চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
আমাদের অনেকেরই বিভিন্ন কারণে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে যায়।এ কালো দাগের কারণে সাধারণত মানুষকে অল্প বয়সেই বয়স্ক ছাপ পড়ে। তাতে অল্পবয়সীরা বয়স্ক রূপ ধারণ করে।
পেজ সূচিপত্রঃ
- শসা ও টক দই মিশিয়ে চোখের কালো দাগ দূর করার উপায়
- শসা ও আলুর দিয়ে চোখের কালো দাগ দূর করার উপায়
- টমেটো ও পাতিলেবুর রস দিয়ে কিভাবে চোখের কালো দাগ দূর হয়
- অমল অয়েল এবং এলোভেরা দিয়ে চোখের কালো দাগ দূর করার উপায়
- গোলাপজল এবং দুধ দিয়ে চোখের কালো দাগ দূর করবেন কিভাবে
- খাদ্যাভাস নিয়ন্ত্রণ করে চোখের কালো দাগ দূর করার উপায়
- আমাদের শেষ কথা
শসা ও টক দই মিশিয়ে চোখের কালো দাগ দূর করার উপায়
শশা ও টক দই মিশিয়ে লাগান দূর হবে কালো দাগ আমরা জানি বিভিন্ন কারণে চোখের নিচে আমাদের ডাক সার্কেল পড়ে থাকে।অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস রাত জেগে থাকা মানসিক অশান্তি এ সমস্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে সাধারণত আমাদের চোখের নিচে কালো দাগ এবং গর্তের সৃষ্টি করে থাকে। যা আপনাকে অল্প বয়সেই বয়স্কের রূপ দেখা যায়। মানসিক অশান্তি, দীর্ঘ সময় ধরে কম্পিউটার বা ল্যাপটপে বসে থাকা অথবা কোন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের উপরে কাজ করা।
অথবা চশমা পড়ে কাজ করা চশমা ব্যবহার করা এই সমস্ত কারণের জন্য সাধারণত আমাদের চোখের নিচে বিশাল আকৃতির দাগ পড়ে থাকে। আবার অনেকেরই চোখের নিচে গর্ত হয়ে চোখ কোঠরের মধ্যে চলে যাই। এ কারণে আপনার মুখের সৌন্দর্যের দিকটা অবলক্ষণ করলে বোঝা যায় আপনার মুখের যে স্বাস্থ্য গঠন সেটা বিঘ্নিত হচ্ছে। এই কারণের জন্য ঘরোয়া পরিবেশে আপনি এ দাগ সহজেই দূর করতে পারেন।এটা দূর করার জন্য প্রয়োজনীয়,
- একটি শসা নিন সেটার সঙ্গে এক চামচ সমপরিমাণ দই মিশিয়ে নিন
- সপ্তাহে অন্তত চার দিন এটা দশ মিনিট করে ব্যবহার করার পর আপনার মুখটি পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন
- এভাবে সপ্তাহে চার দিন ব্যবহার করলে আপনার চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
শসা ও আলুর দিয়ে চোখের কালো দাগ দূর করার উপায়
রূপচর্চায় আমরা সাধারণত বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করে থাকি।বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমরা সাধারণত মুখে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল মেকআপ গুলো ব্যবহার করা করে থাকি। এগুলো ব্যবহার করার কারণে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে যায়। চেহারা বিকৃত হয়ে যায় আবার চোখ কোঠরের মধ্যে ঢুকে যাই। এই সমস্ত কারণে চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল পড়ে। এ সমস্ত কেমিক্যাল গুলো সাধারণত চোখের নিচের যে অংশ সেখানে কোন ফ্যাট জাতীয় কোন কিছু থাকে না।
এখানে অনেক সময় পাতলা স্কিনের কারণের জন্য এখানে কালো দাগ পড়ে এই কালো দাগ গুলো দূর করার ঘরোয়া কোন উপায় আমাদের জানা নেই। যার জন্য মুখের এই স্বাস্থ্যগত দিকটা খুবই খারাপ হয়ে যায়। শসা ও আলু দিয়ে তৈরি পেস্টটি যেভাবে আপনার দাগে ব্যাবহার করবেন চলুন সেটি জেনে নেই,
