কিভাবে সহজ উপায়ে টাকা আয় করতে পারবেন বাংলাদেশ ২০২৪
কিভাবে সহজ উপায়ে টাকা আয় করতে পারবেন বাংলাদেশ ২০২৪ সম্পর্কে জানা থাকলে আমরা খুব সহজেই ভালো পরিমানে অর্থ উপার্জন করতে পারব। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে এই আর্টিকেলটি টাকা উপার্জনের সহজ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানাব।
পেজ সূচিপত্রঃ
- অনলাইন ইনকাম করার উপায় ২০২৪
- ব্লগিং করে টাকা ইনকাম
- ইউটিউবিং করে টাকা ইনকাম
- ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম
- ড্রপ শিপিং করে টাকা ইনকাম
- ওয়েবসাইট বানিয়ে টাকা ইনকাম
- অনলাইনে আর্টিকেল পড়িয়ে টাকা ইনকাম
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম
- অনলাইনে ছবি বিক্রি করে টাকা ইনকাম
- অনলাইনে সার্ভে করে টাকা ইনকাম
- অনলাইনে রিসেলিং করে টাকা ইনকাম
- অফলাইনে বসে আপনি যেভাবে টাকা ইনকাম করতে পারবেন
- নার্সারীর ব্যবসা করে টাকা ইনকাম
- মুদি ব্যবসা করে টাকা ইনকাম
- বার্গারের ব্যবসা করে টাকা ইনকাম
- ঝাল মুড়ির ব্যবসা করে টাকা ইনকাম
- কফি ও চায়ের দোকান করে টাকা ইনকাম
- পাপোশ তৈরি করে টাকা ইনকাম
- সূচ সুতার কাজ করে টাকা ইনকাম
- মাটির পাত্রে মোমের কাজ করে টাকা ইনকাম
- মাটির পাত্রে রঙের কাজ করে টাকা ইনকাম
- আমাদের শেষ কথা
অনলাইন ইনকাম করার উপায় ২০২৪
এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে মানুষ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছে বিভিন্ন প্রফেশনাল উপায়ে। আর ইন্টারনেট প্রযুক্তি হওয়ার কারণে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে আয়ের সুযোগ সুবিধা দিন দিন বেড়েই চলেছে। অনেকের চাকরির পরিবর্তে অনলাইন পেশাকে ক্যারিয়ার হিসেবে গড়ে তুলেছে। ব্যাপারটা অনেক ইন্টারেস্টিং না? চলুন তবে দেরি না করে জেনে নেই কি কি উপায়ে আমরা অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারব।
- ব্লগিং করে টাকা ইনকাম
- ইউটিউব করে টাকা ইনকাম
- ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম
- ড্রপ শিপিং করে টাকা ইনকাম
- ওয়েবসাইট বানিয়ে টাকা ইনকাম
- অনলাইনে আর্টিকেল পড়িয়ে টাকা ইনকাম
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম
- অনলাইনে ছবি বিক্রি করে টাকা ইনকাম
- অনলাইনে সার্ভে করে টাকা ইনকাম
- অনলাইনে রিসেলিং করে টাকা ইনকাম
ব্লগিং করে টাকা ইনকাম
বাংলাদেশে সাধারণত অনেক প্রতিভাবান ব্যক্তি রয়েছেন যারা বিভিন্নভাবে ব্লগ লিখতে পারেন। অথবা আর্টিকেল রাইটিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করতে পারেন।আপনি যদি সাহিত্যে সমৃদ্ধিতে এগিয়ে থাকেন। অথবা কোন ব্লগ লেখার অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে এই জাতীয় ব্লগ লিখে আপনি অনায়াসেই অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।এই ব্লগ গুলি বা আর্টিকেলগুলি যুগোপযোগী বা সময়োপযোগী হয়ে থাকবে। এই ব্লগ লিখে আপনি গুগল ওয়েবসাইট দিয়ে রেঙ্কিং করিয়ে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
এখন বিষয় হচ্ছে আপনি কিভাবে লেখা লিখি করবেন। কোন স্থানে লিখালিখি করবেন। এই ব্লক লিখার ক্ষেত্রে আপনার কোন মাধ্যমে আপনি ব্যবহার করবেন। এই বিষয়ে আপনাকে সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। আপনাকে ধারনা থাকতে হবে আপনি ব্লগ লিখার ওয়েবসাইট বা ডোমেন ক্রয় করতে পারেন অথবা ফ্রি ডমেনে আপনি ব্লগ লিখার কাজগুলি করতে পারেন। আপনি ইচ্ছা করলে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে ব্লগ স্পট তৈরি করে নিতে পারবেন।
ব্লগ লিখার কাজগুলি করতে হলে আপনাকে গুগল থেকে ডোমেন ক্রয় করতে হবে। একটি ডোমেইন ক্রয় করতে আপনাকে ২৪০০ থেকে ২৫০০ টাকা খরচ করতে হতে পারে। অপরদিকে আপনি আবার ফ্রি ডোমেনে ও কাজ করতে পারেন। তবে ফ্রি ডোমেনে বিশ্বস্ততা অনেক কম থাকে। যার জন্য আপনি ওয়েবসাইটে আপনাকে রাইটারগন বিশ্বাস নাও করতে পারে।আপনি গুগল থেকে ২৪০০ থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে আপনি ডোমেন ক্রয় করে আপনি তার ব্লগে লিখতে পারেন। এই ক্ষেত্রে আপনার বিশ্বস্ততা অর্জন করা সম্ভব।
ইউটিউবিং করে টাকা ইনকাম
আমরা দেখেছি গুগল ওয়েবসাইটে অনেক ইউটিউবার রয়েছে যারা বিভিন্ন আর্টিকেল লিখে ইউটিউবে ডোমেনের মাধ্যমে রেংকিং করিয়ে টাকা উপার্জন করে থাকেন।আপনি যদি একজন ভালো মানের ইউটিউবার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার আর্টিকেল থেকে প্রতিমাসে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা অনায়াসে উপার্জন করতে পারবেন। ইউটিউবার গান সাধারণত আর্টিকেল লিখে অনলাইনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে থাকেন।
