অনলাইন ইনকাম কিভাবে করবেন তা জেনে নিন
বর্তমান সময়ে গোটা বাংলাদেশের বিভিন্ন বয়সী অনেক মানুষ অনলাইন এর মাধ্যমে ব্যবসা
মাধ্যমে ইনকাম করে তাদের জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করে চলেছে। চলমান সময়ে মানুষ
সকালে ঘুম থেকে উঠে রাত্রিতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত সময় ব্যাপী প্রযুক্তির উপর
নির্ভরশীল ।
এই লিখাটি আপনার জন্য সহজ ও বোধগোম্য হবে যদি আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করতে
চান। এই আর্টিকেলে আপনার অনলাইন ইনকামের আদ্যোপান্ত আমরা আলোচনা করব ।
পেজ সূচিপত্রঃ
- অনলাইন ইনকাম কিভাবে করবেন
- ব্লগিং করে অনলাইনে ইনকাম
- ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম
- ইউটিউবিং করে ইনকাম
- ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকাম
- ওয়েবসাইট বানিয়ে ইনকাম
- ড্রপ শিপিং এর মাধ্যমে ইনকাম
- এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম
- অনলাইনে আর্টিকেল পড়িয়ে ইনকাম
- অনলাইনে ছবি বিক্রি করে ইনকাম
- অনলাইন সার্ভে করে ইনকাম
- অনলাইনে রিসেলিং করে ইনকাম
- আমাদের শেষ কথা
অনলাইন ইনকাম কিভাবে করবেন
খুব সহজেই মানুষ ইন্টারনেটের জগতে অনুপ্রবেশ করে অনলাইনে অর্থ উপার্জনের
পথ খুঁজে পেয়েছে। যার মাধ্যমে অনেক বেকার যুবক ও বাড়ির মহিলাগনও
অনলাইনে ইনকামের উপর নির্ভরশীলতা অর্জন করে চলেছে। আপনি কোন কোন পদ্ধতির মাধ্যমে ইনকাম করে জীবনের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে
পারবেন। যদি আপনার নিষ্ঠা এবং একাগ্রতা ও অধ্যবসায় বিষয়টি
আপনাকে সমর্থন করে।
যেই যেই উপায়ে অনলাইন ইনকাম করবেন,
- ব্লগিং করে অনলাইনে ইনকাম,
- ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকামন,
- ইউটিউবিং করে ইনকাম,
- ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকাম,
- ওয়েবসাইট বানিয়ে ইনকাম ইত্যাদি।
ব্লগিং করে অনলাইনে ইনকাম
ব্লগিং করে অনলাইনে এর মাধ্যমে ভালো অংকের টাকা উপার্জন বাংলাদেশের একটি
পুরাতন পদ্ধতির মধ্যে অন্যতম। এটি মূলত একটি ডিজিটাল পদ্ধতি যা নিউজ পেপার এর
মত আর্টিকেল লেখা হয়ে থাকে ।যার যা প্রয়োজন তারা নিজ নিজ ইচ্ছা শক্তি
দ্বারা এখানে এসে পড়ে যেতে পারে। এখানে আপনার যদি এ জাতীয় অভ্যাস থেকে
থাকে তবে এখানে লিখেও আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আপনার যে বিষয়ে জ্ঞান ও
অভিজ্ঞতা বেশি সে বিষয়ে আপনি এখানে ব্লগ লিখতে পারেন।
এখন বিষয় হল আপনি কোন স্থানে লিখা লিখি করবেন এই বিষয়টি আপনার ভাবা দরকার।
আপনি একটি ব্লক সাইট বানিয়ে নিতে পারেন। আবার আপনি ফ্রি সাইট ব্লক নিজে
বানিয়ে নিতে পারেন। তবে ফ্রি সাইট ব্লক গুলি মানুষ বিশ্বাস করতে চাই না। একটি
ডোমেন কিনতে হবে যেখানে প্রায় ২৪০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা খরচ হতে
পারে।এক্ষেত্রে আপনি মোবাইল বা কম্পিউটার দিয়ে অনলাইনে কথা ভাবতে পারেন।
এখানে খরচ করে ব্লগ তৈরি করলে আপনার ব্র্যান্ডিং একটি পরিপূর্ণ মর্যাদা পাবে
