলের পাতা দিয়ে জাল দিতে থাকুন এবং একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন।
- পাঁচ থেকে সাত মিনিট ফুটানোর পর তা এক কাপ সমপরিমাণ পান করুন।
- প্রতিদিন খাবারের তিরিশ মিনিট পর একটা সমপরিমাণ পান করতে থাকুন। শরীর সতেজ হতে থাকবে।
আমাদের শেষ কথা
করোসল অ্যনোনা মিউরিকাটা জাতীয় সমগোত্রের একটি ফল। যা ক্যান্সার রোগীদের ক্যামোথেরাপির কাজ করে থাকে, ক্যান্সার প্রতিষেধক হিসাবে এ ফলের বিশেষ বহু গুণ রহিয়াছে। বিশেষজ্ঞদের বহুবিধ মতামত পাওয়া যায় এ ফল ব্যবহার করার ফলাফল হিসাবে পৃথিবীর অনেক বেশি এ ফলটি ক্যান্সার প্রতিরোধক ফল হিসাবে পরিচিত লাভ করে আসছে। এর পাতারও অনেক উপকারী গুণ রহিয়াছে। বর্তমানে বাংলাদেশেও এ ফলের চাষ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। ময়মনসিংহের ত্রিশাল নীলফামারীর জলঢাকা নাটোরের ঔষধি গ্রামে এ ফল পাওয়া যায়। যার প্রতিটি ওজন ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। ঔষধি ফল হিসাবে এ ফলটি ব্যাপক সফলতা লাভ করেছে।
পেন এন্ড পেপার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url