এভাবে ব্লগ লিখতে লিখতে আপনার ব্লগে ১০০০ খানিক ভিউয়ার্স যদি সাবস্ক্রাইব করে থাকে। তাহলে আপনি ন্যূনতম ভিউ হয়ে গেলে আপনি গুগলের কাছে ভিডিওর জন্য মানিটাইজেশনের আবেদন করতে পারবেন। গুগল আপনাকে ভিডিওর জন্য মানিটাইজেশন এর আবেদন মঞ্জর করলে আপনি এই ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জনের পথ খুঁজে পাবেন।
আপনি এভাবেই ইউটিউবে কাজ করার সময় যখন ওয়েবসাইটে রেংকিং হয়ে যায়। তখন কোন কোম্পানি আপনার ইউটিউব দেখে সেই কোম্পানির বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য আপনাকে অনুরোধ করলেন। এমন সময় আপনি ওই স্পন্সারের মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকামের পথটা প্রশস্থ করলেন। সেই কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য প্রতিস্থাপন করবেন। যেখান থেকে অর্থ উপার্জন সম্ভব। এভাবে আপনার ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জনের পথ তৈরি করলেন।
বিস্তারিত জানতে আরো পড়ুনঃ অনলাইন ইনকাম কিভাবে করবেন তা জেনে নিন
ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম
ভিডিও দেখিয়ে টাকা ইনকাম করার মতো কোনো তথ্য আমাদের অনেকেরই জানা নেই বলে প্রতিমান ।তবে ইউটিউবারগন অবশ্যই জেনে থাকবেন যে অনলাইনে ভিডিও দেখিয়ে টাকা ইনকাম করার মত তথ্য সাধারণত তথ্যগুলো জেনে থাকেন ।ভিডিও দেখে অনেকে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছেন।তবে এক্ষেত্রে অনেক সাবধনতা অবলম্বন করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে অনক সজাগ থেকে কাজ করে যেতে হবে।
তবে বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয় যে এই সমস্ত ভিডিও আপলোড করে আপনাকে চটকদারি বিজ্ঞাপনের ফলাফল দেখে আপনার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে পারেন। এই জাতীয় চটকদারি বিজ্ঞাপনের প্রলোভন দিয়ে আপনি কখনো ইউটিউবে এই সমস্ত ভিডিওগুলো দেখার জন্য অনেক ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়ে থাকে। যা পরবর্তীতে আপনাকে যে কোনো তথ্য গোপন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
এই চটকদারি বিজ্ঞাপনে আপনাকে প্রকৃত ভাবে কোন নির্ভরষোগ্য তথ্য প্রদান করতে পারে। এই চটকদারি বিজ্ঞাপন দেখে আপনি প্রলোভিত হয়ে আপনি চিন্তা করবেন মোবাইল এর মাধ্যমে কিভাবে এই অর্থ উপার্জন করা যায়। পরবর্তীতে আপনি চটকদারি বিজ্ঞাপনের ফাঁদে ফেলে আপনার সমস্ত কিছু হাতিয়ে নিতে পারে। সে দিক থেকে আপনি অত্যন্ত সতর্কতার সাথে এই পথ অবলম্বন করতে পারেন।
ড্রপ শিপিং করে ইনকাম
আপনি ড্রপ শিপিং এর মাধ্যমে প্রতি মাসে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এই ড্রপ শিপিং ব্যবসাটা কি তা আপনাকে একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। মনে করেন আপনি গ্রামে একটি পণ্য ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আপনি শহরে দেখলেন ওই একই পণ্য শহরে গিয়ে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আপনি গ্রাম থেকে এই সমস্ত পণ্যগুলো নিয়ে যদি শহরমুখী বিক্রয়ের ব্যবস্থা করেন। তবে প্রতিটা পন্যের উপর আপনার ২৫০ টাকা লাভ হবে।
আবার দেখা যাক কোন পণ্য গ্রাম এলাকায় ৫৫ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে কিন্তু শহর এলাকায় সেটি ১০৫ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। আপনি ই-কমার্সের মাধ্যমে এই ব্যবসাটা করতে পারেন। এ ব্যবসার ফলাফলে আপনি প্রতি কেজি মূল্যে ৫০ টাকা হিসেবে লাভবান হতে পারবেন। এতে করে আপনি প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা লাভ করতে পারবেন।
এভাবে পর্যায়ক্রমে ব্যবসা সঙ্গে জড়িত থাকলে আপনি ই-কমার্স জাতীয় ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন। যে ব্যবসা থেকে আপনি প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা অনায়াসে উপার্জন করতে পারেন। যা পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠিত ই-কমার্স ব্যবসায় রূপান্তর হতে পারে। এবং আপনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে উঠতে পারবেন।
ওয়েবসাইট বানিয়ে টাকা ইনকাম
একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারেন। তবে বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে ওয়েবসাইটের গুণগতমান ক্রেতার চাহিদার উপর ভিত্তি করে আপনাকে ওয়েবসাইট টা তৈরি করতে হবে।ক্রেতার চাহিদা মোতাবেক যদি আপনি সেই ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারেন তবে আপনি অন্তত ৫০ থেকে ১ লক্ষ টাকায় ওয়েবসাইট টা বিক্রি করতে পারবেন।
আপনি ওয়েবসাইট বানিয়ে তা বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন অথবা আপনি নিজেও যদি একজন ওয়েব ডিজাইনার হয়ে থাকেন তবে যে কোন প্রতিষ্ঠানে আপনি ওয়েব ডিজাইন হিসেবে চাকুরী করতে পারবেন। তবে বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয় যে ওয়েব ডিজাইনার হয়ে আপনি কাজের পাশাপাশি চাকুরীর ব্যবস্থাও করতে পারবেন। যেখান থেকে প্রতিমাসে আপনি বেতন হিসেবে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
অপরদিকে ভালো ওয়েব ডিজাইনার হলে আপনি কাজের পাশাপাশি যে কোন প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানে চাকরি হিসেবে ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে কাজ করে প্রতি মাসে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। যে অর্থ আপনার নির্দিষ্ট পরিমাণ ওয়েব ডিজাইনার কাজ থেকে আপনি অর্থ উপার্জনের পথ প্রশস্ত করতে পারবেন। যদি আপনার কাছে কোন ক্লায়েন্ট থাকে তাহলে তার চাহিদা মোতাবেক ওয়েব ডিজাইনগুলো আপনি তৈরি করতে পারবেন।যেখান থেকে অর্থ উপার্জনের পথ তৈরী হবে।
অনলাইনে আর্টিকেল পড়িয়ে টাকা ইনকাম
আমরা দেখে থাকি অনেক শিক্ষকগণ বিভিন্ন আর্টিকেল লিখে ছাত্ররা পড়িয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। একজন প্রতিষ্ঠিত শিক্ষক বাড়িতে গিয়ে গিয়ে না পড়িয়ে সে অনলাইনের মাধ্যমে ছাত্রদেরকে পড়িয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন ।অথবা কোন নির্দিষ্ট সাবজেক্ট এর উপরে আর্টিকেল পড়িয়েও আপনি ছাত্রদের কাছ থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ছাত্র পড়ানো অথবা একটা কোচিং সেন্টার তৈরি করে সেখান থেকে অর্থ উপার্জন করা একটি সময় সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল হিসাবে পরিগণিত হতে পারে। আপনি অনলাইনে ছাত্রদেরকে পড়িয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। যে আর্টিকেলগুলো সাধারণত খুব কম পাবলিস্ট হয় আপনি যদি একজন প্রতিভাবান শিক্ষক হয়ে থাকেন তবে আর্টিকেল পড়িয়ে আপনি ছাত্রদের কাছ থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
বর্তমানে বিশ্বে ৫০% শিক্ষকরা বিভিন্ন আর্টিকেল লিখে এবং অনলাইনে ছাত্রদেরকে কাছ থেকে অর্থ উপার্জন করে থাকেন। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় বাংলাদেশে ২০১৯ সাল থেকে কভিড ১৯ এর শুরুর প্রাক্কাল থেকে অনলাইনে ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়া করে তাদের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো অবগত করেছেন। যদি অনলাইনের মাধ্যমে অথবা আর্টিকেল লিখিয়ে এই লেখার মাধ্যমে এই সমস্ত প্রতিভাবান ছাত্রদের প্রতিভা বিকাশ করার সুযোগ থাকে তাহলে বর্তমান সভ্যতাও বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে আমাদের বিশ্বাস।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম
বর্তমানে সারা বিশ্বে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে হাজার হাজার মানুষ ইনকামের পথ তৈরি করছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটা সহজ মার্কেটিং যেখানে আপনি একজন বিক্রেতা হিসেবে আপনার হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে অথবা ইমেইলের মাধ্যমে আপনি এই লিংকেজ গুলো তৈরি করতে পারেন। যেখানে ক্রেতা এবং বিক্রেতার মাধ্যমে সমান্নিত হয়ে বিক্রয় ব্যবস্থ নিশ্চিত হবে।
এটি এমন একটি সেকশন যেখানে শুধুমাত্র আপনি লিংকেজটি তৈরি করে দিবেন। ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে লিংকেজ থাকবে। এখানে লিংকেজের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি হলেও এই পণ্যের দামের কোন অংশেই বাড়বে না শুধুমাত্র আপনি জানবেন ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে সমন্বয়। সেখান থেকে আপনি যথেষ্ট পরিমাণ কমিশন পেতে পারেন । যা থেকে আপনি অর্থ অর্জন করতে পারবেন।
