২০২৪ সালে ই পাসপোর্ট করার নিয়ম জানুন
২০২৪ সালে ই পাসপোর্ট করার নিয়ম জানতে চান তবে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কাজের শুরুতে প্রথমে আপনাকে ইন্টারনেটে অনলাইনে ঢুকে পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে ৫ বৎসর এবং ১০ বৎসরের জন্য ই পাসপোর্ট প্রদান করা হচ্ছে।
এ আবেদন করতে হলে আপনাকে ই পাসপোর্ট অনলাইন এর মাধ্যমে পোর্টালে ভিজিট করে আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এবং আপনার নিজস্ব থানা সিলেক্ট করতে হবে। যেখানে আপনার নির্দিষ্ট ঠিকানা স্থায়ী বা অস্থায়ী দুটোই হতে পারে।
পেইজ সূচিপত্র
- ই পাসপোর্ট কিভাবে আবেদন করবেন
- ই পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- ই পাসপোর্ট করার খরচ
- ই পাসপোট আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম
- ই পাসপোর্ট করার জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন
- আমাদের শেষ কথা
ই পাসপোর্ট কিভাবে আবেদন করবেন
প্রথমে আপনাকে অনলাইনে ই পাসপোর্ট পোর্টালে প্রবেশ করতে হবে। আপনার আঞ্চলিক অফিস তারপর নিজস্ব থানা সিলেক্ট করে নিতে হবে। এরপর একটি ইমেইল এড্রেস ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এই রেজিস্ট্রেশনের পর আপনাকে সাইন ইন করতে হবে। তারপর আবেদনকারীর নির্ভরযোগ্য তথ্য নাম পিতার নাম মাতার নাম গ্রাম থানা পোস্ট অফিস এ জাতীয় ঠিকানা উল্লেখ করে প্রয়োজনীয় তথ্য অনলাইনে সাবমিট করতে হবে।
আবেদন সাবমিট করার পর আবেদনকারী কে তার প্রয়োজনীয় সামারি কপি ডাউনলোড করে এ চালানোর মাধ্যমে নির্ধারিত ফি হিসেবে আপনাকে টাকা জমা প্রদান করতে হবে। এই জাতীয় কাজ সম্পূর্ণ করে প্রয়োজনীয় কাগজ সহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আপনি স্বশরীরে গিয়ে জমা দিয়ে আপনার আঙ্গুলের ছাপ অর্থাৎ বায়োমেট্রিক দিয়ে সম্পূর্ণ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ বাংলা সনের শ্রাবণ মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৪
ই পাসপোর্ট এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- আবেদন পত্রে ব্যক্তির আইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হবে।
- পিতা মাতার আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে।
- আবেদনকারীর পেশাগত দায়িত্বের প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।
- পূর্ববতী পাস পাসপোর্ট থাকলে তার তথ্যের ফটোকপি জমা দিতে হবে।
- চেয়ারম্যান অথবা পৌর কাউন্সিলরের সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।
- বাড়ির চলোমান ইলেকট্রিক বিল এর কাগজের ফটোকপি পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য জমা দিতে হবে।
ই পাসপোর্ট ফি পাসপোর্ট এর মেয়াদ কাল ও পৃষ্ঠা সংখ্যা এবং ডেলিভারি ধরনের উপর টাকা সংখ্যা নির্ধারণ করে। সাধারণ ফ্রি হলে পাঁচ বছরের জন্য নির্ধারিত হয়ে থাকে।
ই পাসপোর্ট করার খরচ
৪৮ পৃষ্ঠার রেগুলার ই পাসপোর্ট ৪,০২৫(চার হাজার পঁচিশ) টাকা আবার এক্সপ্রেস এর জন্য ফি ৬,৩২৫(ছয় হাজার তিনশত পঁচিশ) টাকা আবার সুপার এক্সপ্রেস হলে আট হাজার ৮,৬২৫(আট হাজার ছয়শত পঁচিশ) টাকা প্রয়োজন পড়বে। ৬৪ পৃষ্ঠার রেগুলার পাসপোর্ট হলে ৬,৩২৫(ছয় হাজার তিনশত পঁচিশ) টাকা আবার এক্সপ্রেস হলে ৮,৬২৫(আট হাজার ছয়শত পঁচিশ) টাকা আবার সুপার এক্সপ্রেস হলে বারো হাজার ১২,০৭৫(বরো হাজার পঁচাত্তর) টাকার প্রয়োজন পড়বে।
১০ বছরের জন্য প্রয়োজনীয় টাকার পরিমাণ
৪৮ পৃষ্ঠার রেগুলার ই পাসপোর্ট ৫,৭৫০(পাঁচ হাজার সাতশত পঞ্চাশ) টাকা এক্সপ্রেস হলে ৮,০৫০(আট হাজার পঞ্চাশ) টাকা আবার সুপার এক্সপ্রেস হলে ১২,০৭৫(বারো হাজার পঁচাত্তর) টাকা প্রয়োজন পড়বে। ৬৪ পৃষ্ঠা রেগুলার দশ বছর মেয়াদ এর জন্য ৮,০৫০(আট হাজার পঞ্চাশ) টাকা এক্সপ্রেস হলে ১০,৩৫০(দশ হাজার তিনশত পঞ্চাশ) টাকা আবার সুপার এক্সপ্রেস হলে ১৩,৮০০(তেরো হাজার আট শত) টাকার প্রয়োজন পড়বে।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে সহজ উপায়ে টাকা আয় করতে পারবেন বাংলাদেশ ২০২৪