এবং অনলাইনে আপনার ইনকামের পথ প্রশস্ত হবে । এক্ষেত্রে অর্থ ছাড়া ফ্রি সাইটে
গুগল আপনাকে পুরো ডোমেন দিবে না।আপনি ইচ্ছা করলে কমেন্ট দিয়ে খুব সহজেই ব্লগ
স্পট দিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে একটি ব্লক সাইট খুলে ফেলতে পারবেন ।যেখানে
আপনি এর মাধ্যমে অতি সহজে আপনার ইনকাম বাড়িয়ে চলমান ইনকাম গড়ে
তুলতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম
অনলাইনের যে সকল পদ্ধতি গুলো আছে তার মধ্যে অনলাইনে ফিন্যান্সিং করে আয় করা
সবচেয়ে বড় মাধ্যম হিসেবে পরিলক্ষিত হয়ে থাকে ।দেশে বেকারত্ব থেকে বের করে
নিয়ে আসার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে ।এ ধারাবাহিকতায় আমাদের দেশকে বিশ্বের কাছে পরিচিত করে গড়ে তোলার মাধ্যমে
দেশেকে অগ্রগতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফিল্যান্সারগণ তারা বাংলাদেশে
বিশ্বের কাছে পরিচিত করে গড়ে তুলছে। সেই সাথে হাজার হাজার ডলার রেমিটেন্স
হিসেবে দেশ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ।
এ দিকে আসি কিভাবে আপনি এই ফিল্যান্সারের কাজ শুরু করবেন। আপনি ঘরে
বসেই আপনার অর্থ উপার্জনের কাজ সম্পাদন করতে পারবেন। আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে
নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা দেখে আপনাকে কাজ প্রদান করবেন। এটা হতে পারে
গ্রাফিক্স ডিজাইন হতে পারে ওয়েব ডিজাইন হতে পারে ফটো এডিটিং হতে পারে
কপিরাইটিং হতে পারে কনটেন্ট রাইটিং হতে পারে লোগো ডিজাইন আবার হতে পারে
ওয়েবসাইট মেকিং ইত্যাদি ইত্যাদি। এগুলো যে কোন একটি কাজ যদি আপনি দক্ষতার
মাধ্যমে অর্জন করতে পারেন অথবা একাধিক কাজ যদি আপনি করতে পারেন সেই ক্ষেত্রে
আপনার টাকা ইনকামের পথ বেশি হয়ে যেতে পারে ।
ফিল্যান্সিং শিখার পর আপনাকে ফিল্যান্সার, আফওয়ার্ক, ফাইবার
ইত্যাদি তথ্যসম্বলিত একাউন্ট খুলতে হবে। আপনাকে মেনশন করতে হবে কোন কোন কাজগুলি
আপনি বেশি পারদর্শী। যেকোনো ওয়েবসাইটে কাজ শুরু করার আগে সেই ওয়েবসাইট টা
ভালো করে দেখে নিতে হবে ।যাতে করে আপনি প্রতারিত না হন। আপনি যে কাজ ভাল করতে
পারেন সে কাজগুলি পোর্টফোলিও সাজিয়ে রাখতে হবে। যাতে করে ক্লাইন্ট আপনার
পোর্টফলিও দেখে আপনাকে কাজ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এজন্য আমার পরামর্শ হচ্ছে
আপনার জন্য ভালো একটি পোর্টফোলিও তৈরি করা। যাতে করে আপনার কাজ পেতে সহায়তা
করবে।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে কম পুজিতে ৬টি লাভজনক ব্যবসা করবেন
ইউটিউবিং করে ইনকাম
আমাদের দেশে অনেক বড় বড় ইউটিউবার দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে যাচ্ছে। এদের কারো
কারো মাসিক ইনকাম অনেক বেশি। বিশেষ করে দক্ষ ইউটিউবারগন ৫০ লক্ষ থেকে ৬০ লক্ষ
টাকা পর্যন্ত মাসে আয় করে থাকেন। আপনি যদি একজন ভালো মানের ইউটিউবার হয়ে গড়ে
উঠতে পারেন যদি আপনার কোন দামি ক্যামেরা না থাকে তাতে চলবে। আপনি প্রাথমিক
