বাংলাদেশের যক্ষা রোগের লক্ষণ ও তার প্রতিকার

যক্ষ্মা  রোগের লক্ষণ ও তার প্রতিকার সম্পর্কে বর্তমানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের হিসাব অনুযায়ী আলোচনা করবো। সামাজিক সচেতনতা এবং যক্ষ্মা সম্পর্কে সঠিক পরিসংখ্যান ও তথ্যের অভাবে যক্ষ্মা রোগ নির্ণয়ের হার বৃদ্ধিতে বড় বাধা।

বাংলাদেশের যক্ষা রোগের লক্ষণ ও তার প্রতিকার

পরিসংখ্যান তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় হিসাব অনুযায়ী প্রতি বৎসর তিন লাক্ষের অধিক লোক এই যক্ষ্মার জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়। যা স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় জন্য বড় হুমকি হিসাবে উল্লেখ করা যায়।

পেজ সূচিপত্র 

যক্ষ্মা রোগ কি 

যক্ষ্মা একটি জীবাণু ঘটিত রোগ যা মাইক্রোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস নামক একপ্রকার জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হয় ।এবং এই সংক্রমণের ফলে একজন ব্যক্তি তার জীবন দশায় সুস্থ থেকে  অসুস্থতার দিকে ধাবিত হয়। আমরা সাধারণত মনে করে থাকি যক্ষ্মা মানুষের ফুসফুসে হয়ে থাকে। কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে তা নয়।বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যারা ফুসফুসে যক্ষ্মা দ্বারা আক্রান্ত হয় তাদেরকে ফুসফুসে  যক্ষ্মা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। 

অপরদিকে মেডিকেল টেকনোলজিতে বলা হয়ে থাকে মানুষের শরীরে চুল ও নোখ বাদে সকল স্থানে যক্ষ্মা রোগ হয়ে থাকতে পারে। যাদের কফে যক্ষ্মার  জীবন পাওয়া যায় এ ধরনের রক্ষা কে সাধারণত ফুসফুসে যক্ষ্মা রোগ বলা হয়ে থাকে। সংক্রমণের  স্থান অনুযায়ী যক্ষ্মাকে ২ ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।যেমন ফুসফুসে যক্ষ্মা ও ফুসফুস বহিভূত যক্ষ্মা। ফুসফুসের যক্ষ্মা আবার ২ ভাগে বিভক্ত । একটি হলো কফে যাদের জীবানু পাওয়া যায়। 

এই জীবানুগুলো মাইক্রোশকপি, জীনএ্যাক্সপাট অথবা ট্রনট মেশিনের মাধ্যমে সনাক্ত করা যায়। যা একজন মানুষ হতে অন্য মানুষে  বিস্তার লাভ করে।সুতরাং যক্ষা রোগের বিস্তার রোধে রোগীকে বাঁচাতে বিলম্ব না করে এ রোগের চিকিৎসা শুরু করা জরুরী। অপরদিকে যাদের কফে যক্ষ্মার কোন জীবানু পাওয়া যায় না তবে এক্সের মাধ্যমে এ রোগ সনাক্ত হয়ে থাকে। অপরদিকে ফুসফুসের যক্ষা ব্যতীত শরীরের নোখ  ও চুল ব্যতীত যেকোনো জায়গায় এই যক্ষ্মা রোগ হতে পারে।

এই  যক্ষ্মাকে সাধারণত এক্সটা পালমোনারি   যক্ষ্মা  হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। এই রোগ সাধারনত মস্তিস্ক,বগলের নীচে,মেরুদন্ডে, মুত্রথলি,চোখে,শরীরের যে কোন স্থানে হয়ে থাকতে পারে।ছোট বচ্চাদেরও এই যক্ষ্মা রোগ হতে পারে।বাচ্চরা পূর্বের মতো আর খেলাধুলা করবে না,খুব দূত স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকবে,মেরুদন্ড বাঁকা হয়ে যেতে পারে। এই জাতীয় লক্ষণ গুলি দেখা দিলে তা এফএনএ সি ,বায়োপসি,অথবা এডির মাধ্যমে সনাক্ত করে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হয়। 

এর মধ্যে সঠিক দিক নির্দেশনা না থাকার কারনের জন্য ৫০ থেকে ৬০ হাজার লোক প্রতিবছর মারা গিয়ে থাকে।বাংলাদেশের চিকিৎসার হার সন্তোষজনক বলে মনে হলেও এ যক্ষ্মা রোগ নির্ণয়ের হার আশা ব্যঞ্জক নয়। যক্ষ্মা একটি জীবাণু ঘটিত রোগ যা মাইক্রোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস নামক এক প্রকার শুক্ষ্ম   জীবনু  যার দ্বারা এ রোগ  সংক্রমিত হয়ে থাকে। এই রোগর জীবানু সাধারনত খালি চোখে দেখা যায় না। জীবনু গুলো মাইক্রোস্কোপ এর মাধ্যমে নিরীক্ষিত হয়ে থাকে।

যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ কি কি 

যক্ষা  রোগের  জীবনু  যা মাইক্রোব্যাকটেরিয়িম টিউবারকুলোসিস নামীয়  জীবনু যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি থেকে আরেক জন ব্যক্তিতে  হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়ে থাকে।সাধারণত দুই সপ্তাহের অধিক কাশি যক্ষা রোগের প্রধান লক্ষণ যা সাধারণত এন্টিবায়োটিক দ্বারা নিরাময় যোগ্য নহে। চলুন তবে জেনে নেই যক্ষ্মা রোগের লক্ষণগুলো আসলে কি, 

  1. এই সমস্ত ব্যক্তিদের মেজাজ সব সময়ই খিটখিটে হয়ে থাকে এবং যে কোন জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক এই রোগ কোন নিরাময় সম্ভব নয়।ব্যক্তির স্বাস্থ্য ও ওজন দ্রুত কমে যেতে থাকবে।
  2. একজন ব্যক্তির বুকে ব্যথা বিকালের পর থেকে শরীরে হালকা হালকা জ্বর খাবারে অরুচি শ্বাসকষ্ট  একটুতে হাপিয়ে যাওয়া এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে ওজন কমে যাওয়া এবং রাত্রিতে ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে যাওয়া সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে এই রোগ নিরাময় যোগ্য নহে।
  3. আমরা দেখে থাকি সাধারণত এই জাতীয় লক্ষণগুলো দেখা দিলে আমরা সেই ব্যক্তিকে যক্ষা রুগী হিসেবে শনাক্ত করতে পারি।

বাংলাদেশের যক্ষা রোগের লক্ষণ ও তার প্রতিকার

যক্ষ্মা রোগ কত প্রকার এবং কি কি 

এই রোগ সাধারণত দুই প্রকার হয়ে থাকে একটি হচ্ছে ফুসফুসের যক্ষা। অপরটি ফুসফুস বহিঃভূত যক্ষ্মা।ফুসফুসের যক্ষাকে আবার দুই শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে ।যে সমস্ত ব্যক্তিদের ফুসফুসে যক্ষার জীবাণু পাওয়া যায় যেটা জিন এক্সপার্ট , মাইক্রোস্কোপের বা ট্রনটের মাধ্যমে সরাসরি রোগ সনাক্ত করা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে জিন এক্সপার্টি  ট্রনটের     এর মাধ্যমে   দ্রুত সময়ের মধ্যে রক্ষার জীবাণু শনাক্তকরণের উদ্যোগ বাংলাদেশ সরকার গ্রহণ করেছে। 

যাদের কফে যক্ষ্মার  জীবন পাওয়া যায় এ ধরনের রক্ষাকে সাধারণত ফুসফুসে যক্ষ্মা রোগ বলা হয়ে থাকে। সংক্রমণের  স্থান অনুযায়ী যক্ষ্মাকে ২ ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।যেমন ফুসফুসে যক্ষ্মা ও ফুসফুস বহিভূত যক্ষ্মা। ফুসফুসের যক্ষ্মা আবার ২ ভাগে বিভক্ত । একটি হলো কফে যাদের জীবানু পাওয়া যায়। এই জীবানুগুলো মাইক্রোশকপি, জীনএ্যাক্সপাট অথবা ট্রনট মেশিনের মাধ্যমে সনাক্ত করা যায় যা একজন মানুষ হতে অন্য মানুষে  বিস্তার লাভ করে।

সুতরাং যক্ষা রোগের বিস্তার রোধে রোগীকে বাঁচাতে বিলম্ব না করে অতি দ্রুত এ রোগের চিকিৎসা শুরু করা জরুরী। অপরদিকে যাদের কফে যক্ষ্মার কোন জীবানু পাওয়া যায় না তবে তাদের এক্সের মাধ্যমে এ রোগ সনাক্ত করা হয়ে থাকে। অপরদিকে ফুসফুসের যক্ষা ব্যতীত শরীরের নোখ  ও চুল ব্যতীত যেকোনো জায়গায় এই যক্ষ্মা রোগ হতে পারে ।এই  যক্ষ্মাকে সাধারণত এক্সটা পালমোনারি   যক্ষ্মা  হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। 