এভাবে আপনি যদি বৃহত্তর কমিউনিটির সাথে একটি শক্ত নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারেন। সেখানে আপনার ইমেইল এড্রেস অথবা আপনার লিংকে দিয়ে আপনি পণ্য সরবরাহ করতে পারবেন। পন্য সরবরাহের ক্ষেত্রে এই পণ্যের দামের কোন অংশে বৃদ্ধি পাবে না। শুধুমাত্র আপনি লিংকেদের জন্য সেখান থেকে কমিশন পেতে পারেন। এভাবে বৃহত্তর কমিউনিটির সাথে যদি আপনি লিঙ্কেজ তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনি বসে থেকে প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা উপার্জনের পথ তৈরি করতে পারবেন।
অনলাইনে ছবি বিক্রি করে ইনকাম
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে নতুন প্রজন্মদের হাতে স্মার্টফোন সচারাচর দেখতে পাওয়া যায়। আপনি যদি সামান্য পরিমাণ ছবি এডিট করার কাজ করতে পারেন তবে এই স্মার্টফোন থেকে আপনি প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এই ছবিগুলো তুলে এডিট করে আপনি অনলাইনে বিক্রির ব্যবস্থা করতে পারবেন।
এভাবে যদি পেশাদারিত্ব হিসেবে আপনি এই ছবিগুলোকে তুলে এডিট করে অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রির ব্যবস্থা করেন সেই ক্ষেত্রে থেকে আপনার উপার্জনের পথ প্রশস্থ হতে পারে। পরবর্তীতে আপনি এই ব্যবসাকে আপনি আরো গতিময় করে গড়ে তুলতে পারবেন। সেই জাতীয় ব্যবসা করে আপনি প্রতি মাসে অন্তত আপনার উপার্জনের ৪০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা ইনকামের পথটা সৃষ্টি করতে পারবেন।।
আপনি যদি ভালো একজন ছবি এডিটর হয়ে থাকেন তবে এই ব্যবসাটা আপনার জন্য। এ কাজ গুলো গ্রহণযোগ্য। কারণ আপনি ছবি তুলে ওয়েব সাইটে একাউন্ট করে এই ছবিগুলো আপলোড দিতে হবে। এই আপলোড দেওয়ার পর আপনার ছবিগুলোকে তার আগে এডিট করে আপনাকে ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি এভাবে এই প্রফেশনকে আপনি আপনার ইনকামের পথ হিসেবে তৈরি করতে পারেন তবে এই ওয়েবসাইট একাউন্ট থেকে আপনার ছবিগুলো আপনি সেল করতে পারবেন। যেখান থেকে প্রতি মাসে ন্যূনতম ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা আপনার উপার্জন করা সহজ হবে। আপনার একাউন্ট থেকে ছবিগুলো যখন বিক্রি হবে সেখান থেকে আপনি অন্তত যে টাকা উপার্জন করবেন সে টাকা দিয়ে আপনার পারিবারিক সচ্ছলতা ফিরে আসবে ।
অনলাইনে সার্ভে করে ইনকাম
বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেখানে স্বয়ং সরকার থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য বাজারজাত করার ব্যাপারে এই সার্ভে করার ব্যবস্থা করে থাকেন। বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশ আছে যে দেশগুলি সরকারের প্রতি কতটুকু জনসমর্থন রয়েছে সেই সার্ভের কাজ গুলো করিয়ে থাকে।অনলাইনে বসে আপনি এ কাজগুলো করে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
কোন কোন কোম্পানিগুলো সার্ভে করে ফিল্ডে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য এই সার্ভেগুলো করে থাকেন। সরকার অনেক সময় তার জনসমর্থন কতটুকু সেগুলিও সার্ভে করে থাকেন। এ সার্ভে করার কারণের জন্য আপনার ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। যেখান থেকে আপনি অনলাইন সার্ভে করে এক শত ডলার পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন।
এ সমস্ত কর্মকাণ্ড গুলো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে একাউন্ট খুলে আপনি অনায়াসে পরিচালনা করতে পারবেন। এক্ষেত্রে সার্ভের কাজের জন্য আপনার ডাটাবেজ ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করতে হবে। এবং যারা প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি আছে তারা এই সার্ভিসগুলো করার জন্য আপনাকে ওয়েবসাইটে তারা এর নির্দিষ্ট কাজের জন্য অর্থ প্রদান করে থাকবে। এই ওয়েবসাইটগুলো সাধারণত ডাটা সার্ভের উপরে ভিত্তি করে গড়ে ওঠে।
অনলাইনে রিসেলিং করে টাকা ইনকাম
বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের দেশে রিসেলিং ব্যবসা অনেকটা জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আপনি বসে থেকে এই ব্যবসা করতে পারবেন। তবে প্রাথমিক অবস্থায় বেশ বড় আকারে এ ব্যবসা গড়ে তুলতে হয়। আপনি যদি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন তবে রিসেলিং এর মাধ্যমে আপনার ব্যবসাটা প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে। তবে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এই ব্যবসাটা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। কারণ এই ব্যবসার প্রথম অবস্থাতেই বেশ বড় পুঁজি গঠন করতে হয়।