অবস্থায় মোবাইল দ্বারা যাত্রা শুরু করতে পারেন তারপর সফলতা পাওয়ার পর আপনি
গেজেট হিসেবে দামি ক্যামেরা ব্যবহার করতে পারেন।
এভাবে চলতে চলতে যদি হাজার খানেক সাবস্ক্রাইবার আপনি পেয়ে যান তবে নূন্যতম ভিউ
টাইম হয়ে গেলে আপনি নিজে মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রতিটা ভিডিওর
জন্য মনিটাইজেশন করে ইনকাম করতে পারেন।এই মনিটাইজেশনের জন্য আপনাকে আবেদনও করতে
হবে ।গুগুল ওয়েব সাইট থেকেও আপনি এর ব্যাপারে সহায়তা পেতে পারেন।
বর্তমানে এ ছাড়াও ইউটিউবার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আপনি বিভিন্ন জায়গা থেকেও
স্পন্সারের মাধ্যমে আপনার ইউটিউব এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। প্রসঙ্গক্রমে
বলা যায় আপনার ভিডিও দেখে কোন কোম্পানি আপনাকে বললো তার বিজ্ঞাপন আপনার
ভিডিওতে প্রতিস্থাপন করার জন্য। তাতে আপনি সম্মত হলেন। এই হিসাবে আপনাকে তারা
যথেষ্ট পেমেন্ট করতে সম্মত হলেন। এভাবে আপনি টাকা ইনকামের পথ তৈরি করতে পারেন।
ভিডিও দেখে অনলাইনে ইনকাম
অনলাইনে ভিডিও দেখে ইনকাম করার মতো কোনো তথ্য হয়তো অনেকেরই জানা নেই।
বাস্তব কথা হলো ভিডিও দেখে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করার মত ঘটনা অনেকের কাছে
অবাস্তব হলেও বিষয়টি সত্য। এ বিষয়ে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে প্রতিদিন
আপনাকে ভিডিও দেখার জন্য টাকা প্রদান করা হবে।
এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে অনলাইনে ভিডিও দেখিয়ে ইনকাম করার মত অনেকে রয়েছেন
।এখান থেকে আপনাকে ভিডিও দেখিয়ে কোন টাকা প্রদান করবেন না। এ বিষয় থেকে
বাঁচতে আপনাকে অনেক সতর্ক অবলম্বন করতে হবে। অনেক চটকদারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে
যেখান থেকে আপনাকে প্রলোভন দেখিয়ে ভিডিও দেখানোর কথা বলে আপনাকে আকৃষ্ট করে
তুলবে। আর আপনি আকৃষ্টতায় মুগ্ধ হয়ে যাবেন। এ কথা সত্য যে আমরা
এভাবে অনেকেই প্রতারিত হচ্ছি।
এ সকল চটকদারি বিজ্ঞাপন আর লোভনীয় অফার দিয়ে আপনাকে আকৃষ্ট হয়ে তুলতে পারে।
এই জাতীয় বিজ্ঞাপন খুবই চটকদারি হয়ে থাকে। যখন দেখবেন ওয়েবসাইট টা খুবই
লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকবে তখনই বুঝে নিবেন আসলো ওয়েবসাইট থেকে কোন পেমেন্ট
পাওয়া যাবে কিনা। কারণ ওয়েবসাইট থেকে এই ছোট্ট ফোন থেকে মোটা অংকের টাকার
লোভনীয় অফার যেদিকে থাকবে সেই বিষয়টি থেকে সাবধানে কাজ করা শুরু করবেন। যাতে
করে কোন রকম প্রতারনার মুখোমুখি না হয়ে সফলতার দিকে পা বাড়াতে পারেন।
ওয়েবসাইট বানিয়ে ইনকাম
ওয়েবসাইট বানিয়েও আপনি ভাল ইনকামের পথ তৈরি করতে পারেন। এটি ভালো মানের
ওয়েবসাইট বানিয়ে ৫০ হাজার টাকা থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে
পারবেন। এক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের গুণগতমান সঠিক থাকতে হবে। ক্রেতা যেভাবে চাই
সেভাবে আপনাকে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।
আপনার সাইটে পরিমিত পরিমাণ ট্রাফিকিং থাকে যাতে করে পর্যাপ্ত পরিমান দাম