এই রোগ সাধারনত মস্তিস্ক,বগলের নীচে,মেরুদন্ডে, মুত্রথলি,চোখে, অথবা মেয়েদের ব্রেষ্ট সহ  শরীরের যে কোন স্থানে হয়ে থাকতে পারে।ছোট বচ্চাদেরও এই যক্ষ্মা রোগ হতে পারে।বাচ্চরা পূর্বের মতো আর খেলাধুলা করবে না,খুব দূত স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকবে,মেরুদন্ড বাঁকা হয়ে যেতে পারে।এই জাতীয় লক্ষণ গুলি দেখা দিলে তা এফএনএ সি ,বায়োপসি,অথবা এডির মাধ্যমে সনাক্ত করে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়ে থাকে। 

যক্ষ্মা রোগ কিভাবে সংক্রমিত হয় 

আমাদের দেশে যক্ষা রোগীর কফ হাচি কাশির মাধ্যমে যক্ষা রোগের জীবাণু বের হয়ে বাতাসে মিশে। এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে তা সুস্থ ব্যক্তির ফুসফুসে ঢুকে বংশ বৃদ্ধি করে। একজন ব্যক্তির হাঁচি এবং কাশির মাধ্যমে প্রায় তিন হাজার ড্রবলেট বের হয়। একসঙ্গে যে ড্রপলেট গুলো একজন যক্ষা রুগী তার জীবন দশায় দশ থেকে বারো জন মানুষকে নতুন করে যক্ষায় আক্রান্ত করতে পারে।

একজন যক্ষা রোগী তার জীবন দশায় তার হাচি  এবং হাশির মাধ্যমে অন্যান্য সুস্থ ব্যক্তিকে সংক্রমিত করতে পারে। আমরা জানি যে একজন ব্যক্তি বিভিন্ন হাট-বাজার গঞ্জ বিভিন্ন স্থানে সে ভ্রমন করে  থাকে। সেই ক্ষেত্রে একজন যক্ষা রোগী বিভিন্ন  স্থানে যে হাঁচি এবং কাশি দেয় তা থেকে প্রায় তিন হাজার ড্রপলেট বেরিয়ে যায়। একজন সুস্থ মানুষ সে যখন বুক ভরে শ্বাস নেয় তখন সে যক্ষ্মাতে আক্রান্ত হয়ে যায়।

আমরা সাধারণত বলে থাকি যে কোন সুস্থ ব্যক্তি যখন হাঁচি এবং কাশি দেয় তখন সে তার নিজের গামছা অথবা হাতের কনুই দিয়ে নাক মুখ ঢেকে সে হাঁচি এবং কাশি দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে অনুরোধ করা হয়ে থাকে। একজন যক্ষায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে আমরা সাধারণত একটি মাক্স ব্যবহার করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করি। এবং হাঁচি এবং কাশি আসলে সে যাতে হাতের কনুই দিয়ে তাকে ঢেকে হাঁচি এবং কাশি প্রদানের জন্য বলা হয়ে থাকে। 

যক্ষ্মা  রোগের চিকিৎসা

বর্তমানে এ রোগের চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ সরকার বহুল ভাবে উপজেলা ভিত্তিতে এ রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা তৈরি করেছেন। আমরা জানি   ডটস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ রোগের সরাসরি চিকিৎসা হয়ে থাকে। এটাকে  ডাইরেকলি  অবজার টিটমেন্ট শর্ট কোর্স। এখানে সরাসরি একজন স্বাস্থ্যকর্মীর উপস্থিতিতে তাকে যক্ষ্মা রোগের ওষুধ নিশ্চিত করতে হয়। অর্থাৎ কারো উপস্থিতিতে সরাসরি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে যক্ষা রোগের ওষুধ নিশ্চিত করাকেই ডটস বলা হয় থকে। 

একজন ব্যক্তিকে পরিমিত নিয়মিত এবং ক্রমাগত ওষুধ সেবনের মাধ্যমে এই রোগ নিরাময় করার জন্য উৎসাহিত করা হয়ে থাকে। এই ডটস প্রক্রিয়া স্বল্প খরচ একটি কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি। প্রতিদিন ঔষধ গ্রহণ নিশ্চিত করা হয়ে থাকে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে যক্ষা রোগীর রোগ নিরাময়ে হার প্রায় একশভাগ। এই চিকিৎসা কৌশল প্রচলিত অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবার সাথে সমন্বিত করে অধিক সংখ্যক যক্ষা রোগী জাতীয় এই যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় আনা সম্ভব। 