প্রাথমিক পর্যায়ে কোন কোম্পানির সাথে আপনাকে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হয়। এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এই ব্যবসাটা প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে। এভাবে যদি কয়েকটি কোম্পানির সাথে আপনি এই একাউন্ট খুলে ব্যবসাটা পরিচালনা করতে পারেন তবে এই ব্যবসার মাধ্যমে বসে থেকে আপনি যে কমিশন লাভ করবেন সেই কমিশন দিয়ে অন্তত ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা প্রতি মাসে বসে থেকে উপার্জন করতে পারবেন।
রিসেনিং কোম্পানি গুলোর কাছ থেকে আপনি কম দামে পন্য কিনেে আপনার ওয়েবসাইটের আপলোড দিতে পারবেন। আপনি রিসেলিং কোম্পানির কাছ থেকে কম মূল্যে পণ্যগুলো কিনে আপনার ওয়েবসাইটে বিক্রয় ব্যবস্থাপনায় আপনি পোস্টিং দিতে পারেন। এই সমস্ত ব্যবসা করে অন্তত মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বসে থেকে অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। এই জাতীয় রিসেলিং এর সঙ্গে আপনি যুক্ত হলে আপনার এলাকায় যুবক যুবতীগনও এ জাতীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারবে।
অফলাইনে বসে আপনি যেভাবে টাকা ইনকাম করতে পারবেন
অনলাইনে বসে যেমন মানুষ টাকা-পয়সা ইনকাম করে চলেছে অপরদিকে অফলাইনে বসেও মানুষ টাকা ইনকামের পথ প্রশস্ত করে চলেছে। এই জন্য আপনাকে বা আপনার পরিবারকে কোনরকম কোন কষ্ট বা বেদন দায়ক কোন কাজ করতে হবে না। আপনি নিজ স্থানে বসে থেকেই এই অর্থ উপার্জনের পথ তৈরি করতে পারবেন।
অফলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করার কিছু উপায়,- নার্সারীর ব্যবসা করে টাকা ইনকাম
- মুদি ব্যবসা করে টাকা ইনকাম
- বার্গারের ব্যবসা করে টাকা ইনকাম
- ঝাল মুড়ির ব্যবসা করে টাকা ইনকাম
- কফি ও চায়ের দোকান করে টাকা ইনকাম
- পাপোশ তৈরি করে টাকা ইনকাম
- সূচ সুতার কাজ করে টাকা ইনকাম
- মাটির পাত্রে মোমের কাজ করে টাকা ইনকাম
- মাটির পাত্রে রঙের কাজ করে টাকা ইনকাম
নার্সারির ব্যবসা করে টাকা ইনকাম
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নার্সারীর ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অনেকে এই নার্সারীর ব্যবসাকে পেশাদারী ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করেছেন।আমাদের দেশে ফলজ বনজ ও ঔষধি বৃক্ষের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এক্ষেত্রে আপনি যদি নার্সারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন তাহলে আপনার জীবনে অর্থ উপার্জনের পথ প্রশস্ত হয়ে যেতে পারে।
অনেকেই মনে করে এই নার্সারীর ব্যবসা কিভাবে করা সম্ভব। আপনার বাড়ির পাশে যদি সামান্য জায়গাটুকু পড়ে থাকে। এই জায়গাটুকু আপনি নার্সারি ব্যবসায়ী কাজে লাগাতে পারেন। আমের মৌসুমে যে আটিগুলো পড়ে থাকে এই আঁটিগুলো সংগ্রহ করে আপনি আপনার নার্সারিতে আমের চারা উৎপাদন করতে পারেন। এক বছর পূর্ণ হলে উন্নত মানের হাইব্রিড সাউন সংগ্রহ করে আপনি গ্রাফটিং এর মাধ্যমে পরবর্তী বছর থেকে আপনি এই চারাগুলো উচ্চমূল্যে বিক্রি করতে পারেন।
অপরদিকে মেহগনি বীজ সংগ্রহের সময় অর্থাৎ বসন্তকালে মেহগনির বীজ ফেটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। এই বীজগুলো সংগ্রহ করে আপনি আপনার বাড়ির পাশে যে জায়গাটুকু আছে সেই জায়গাটুকুতে আপনি গাছ লাগাতে পারেন। যে গাছগুলো দুই বছর অতিক্রান্ত হলে এ গাছগুলো উচ্চমূল্যে বিক্রি করা সম্ভব। আপনারা গাছ লাগানো হলে অর্থাৎ বর্ষা মৌসুমে সরকারি বা বেসরকারি সংস্থাগুলো এই সময়ে বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ অতি উৎসাহেব সাথে উৎযাপন করে থাকে।এই চারাগুলো রোপন সময় বিক্রি করে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয়ের উপায়
মুদি ব্যবসা করে টাকা ইনকাম
সাধারণত আমরা দেখে থাকি বাংলাদেশের অনেক ফুটপাতে ছোটখাটো মুদির ব্যবসা গড়ে উঠেছে। এই মোদির ব্যবসা করে অন্তত আপনি মাসে বসে থেকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। সেখানে আপনি যে সমস্ত দ্রব্যাদি প্যাকেট জাতীয় পন্য বিক্রি করতে পারেন। সে সমস্ত প্যাকেট জাত দ্রব্যাদি থেকে আপনি অনায়াসে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
বাংলাদেশের মানুষ সাধারণত অতিথি পরায়ণ লোক। যদি আপনি মোদির ব্যবসা সঙ্গে পাশাপাশি একটি ছোট্ট চায়ের দোকানে গড়ে তুলতে পারেন তবে সেখান থেকে অন্তত ৫০০কাপ চা বিক্রি করলে আপনার প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এভাবে আপনি ছোট মুদির দোকানের পাশাপাশি চায়ের দোকানে গড়ে তুলতে পারেন। চায়ের দোকান আপনার অতিরিক্ত একটি অর্থ উপার্জনের পথ সৃষ্টি করতে পারে।