পেতে পারেন।মনে রাখবেন আপনি যদি একজন ভালো মানের ওয়েব ডিজাইনার হন তবে সে ক্ষেত্রে অথবা একজন ভালো ওয়েব
ডিজাইনার শিখতে পারেন তবে ওয়েব ডিজাইনের কাজ করতে হলে আপনাকে ভালো কোন
প্রতিষ্ঠানে ওয়েব ডিজাইন হিসেবে কাজ শিখতে হবে ।
অপরদিকে ভালো ওয়েব ডিজাইনার হিসাবে কাজ শিখতে পারলে ভালো অথবা কোন
প্রতিষ্ঠানে ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে চাকরি করে মাসে ভালো বেতনের চাকরি সুযোগ
তৈরি করতে পারবেন। আপনি চাইলে ওয়েব ডিজাইন প্রতিষ্ঠান থেকে ওয়েব ডিজাইনারের
কাজগুলি আরো সুন্দরভাবে দেখে নিতে পারবেন। এভাবে যদি আপনার হাতে ক্লায়েন্ট
থাকে তবে সাইডগুলো বিক্রি করে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
ড্রপ শিপিং এর মাধ্যমে ইনকাম
ড্রপ শিপিং এর মাধ্যমে প্রতিমাসে অন্তত ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আপনি অনায়াসে
উপার্জন করতে পারবেন। এই ড্রপ শিপিং সম্পর্কে আপনাকে একটি সুন্দর সুস্পট
ধারণা দেওয়া যাক। যেমন ধরেন আপনার এলাকায় একটি পণ্য ২৫০ টাকায় বিক্রি
হচ্ছে খোঁজ নিয়ে দেখা গেল সেই পণ্যটি শহরে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই
জাতীয় কোন পণ্য ই-কমার্স এর মাধ্যমে বিক্রয় হচ্ছে ।এটিই হচ্ছে ই-কমার্স
ব্যবসার ফলাফল। যেখান থেকে আপনি ভালো মানের অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
আবার দেখা যাক কোন পণ্য ৫ টাকা কেজি দরে গ্রাম্য এলাকায় বিক্রি হচ্ছে
।আপনার ই-কমার্স ওয়েব সাইডে প্রোফাইল খুলে শহর এলাকায় সেই পণ্য ৫৫ টাকা দিয়ে
বিক্রয় হচ্ছে তার তথ্য আপনি দেখতে পাচ্ছেন।এখানে প্রতি কেজিতে এভাবে
৫০ টাকা লাভ হচ্ছে সেই সময়ে আপনি তার জন্য ব্যবস্থা নিয়ে পন্য কিনে
শহরে সরবরাহ করতে পারবেন।এই অবস্থায় আপনি যথেষ্ট পরিমান পণ্য সরবরাহ করে এই
ব্যাবসায় প্রচুর পরিমানে লাহবান হবেন।
এভাবে ক্রমান্বয়ে আপনি বড় ধরনের একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান খুলে ফেলতে
পারেন। আপনি যদি প্রতিষ্ঠানকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারেন এতে করে
আপনি নিজে উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারবেন। অপর দিকে কিছু বেকার
ছেলে মেয়েদের কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারবেন। একদিকে যেমন আপনি বসে থেকে
প্রতি মাসে ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন অপরদিকে বেকার
যুবকদের কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম
সারা বিশ্বে এই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে
বাংলাদেশে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। সমস্ত পৃথিবীতে এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর
মাধ্যমে এই উদ্যোক্তাগন অনেক অর্থ উপার্জন করে চলেছে। এটি খুবই সহজ মাধ্যম যা
অনেক মানুষ তা জানে না।বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার মানুষ ই-মার্সের মাধ্যমে এর
ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করে চলেছে ।এই
পদ্ধতির মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষ ইনকাম করে চলেছে ।
একটি সেকশন রয়েছে আপনি সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলে মেম্বার হতে পারবেন। এই
নির্দিষ্ট সাইট থেকে আপনি বিভিন্ন সাইটে লিংক তৈরি করে পণ্যের বিভিন্ন বিজ্ঞাপন
দিতে পারবেন। যে কোনো লিংক দিয়ে পণ্যটি সরবরাহ করতে পারবেন। যেখান থেকে আপনি
একটি নির্দিষ্ট কমিশন লাভ করতে পারবেন।তবে আপনি জানবেন কোন পণ্য সরবরাহের জন্য
কোন পণ্যের দাম বাড়বে না তবে আপনি সেখান থেকে যথেষ্ট পরিমান কমিশন পেতে
পারবেন ।
এভাবে যদি আপনি একটি বৃহত্তম কমিটির কমিউনিটির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন
।তবে ক্লিক করে পণ্য সরবরাহ হয়ে থাকবে। অপরদিকে আপনি যদি আপনার পরিচিতি সহ
প্রায় এক হাজার টি ইমেইলে সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারেন বা বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে
পারেন তবে এই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে এখন প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৫০ হাজার
টাকা বসে থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইনে পড়িয়ে ইনকাম
আমাদের দেখছি আমাদের আশেপাশে অনেক শিক্ষক অথবা ছাত্রগন বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে
ছাত্রছাত্রী পড়িয়ে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা উপার্জন করে থাকেন। তবে
এই উপার্জন বেশ কষ্টসাধ্য। এই উপার্জনের সিংহভাগ টাকা যাতায়াতের জন্য খরচ হয়ে
যায়। আবার নিজের জন্য সময় অপচয় হয়ে থাকে। আবার অনেকে কোন কোচিং সেন্টার
খুলে ছাত্র ছাত্রী পড়িয়ে থাকেন। এতে করে কোন বাড়ি ভাড়া বা প্রতিষ্ঠান
ভাড়া করাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
বাড়ি ভাড়া করে কোচিং সেন্টার তৈরি একটি সমস্যাও বটে কারণ প্রাথমিক অবস্থায়
বাড়ি ভাড়া করে চালানো সমস্যা তৈরি হয়। অনলাইনে পেমেন্ট নিয়ে আপনি শিক্ষকতা
করতে পারেন। যেখানে আপনার জন্য কোন বাড়িভাড়া বা আলাদা কোন ক্লাসরুম লাগবে
না।এই কনসেপ্ট থেকে অনলাইনে ৫০হাজার টাকা ৬০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
যেখানে কোন শ্রেণীকক্ষ থাকবে না বা কোন চেয়াও টেবিল থাকবে। তার এর জন্য কোন
বাড়তি কোন খরচও আপনাকে বহন করতে হবে না।
বর্তমান বিশ্বে প্রায় ৫০ শতাংশ লেখাপড়া অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে।
প্রকাশ থাকে যে কোভিড-১৯ এর সময়ে আমাদের দেশে অনলাইনের মাধ্যমে স্কুল কলেজ
থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস সম্পূর্ণ হয়েছে। আমাদের
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এর জন প্রিয়তা বাড়ছে। আবার আমাদের দেশে কিছু
কিছু প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে যেখান থেকে ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন বিষয়ে অনলাইন