সরকার প্রতিটি উপজেলা হাসপাতাল বক্ষবেধি  ক্লিনিক এবং নির্দিষ্ট সংখ্যক এনজিও ক্লিনিকে এ রোগ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। নিয়মিত পরিমিত এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অর্থাৎ ক্রমাগত ওষুধ সেবনে যক্ষা রোগ সম্পূর্ণ ভালো হয় ।তবে অনিয়মিত অপর্যাপ্ত অসম্পূর্ণ চিকিৎসা যক্ষ্মা রোগ জটিল আকার ধারণ করে।পরবর্তীতে নিয়মিত পর্যাপ্ত চিকিৎসা অনেক ব্যয় বহুল হয়ে দাঁড়ায়। প্রাথমিক অবস্থায় এ রোখ নির্নয়ের পর 4FDC দুই মাস খাওয়া পর 2FDC চার মাস চিকিৎসা চালিয়ে সেই রোগীকে সুস্থ হওয়া সম্ভব।

বাংলাদেশের যক্ষা রোগের লক্ষণ ও তার প্রতিকার

যক্ষ্মা রোগের প্রতিকার কি 

যে সমস্ত ব্যক্তিগণ সাধারণত পূর্বে  যক্ষা  রোগে আক্রান্ত হয়নি এমন ধরনের লোককে আমরা নতুন রোগী হিসেবে চিহ্নিত করতে পারি। সেই রোগী নির্দিষ্ট পরিমাণ নিয়মিত ক্রমাগত এবং পরিমিত ঔষধ সেবনের মাধ্যমে এই রোগ থেকে সম্পূর্ণ নিরাময় লাভ করতে পারে। যে সমস্ত রোগী এক মাসের কম সময় ধরে যক্ষা চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। যে সমস্ত যক্ষা রোগীকে পূর্বের চিকিৎসা সম্পন্ন করা হয়েছে এবং সম্পূর্ণ সুস্থ বলে ঘোষণা হয়েছিল এবং বর্তমানে কাশির সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছেন এবং কোথায় যক্ষার জীবন পাওয়া গিয়েছে সেই জাতীয় যক্ষা রোগীকে আমরা রিলাপ্স রোগী   হিসেবে গণ্য করতে পারি। 

বর্তমানে চিকিৎসার আমূল পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। যে সমস্ত রোগীগণ কফে যক্ষার জীবাণু নিয়ে বসবাস করে করছেন বা চিকিৎসা অবস্থায় আছেন তার আশেপাশে যে সমস্ত লোকরা অবস্থান করছেন তাদেরকে কন্টাক  ট্রেসিং এর মাধ্যমে এবং কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে স্ক্রীনিং করে বা মৌখিক কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে সেই সমস্ত লোকদের টিব প্রিভেন্টিভ থেরাপি নামে একপ্রকারের ওষুধ ছয় মাস তাদেরকে পরিবেশন করা হয়ে থাকে। যাতে করে তারা যক্ষ্মায় আক্রান্ত হতে না পারে।

আমাদের শেষ কথা 

বাংলাদেশে যক্ষা চিকিৎসার তুলনামূলক অন্যান্য চিকিৎসা তুলনায় একটি দীর্ঘ মেয়াদী দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই চিকিৎসা প্রদান করা হয়ে থাকে।এই দীর্ঘ প্রক্রিয়ার সময় ধরে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে অনেক যক্ষা রোগী অনীহা প্রকাশ করতে পারে। তাছাড়া ঔষধের বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কারণে রোগী অনেক সময় চিকিৎসা বন্ধ করে দিতে পারে। এই জন্য ডটস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যক্ষা রোগের ওষুধ সেবনের জন্য ডাক্তারগণ উৎসাহিত করে থাকেন। ঔষধ সেবনের জন্য রোগীর সাথে আলাপের মাধ্যমে সাক্ষাতের স্থান এবং সময় নির্ধারণ করা, প্রতি সাক্ষাতে সঠিক মাত্রার ঔষধ সেবন নিশ্চিত করা, রোগী ওষুধ খাওয়ার পর ট্রিটমেন্ট কার্ডে প্রতিবার লিপিবদ্ধ করা, ঔষধের সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সজাগ থাকা বিষয়টির দিকে গুরত্ব দিতে হবে। এই প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য রোগীকে উৎসাহিত করা । এভাবে চিকিৎসা ব্যবস্থা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ একটা সময়ে রক্ষা থেকে মুক্ত হতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস। আগামী ভবিষ্যতের  প্রজন্মর কথা চিন্তা করে একটি কলুষ মুক্ত নির্মল বাতাস উপহার দিতে আমরা সদা প্রস্তুত।।


আরো পড়ুনঃ কিভাবে কম পুজিতে ৬টি লাভজনক ব্যবসা করবেন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পেন এন্ড পেপার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url