বর্তমানে কোন দ্রব্য কেনার জন্য আপনাকে কোন মার্কটে অথবা কোন গঞ্জে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। যে সমস্ত কোম্পানিগুলো বাজারজাত করছে এ সমস্ত কোম্পানিগুলো আপনার দোকানে মালামাল পৌঁছে দিচ্ছে। এদিক থেকে আপনার যেমন সময়ের অপচয় হচ্ছে না অপরদিকে আপনি বসে থেকে দোকানে উন্নত মানের প্যাকেট দ্রব্য পেতে পারেন। সেখানে ক্রেতার কাছে সহজেই আপনি বিক্রি করতে পারবেন। বর্তমানে স্ট্রিট ফুড বাংলাদেশে খুব প্রসিদ্ধতা লাভ করেছে।এজন্য আপনাকে কোন গঞ্জ বা হাটে যেতে হবে না আপনি বাসায় বসে থেকে আপনিও যে সমস্ত কোম্পানিগুলো পণ্য বিক্রয়ের জন্য বিজ্ঞাপন দিচ্ছে সে সমস্ত পণ্যগুলো আপনি দোকানে বসে থেকে অনায়াসে পেতে পারছেন। এজন্য বাড়তি সময়ের কোন প্রয়োজন হচ্ছে না আপনি দোকানে বসেই তা পাচ্ছেন এজন্য বাড়তি কোন সময় অপচয় হচ্ছে না ।
বার্গারের ব্যবসা করে টাকা ইনকাম
বর্তমানে বাংলাদেশে জেলাভিত্তিক শহরে এবং বিভাগীয় শহরে স্ট্রিট ফুডের যথেষ্ট পরিমাণ প্রচলন শুরু হয়েছে। আপনি পাচ্ছেন পাউরুটির সাথে মুরগির মাংস এবং মিওনিস দিয়ে তৈরী করে বার্গার গুলো বিক্রি হয়ে থাকে। এবং ছাত্র-ছাত্রীরা এবং বৃদ্ধরাও পর্যন্ত এই বার্গার খেয়ে থাকে। এভাবে স্ট্রিট ফুডে বার্গারের ব্যবসা করেও আপনি যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
ইদানিং কালে একটি বার্গারের দাম ৩০ টাকা হয়ে থাকে একটি পাউরুটির সঙ্গে কিছু মুরগির মাংস মিশিয়ে এবং মেওনিস মিশিয়ে এই বার্গার গুলো কয়লার আগুনে পুড়িয়ে এগুলো বিক্রি করা হয়ে থাকে। সেখান থেকে সর্বমোট ১৫ টাকা খরচ হলে আপনার ৩০ টাকা করে বিক্রি করলে ১৫ টাকা লাভ হয়ে থাকে। এইভাব ব্যবসা চলতে থাকলে আপনার ইনকাম সুনিশ্চিতে চলতে থাকবে।
আপনি যদি নিজের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এই ব্যবসাটা নিশ্চিন্তের সংগে সুস্থ্য মানুষিকতা নিয়ে ব্প্রযসাটি প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন তাহলে প্রতিমাসে অন্তত এখান থেকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আপনি উপার্জন করতে পারবেন। সেই ক্ষেত্রে আপনার কোন দিক থেকে সংকোচ বোধ থাকলে আপনি এই ব্যবসা করে উঠতে পারবেন না। যথেষ্ট পরিমাণ সংকোচবোধকে আপনার বিসর্জন দিয়ে নিজের ভবিষ্যতের চিন্তা মাথায় রেখে এই ব্যবসাটা করে যেতে পারেন।
ঝাল মুড়ির ব্যবসা করে টাকা ইনকাম
ঝাল মুড়ির ব্যবসা সচরাচর আমরা ট্রেনে অথবা লঞ্চঘাটে অথবা বিভিন্ন বাজারের রাস্তাতে অথবা কোন স্টডেন্ট প্যালেসে এ জাতীয় ঝালমুড়ির ব্যবসা লক্ষ্য করে থাকি। সামান্য পুঁজি গঠনের মাধ্যমে এ ঝাল মুড়ির ব্যবসা আপনি করে যেতে পারেন। যেখানে আপনি প্রতিদিন দুই থেকে তিন হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
কিছু পরিমাণ পুঁজি গঠন করে আপনি এই ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারেন। আপনার সাধারণত মুড়ির সাথে সামান্য চানাচুর মিশিয়ে অথবা সরিষার তেল মিশিয়ে এবং কিছু মুখরোচক লবণ মিশিয়ে এই ব্যবসাটা প্রতিষ্ঠিত রূপ লাভ করবে। যেখান থেকে আপনি প্রতিদিন দুই থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন।
আপনি যদি একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে চিন্তা করতে পারেন। তবে এ ব্যবসাটি আপনার জন্য। আপনি সকল বাধা বিভিন্ন উপেক্ষা করে আত্মসম্মানবোধ নিয়ে এই ব্যবসা আপনি প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন।একটা সময় আপনি নিজেই একজন বড় উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। যা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এখন সহজ-বদ্ধ হয়ে উঠেছে এই সমস্ত ব্যবসা। যেখান থেকে আপনি পারিবারিক চাহিদা মিটিয়েও আপনি প্রয়োজনে সঞ্চয় গড়ে তুলতে পারেন।
কফি ও চায়ের দোকান করে ইনকাম
কফি এবং চা ব্যবসা করে আপনি প্রতিদিন ২ হাজার টকা থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন। বাঙালি মানুষরা সাধারণত অতিথি পরায়ন হয়ে থাকে। এই আতিথেয়তার বড় মাধ্যম হচ্ছে চা এবং কফি। এ পানীয় জাতীয় খাবার আপনি যদি প্রতিষ্ঠিত একজন কফি এবং চা বিক্রেতা হয়ে আত্মপ্রকাশ করতে পারেন। তবে আপনি বাড়িতে বসে থেকেই প্রতি দিন দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