- আমরা শসা এবং আলু দিয়ে পেস্ট তৈরি করে সপ্তাহে অন্তত চার দিন চোখের নিচের কালো অংশে ব্যবহার করবেন।
- এবং ঘুমানোর আগে মুখের এই পেস্ট পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।
- তবে আপনার চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল চিরদিনের জন্য চলে যাবে। এই পেস্ট আপনার শরীরের অন্যান্য যে কোন কালো স্থানে ব্যবহার করতে পারেন সেখান থেকে আপনি উপকৃত হবেন।
আরো পড়ুনঃ কেশরাজ বা কালোকেশীর অনেক গুণ ও উপকারিতা,
টমেটো ও পাতিলেবুর রস দিয়ে কিভাবে চোখের কালো দাগ দূর হয়
চোখের নিচের কালো অংশ সাধারণত মানসিক অশান্তি রাত জেগে লেখাপড়া করা চশমা ব্যবহার করা রাত্রি জেগে থাকা অতিরিক্ত ধূমপানের কারণের জন্য এই তারক ডার্ক সার্কেল গুলো তৈরি হয়ে থাকে।এইটা যেমন আপনার মুখের স্বাস্থ্যকে নষ্ট করে অপরদিকে চেহারাগুলো নষ্ট হয়ে যায়। আমরা সাধারণত এই ডার্ক সার্কেল নিয়েই জীবন কাটিয়ে থাকে। আবার শারীরিক স্বাস্থ্য এবং মুখের স্বাস্থ্যের দিকে চিন্তা করলে এটা খুবই অসংলগ্ন মনে হয়ে থাকে ।
- এক চামচ টমেটোর রস তার সঙ্গে পাতিল লেবুর রস দিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে নেন।
- আপনার চোখের নিচের যে দাগ সার্কেল গুলি আছে সেগুলিতে সপ্তাহে অন্তত চার দিন ব্যাবহার করুন।
- পেস্টটি দশ মিনিট করে ব্যবহার করলে ডার্ক সার্কেল গুলি থেকে অচিরেই মুক্তি পাবে।
- এভাবে আপনি নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার চোখের নিচের কালো দাগ দূর হবে।
অমল অয়েল এবং এলোভেরা দিয়ে চোখের কালো দাগ দূর করার উপায়
অমল অয়েল এবং এলোভেরা দিয়ে দাগ দূর করুন। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে খুব অল্প বয়সেও মানুষের চোখের নিচে বিভিন্ন ধরনের কালো দাগ বা দাগ ডার্ক স্পট তৈরি হয়ে থাকে এই সমস্ত স্পটগুলো তুলতে মানুষ বিভিন্ন কেমিক্যাল জাতীয় দ্রব্য ব্যবহার করে আসছে এই কেমিক্যাল গুলো ব্যবহার করার কারণে ডার্ক সার্কেল গুলো উঠানো সম্ভব হচ্ছে না। রাত্রিতে স্বাভাবিক ঘুম না হওয়ার কারণের জন্য অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য এই ডাক সার্কেলগুলো তৈরি হয়ে থাকে।
আপনি রাত জেগে লেখাপড়া করছেন রাত জেগে কম্পিউটার ব্যবহার করার কারণে বা রাত জেগে ইউটিউব দেখার কারণে দেখার কারণেএবং মানসিক অশান্তির জন্য এই ডাক সার্কেলগুলো তৈরি হচ্ছে। এখান থেকে মানুষের পরিত্রাণ পাওয়ার সময় দিন দিন ক্ষিনো হয়ে আসছে।
- আপনি যদি অমল ওয়েল ও অ্যালোভেরা দিয়ে চোখের নিচের কালো অংশে ব্যবহার করতে পারেন এবং সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার চোখের নিচের দাগ সার্কেল গুলি আস্তে আস্তে মিটে যাবে। এভাবে কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করলে আপনার মুখের স্বাভাবিক আকৃতি এবং সুস্বাস্থ্য ফিরে আসবে।
আরো পড়ুনঃ পেটের ডান দিকে ব্যথা হওয়ার ৬ টি লক্ষণ
গোলাপজল এবং দুধ দিয়ে চোখের কালো দাগ দূর করবেন কিভাবে