ক্লাস করে সম্যক জ্ঞান ও পরিপূর্ণতা লাভ করছে। যেমন জার্মান ল্যাঙ্গুয়েজ
জাপানি ল্যাঙ্গুয়েজ সহ বহুবিধ ল্যাঙ্গুয়েজ। অপরদিকে
ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পর্কে এবং আইল্স সহ বহু ভাষা সম্পর্কে
তারা জ্ঞান লাভ করছে।
ছবি বিক্রি করে ইনকাম
বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মদের হাতে হাতে স্মার্টফোনের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়ে
চলেছে। আপনি যদি সামান্য ছবি এডিট করার কাজ জানেন তবে আপনার স্মার্টফোনের
মাধ্যমে ছবি তুলে ওয়েব সাইটে আপলোড করে ছবি বিক্রি করে প্রতি মাসে ৫০ থেকে ৬০
ডলার উপার্জন করতে পারবেন। ছবি সামান্য এডিট করে অথবা ছবি আপলোড করতে পারবেন
যদি আপনার কোন এল ই ডি ক্যামেরা নাও থাকে। সে ক্ষেত্রে এ কাজ করেও টাকা ইনকাম
করতে পারবেন।
পরবর্তীতে আপনার ইনকাম যদি পর্যায়ক্রমে বাড়তে থাকে তবে ক্যামেরা কিনে আপনি
আপনার কাজকে অব্যাহত রাখতে পারেন। এভাবে যদি কাজকে ভালোবেসে আপনি আপনার কাজকে
ধরে রাখতে পারেন তবে পরবর্তীতে আপনি নিজের জন্য একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে ছবি
আপলোড করতে পারবেন। এভাবে ছবি আপলোড অর্থ উপার্জন চালিয়ে যেতে পরবেন।
আপনি আপনার ওয়েবসাইট অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। এবং সেই অ্যাকাউন্ট আপনার
ছবিগুলি আপলোড দিতে হবে।ছবি বিক্রি করে আপনি হাজার হাজার টাকা আয় করতে
পারবেন।তবে ছবিগুলো আপডেটেড দিতে হবে।যেখানে আপনার ছবিগুলি চাহিদা
সম্পন্ন হতে হবে। এখান থেকে পয়সা ইনকাম হবে। ছবিগুলি বিক্রি করে প্রতি
মাসে ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
অনলাইন রিসেলিং করে ইনকাম
বর্তমানে আমাদের দেশে অনলাইন পণ্য বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আপনারা যদি
উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন তবে এই ব্যবসা আপনার জন্য যথোপযুক্ত ।আপনি যদি চান এ
ব্যবসার আপনি করতে পারবেন তবে প্রাথমিক পর্যায়ে এ ব্যবসা বেশ বড় আকারে
শুরু করতে হবে। যাতে করে পরবর্তী সময়ে পুজি গঠনে সহায়তা হয়। তবে ছাত্র
জীবন এটি বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার আপনার জন্য।
প্রাথমিকভাবে আপনাকে রিসেলিং এর জন্য কোন একটি কোম্পানির সাথে অ্যাকাউন্ট
করতে হবে। রিসেলিং কোম্পানির সাথে আপনাকে কম দামে পণ্য কিনতে হবে এবং পণ্যগুলো
বাড়তি দামে বিক্রি করতে হবে। যদি আপনি দুই তিনটা রিসেলিং কোম্পানির সাথে
যোগাযোগ রক্ষা করতে পারেন বা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন তবে তা হবে আপনার জন্য
সহায়ক। সেখানে অর্থ উপার্জেনর মাধ্যম সহায়ক হবে।
রিসেলিং কোম্পানির কাছ থেকে কম দামে পণ্য কিনে তা আপনাকে পন্যের ছবি আপলোড দিতে
হবে।আর সে পন্য তার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন ।এভাবে আপনার পেজ কোন
পণ্য যদি বিক্রি করতে পারেন তবে মাসে অন্তত এর মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে আপনি ৫০
হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা অনায়াসে উপার্জন করতে পারবেন । অপরদিকে বেশ
কিছু লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে সমাজে প্রতিষ্ঠা অর্জন করতে পারবেন ।এ
জাতীয় রিসেলিং এর মাধ্যমে মেয়েরাও এগিয়ে এসেছে। এই সমস্ত ওয়েবসাইটে নিজেদের
কোন পণ্য তৈরি করা লাগবে না যেখানে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আপনাকে সরবরাহ করবে।
অনলাইন সার্ভে করে ইনকাম
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আছে যারা তাদের উৎপাদিত পণ্যের গুণগত
মান যাচাইয়ের জন্য অথবা গ্রাহক পর্যায়ে ফিডব্যাক নেওয়ার জন্য সার্ভে করে
থাকেন। আবার অনেক দেশ আছে যারা সরকারিভাবে সার্ভে করে থাকে। দেশের সরকারের
প্রতি জনসমর্থন কতটা তা জরিপের জন্য সরকার নিজেই তার সার্ভে করে থাকেন। তবে
বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি বেশির ভাগই অনলাইন সার্ভিসের জন্য
আহ্বান করে থাকেন।
অনলাইন সার্ভে করে প্রকৃত তথ্য উৎঘাটন করে প্রয়োজন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
এই সমস্ত সার্ভেগুলো বড় বড় প্রতিষ্ঠান বা সরকার নিজে পেইড সিস্টেমের মাধ্যমে
অর্থ প্রতিশোধ করে থাকেন। এজন্য আপনাদের একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থাকতে হবে
এবং কোয়ালিটি সম্পন্ন হতে হবে। তাদের চাহিদা মোতাবেক ওয়েবসাইট গুলো আপডেট
থাকতে হবে।যেখানে আপনি প্রতি মাস প্রতি সময়ের জন্য ১০০ ডলার পর্যন্ত উপার্জন
করতে পারবেন ।
এ সমস্ত কাজগুলো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে। এ সমস্ত কাজ পেতে হলে
আপনার নির্দিষ্ট একটি ওয়েবসাইট একান্ত প্রয়োজন হবে। এই ওয়েবসাইটগুলো আপডেটেড
ইনফরমেশন থাকতে হবে। যাতে করে কোন প্রতিষ্ঠান আপনাকে দিয়ে কাজ করানোর জন্য সেই
কাজের সাথে ওয়েবসাইটের সঙ্গে মিল থাকে। যে প্রতিষ্ঠান সার্ভের সাথে
আপনার ওয়েবসাইটের সঙ্গে মিল থাকে। তবে আপনি সেই সার্ভের কাজ পেতে পারবেন। তবে
পর্যায়ক্রমে ওয়েবসাইট আপডেট করতে হবে।
আমাদের শেষ কথা a
অনলাইন ইনকাম বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বহুল প্রচলিত একটি ব্যবসা।যা
ঘরে বসে আপনি উপার্জন করতে পারবেন। বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক মানুষ ছাত্র এবং
যুবসমাজ এ লাইনে কাজ করে যাচ্ছেন। যা নিজে নিজেই কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে
পারবেন। আমাদের দেশের ফিনান্সাররাও সহ বহু বেকার মানুষ বিভিন্ন অনলাইনের
মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে চলেছে ।এখানে অনলাইনে ১১ টি ইনকামের সঙ্গে কাজ করা
যায় এ তথ্যগুলো তুলে ধরা হয়েছে। আপনি আরো সার্চ করে আরো অনলাইনের দ্বারা
ইনকামের যাত্রা শুরু করতে পারেন। এখনই আপনার সময় যেখানে একটি ওয়েব সাইট কিনে
অনলাইনে বাড়িতে বসে নিজেই উদ্দোগতা হয়ে কাজ শুরু করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ সাপ তাড়ানোর ভেষজ পদ্ধতি
পেন এন্ড পেপার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url