বর্তমানে কফি এবং চা এই ব্যবসাটা যথেষ্ট পরিমাণ পরিচিতি এবং সাফল্য লাভ করেছে। সাধারণত শহর বা শহরতলী এলাকায় সাধারণত মানুষ ডিস এন্টেনার সংযোগের মাধ্যমে টিভি দেখিয়ে মানুষের আড্ডাবাজি করে এই চা এবং কফি জাতীয় পানীয় বিক্রি করে। প্রতিটা দোকানদার প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা লাভ করে তার সংসারের যাবতীয় উপার্জন করতে পারে।
আপনি যদি নিজে একজন প্রতিষ্ঠিত চা অথবা কফি বিক্রেতা হয়ে থাকেন। তবে সেখান থেকে আপনি আপনার পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে পারেন। অপরদিকে আপনি একটা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন। যদি আপনার মধ্যে নিষ্ঠা এবং একাগ্রতা কাজ করে থাকে তাহলে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য। যেখানে দোকানে বসে আপনার প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
পাপোস তৈরি করে টাকা ইনকাম
আমাদের দেশে যথেষ্ট পরিমাণ গার্মেন্টস শিল্প রহিয়াছে। যেখানে গার্মেন্টস এর পরিত্যক্ত এবং ফেলে দেওয়া কাপড়ের ছাড় থেকে গ্রাম্য এলাকায় অনেকেই পাপোশ তৈরির কাজে লিপ্ত থাকেন। এই পাপোশগুলো তৈরি করে যে কোন বাজারে অথবা শহরতলীতে অথবা শহরে বিক্রয় করলে আপনি সেখান থেকে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে উঠতে পারবেন। পাশাপাশি গ্রাম্য এলাকার বিশাল জনগোষ্ঠীকে কর্মমূখী করে গড়ে তুলবে।
এই সমস্ত ফেলে দেওয়া গার্মেন্টসের উচ্ছিষ্ট অংশটুকু আপনি সংগ্রহ করে সেখানে থেকে আপনার গ্রামে মহিলাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারেন। আবার মহিলাদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টির পাশাপাশি আপনি এই পাপোশগুলি বাজারজাত করে আপনি একজন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে গড়ে তুলতে পারবেন। অপরদিকে আপনি একজন প্রতিষ্ঠিত উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে আত্মপরিচয়ের মাধ্যমে গ্রাম্য এলাকায় একজন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে তৈরি করে ব্যবসায়িক চিন্তাধারা থেকে আপনি প্রতিষ্ঠা অর্জন করতে পারবেন।
আপনি যদি এই ব্যবসার জন্য চিন্তা করে থাকেন তাহলে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য। কারণ আপনি গ্রাম্য এলাকায় মহিলাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবেন। পাশাপাশি আপনি একজন উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা অর্জন করবেন। এ ব্যবসাটি করে আপনার নিজের সাফল্য তা ফিরিয়ে আসবে। আপনি অন্তত মাসে বাড়িতে বসে থেকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। আপনি মাসে অন্তত ৪০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন এবং গ্রাম্য এলাকায় আপনি একজন সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবেন। আপনি একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গড়ে উঠবেন এবং সমাজে একজন সম্মানিত ব্যক্তির আসনে পদার্পণ করবেন।
সুচ সুতার কাজ করে টাকা ইনকাম
গ্রাম্য এলাকায় সাধারণত অনেক মহিলাদেরকে সুচ ও কাঁথা সেলাইয়ের কাজ করতে দেখা যায় ।অনেকে কুরুশ কাটা এবং সুঁচ সুতা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের টুপি এবং গেঞ্জি তৈরি করতে দেখা যায়। তারা তাদের পারিবারিক গণ্ডির মধ্যেই তার সীমাবদ্ধ রাখে।আপনি যদি একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। তবে আপনি মহিলাদেরকে সংগঠিত করে এই ব্যবসাটি করে যেতে পারেন। এতে করে টাকা উপার্জনে পথ তরী করতে পারবেন।
আপনি যদি একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাহলে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য। সাধারণত গ্রাম্য মহিলাদের দ্বারা উৎপাদিত পণ্য বিভিন্ন বাজারজাত করণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে এগিয়ে এসেছে। এর মাধ্যমে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে এই সফলতা আপনার জন্য অনেক অর্জন বয়ে নিয়ে আসতে পারে।আপনি গ্রামের সকল মহিলাদের সুসংগঠিত করে তাদের ইনকাম সঙ্গে যুক্ত করতে পারেন। এই প্রসঙ্গে দারাজ পাঠাও এর কথাও বলাযায়।
অপরদিকে এরই মাধ্যমে একটি সংগঠন রূপান্তরিত হতে পারে। যে সংগঠনের সদস্য সংখ্যার মাধ্যমে আপনি একজন প্রতিষ্ঠিত উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সরকারের অনুদান সহ অন্যান্য সামাজিক সংগঠনের স্বীকৃতি স্বরূপ আপনি এই কর্মসংস্থান সৃষ্টির যে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন তা আপনার জন্য একটা সাফল্য বয়ে আনতে পারে বলে আমার বিশ্বাস। তবে আপনি এই সংগঠন থেকে প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এই সংগঠনটি পরে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করবে। যেখান থেকে গ্রাম্য এলাকার মহিলাদের কর্মসংস্থান সহ আপনি উৎভাবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবেন।