ই পাসপোট আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম
ই পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণের নিয়ম সম্পর্কে জানতে হলে এই আর্টিকেলটি আপনাকে পড়তে হবে। এখন অনলাইনে খুব সহজেই বাসায় বসে ফরম পূরণ করা যায়। তবে অনেকে জানে না কোন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ই পাসপোর্ট করতে হয় বা করার নিয়ম কি। এসব জানা থাকলে খুব সহজেই আমরা পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারি। ই পাসপোর্ট করার জন্য অনলাইনে আবেদন করার বিষয়গুলো এবং নিয়ম গুলো জানতে হবে।
ই পাসপোর্ট করা রেজিস্ট্রেশন এর নিয়ম যা আপনাকে অনলাইনে তথ্যগুলো প্রদান করতে পারবে। রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম: https://www.epassport.gov.bd/ পোটালে গিয়ে apply online অপশনে ক্লিক করতে হবে। এবং সেখানে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। লগইন করুন। সাইন ইন পেজে গিয়ে ইমেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে সাইন ইন করুন।
আপনার ই পাসপোর্ট আবেদনের ফরম পূরণের সময় অবশ্যই আপনার পরিচিত একজন ব্যক্তির মোবাইল নাম্বার দিয়ে তার এড্রেসটি লিপিবদ্ধ করুন। কারণ যেকোনো সময় আপনার জরুরী প্রয়োজনে এ নম্বরটি ব্যবহার করতে পারবেন। পাসপোর্ট অপশন ও ডেলিভারি অপশন সিলেক্ট করুন। এখানে পৃষ্ঠার সংখ্যা ও পাসপোর্ট এর মেয়াদ ও ডেলিভারি অপশন সিলেক্ট করুন।
আবেদন সাবমিট ও ডাউনলোড
সকল তথ্য উপাত্ত ও ডাটা সঠিকভাবে পূরণ করার পর আবেদনটি সাবমিট করুন। ও ফরম ডাউনলোড করে নিন। এবং আপনি স্বশরীরে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে জমা দিন । অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন করার পর আপনাকে নিজে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আঙ্গুলের ছাপ অর্থাৎ বায়োমেট্রিক প্রদানের জন্য সেখানে যেতে হবে। আপনি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আপনার তথ্য উপাত্ত এবং আবেদনপত্র যা আপনি ডাউনলোড করেছিলেন তা জমা প্রদান করতে হবে।
এই সকল কাগজ পত্র জমা প্রদানের পর আপনাকে অ্যাপ্লিকেশন রিসিভ কপি তারা প্রদান করবেন। যে অ্যাপ্লিকেশনের ফরম জমা দিবেন তার জন্য আপনাকে অ্যাপ্লিকেশন ফরম এর রিসিভ কপি প্রদান করবেন। যার মাধ্যমে আপনি পরবর্তীতে পাসপোর্ট গ্রহণ করতে পারবেন।
ই পাসপোর্ট করার জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন
আপনি যে অনলাইনে ফরম পূরণ করেছেন। সে অনলাইন ফর্ম ডাউনলোড করে আপনি আঞ্চলিক অফিসে জমা প্রদান করলে আপনার সংশ্লিষ্ট থানায় পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য তারা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে।এটা হতে পারে আপনার স্থায়ী ঠিকানা হতে পারে আপনার অস্থায়ী ঠিকানা। পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষ হলে আপনি সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। অথবা আপনার পাসপোর্ট কোন অবস্থানে কাজ করছে এটার জন্য আপনি অনলাইনে চেক করতে পারেন।
আমাদের শেষ কথা
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আপনার ডাউনলোডকৃত তথ্য উপাত্ত এবং ফরম জমা দেওয়ার পর আপনার পাসপোর্ট সম্পন্ন হলে আপনার মোবাইলে আপনাকে মেসেজ প্রদান করবে। এই মেসেজের উপর ভিত্তি করে আপনি আপনার সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক অফিসে আপনার পাসপোর্ট গ্রহণ করতে পারবেন। এখানে প্রকাশ থাকে যে আপনাকে আপনার সমস্ত কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ে আপনার মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে ছবি তোলার তথ্য প্রদান করে থাকবেন।ম্যাসেজে তথ্য প্রদানের পরে আপনাকে নিদিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে স্বশরীরে গিয়ে আপনার ছবি তোলার ব্যবস্থা আপনি নিজেকেই করতে হবে।
পেন এন্ড পেপার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url