এক চামচ সম পরিমাণ গোলাপ জল নিন তাতে এক চা চামচ দুধ নিয়ে আপনি পেস্ট করুন আপনার চোখের নিচের যদি কালো দাগগুলো থেকে থাকে আপনি সপ্তাহে অন্তত চার দিন ব্যবহার করলে আপনার এই দাগ অনেকাংশে লাঘব হবে। এভাবে আপনি গোলাপজল এবং দুধ দিয়ে পেস্ট তৈরি করে প্রতিদিন আপনার চোখের নিচের যে কালো দাগ সে কালো দাগ আপনি ব্যবহার করলে দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই আপনার চোখের নিচে যে দাগ তার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে এভাবে।
- গোলাপজল এবং দুধ দিয়ে তৈরি পেস্ট এভাবে সপ্তাহে চার দিন দশ মিনিট করে ব্যবহার করুন।
আপনি যদি এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করতে থাকেন তবে এর থেকে আপনি অনায়াসে মুখে স্বাস্থ্য চোখের নিচের কালো দাগ যেটাকে আমরা ডার্ক সার্কেল বলে থাকি তা থেকে আপনি নিষ্কৃতি পাবেন। যা আপনার মুখের সৌন্দর্যকে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হবে। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার মুখে সৌন্দর্য পূর্বের ন্যায় স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসবে।
খাদ্যাভাস নিয়ন্ত্রণ করে চোখের কালো দাগ দূর করার উপায়
আমাদের অনেকেরই খাদ্যাভাসের পরিবর্তন হয়েছে। নতুন প্রজন্মরা সাধারণত সকালে কোন নাস্তা না করেই বাইরে বেরিয়ে যায়। আবার অনেক সময় পর্যন্ত বিছানায় ঘুমিয়ে থাকে এতে মানসিক স্বাস্থ্য এবং শারীরিক স্বাস্থ্য উভয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। এভাবে অনিয়ন্ত্রিত জীবনে জন্য অনেক সময় চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে। এই জাতীয় অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে জন্য আবার অনিয়ন্ত্রিত অভ্যাসের কারণে জন্য রাত জেগে লেখাপড়া করা।
অথবা রাত জেগে কম্পিউটার ব্যবহার করা রাত জেগে ইউটিউব সার্চ করা এই সমস্ত বিষয়গুলো এখন স্বভাবে পরিণত হয়েছে। আপনি যদি এই অভ্যাসগুলো পরিবর্তন না করতে পারেন তাহলে আপনার চোখের নিচের কালো দাগগুলো সৃষ্টি হবে। আমরা সাধারণত ফাস্টফুডের দিকেই বেশি আকৃষ্ট হয়ে থাকি। সবজি না খাওয়ার জন্য মানুষের কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। এই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূর করতে হলে সবজি জাতীয় খাবারের প্রতি অভ্যাস তৈরি করতে হবে।
আমাদের শেষ কথা
আমাদের নতুন প্রজন্ম গুলো তাদের খাদ্যাভাসের কারণে জন্য অনিয়ন্ত্রিত জীবনের জন্য শারীরিকভাবে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে।আপনি যদি নিয়ন্ত্রিত জীবন যদি যাপন করতে পারেন তবে আপনার শরীরের যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সেই প্রতিরোধ ক্ষমতা দিয়ে আপনি আপনার শরীরের অনেক উন্নতি সাধন করতে পারেন।যে কারণে আপনার শরীরে চোখের নিচের কালো অংশে দাগ চোখ কোটরের মধ্যে চলে যাওয়া এই সমস্ত খাদ্যাভাসের কারণ অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন খাদ্যাভাসের কারণ এই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে যদি আপনি নিয়ম তান্ত্রিকভাবে চলতে পারেন তাহলে আপনাকে মানসিক প্রশান্ত পেতে পারেন।
পেন এন্ড পেপার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url