মাটির পাত্রে মোমের কাজ করে ইনকাম
মাটির পাত্রে মোমের কাজ করে অর্থ উপার্জন অনেকদিন যাবত বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আসছে। বর্তমানে বিভিন্ন মাটির পাত্রে মোম ঢেলে সেখানে প্রদীপ প্রজনন করে এজাতীয় ব্যবসা বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশের চাহিদা পূরণ করে আপনি যদি একজন উদ্যোক্তা হিসাব গড়ে তুলতে পারেন তাহলে বিদেশেও রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। বিদেশে এই জাতীয় পন্য রপ্তানিতে বাংলাদেশে অনেক প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে।
মাটির পাত্রের ভিন্নতা হিসেবে এই মোমবাতি গুলো সমাধিক প্রচলিত। এই মোমবাতি গুলো বিভিন্ন উৎসবে অথবা কর্ম ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই মোমবাতিগুলো বাজারে আপনার চাহিদা পূরণ করে আপনার এলাকায় আপনি একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারবেন। এই মোমবাতিগুলো তৈরির সময় আপনি গ্রাম্য মহিলাদেরকে সংগঠিত করে এ কাজ করে নিতে পারবেন। যা পরবর্তীতে আপনার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ থেকে আপনি বিদেশও রপ্তানি করতে পারবেন।
অপরদিকে ডায়াসে মোম ঢেলে আপনি মোমের কাজও করতে পারবেন। যা আপনার এলাকায় বাজারজাত করে আপনি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে তার প্রতিষ্ঠা অর্জন করতে পারবেন। এভাবে আপনার এলাকায় মহিলাদেরকে সংগঠিত করে এই জাতীয় কাজে আগ্রহ প্রকাশ করেন তবে আপনি একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আপনার এলাকায় প্রতিষ্ঠা অর্জন করতে পারবেন। এর সংগে সাফল্য সুনিশ্চিত উঠবে।
মাটির পাত্রে রঙের কাজ করে টাকা ইনকাম
মাটির পাত্রে রঙের কাজ করে মাটির পাত্র বিক্রয় একটি জনপ্রিয়তা ব্যবসা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই মাটির পাত্র গুলো ক্রয় করে আপনি রংয়ের কাজ করে মাটির পাত্রে বিভিন্ন রূপ দিতে পারবেন। এই মাটির পাত্র গুলো বিভিন্ন সৌখিনতা সামগ্রী হিসেবে আমাদের সমাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। উৎসবে পর্বনে এ মাটির পাত্রগুলো বিক্রি হয়ে থাকে।এ মাটির পাত্র গুলো বিভিন্ন প্রসাধনী হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।
আপনি যদি নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে মনে করেন তবে এই মাটির পাত্র গুলো সংগ্রহ করে সেখানে রঙের কাজ করে বিভিন্ন মেলা অথবা বাজারে আপনি এগুলো বিক্রির ব্যবস্থা করতে পারেন। যেখান থেকে আপনি প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আপনি যদি এই কাজগুলো করতে পারেন তাহলে আপনি একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবেন।
এই জাতীয় ব্যবসায়ীক কাজে উদ্ভদ্ধ করে আপনি অনেক বেকার মহিলা এবং ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারবেন। যেখানে বসে থেকে তারা নিজেদের পরিবারের সমস্ত কাজকর্ম সেরে আপনার প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় সাফল্যতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। একদিকে যেমন তারাও উপকৃত হবে অপরদিকে আপনার প্রতিষ্ঠানটাও ধীরে ধীরে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করবে বলে আমার বিশ্বাস।
আমাদের শেষ কথা
আজকে সহজভাবে বসে থেকে টাকা উপার্জন করা যায় সেই তথ্যগুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম। আপনি যদি একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে চান অথবা বাংলাদেশের গ্রাম্য এলাকায় মহিলাদেরকে তাঁর পারিবারিক কাজের পাশাপাশি কিভাবে অর্থ উপার্জন করতে হয় সেই নির্দেশনা প্রদান করেন। তাহলে আগামীতে আপনি একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।
এই উদ্যোক্তা হিসেবে আপনি আপনার উৎপাদিত পন্য দেশে এবং দেশের বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা করে থাকেন এবং সেখান থেকে যদি আপনি মাসে ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হবেন এবং বিদেশের রপ্তানি করে সেখান থেকে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করতে পারেন তাহলে দেশের জন্য একটি কল্যাণকর দিক বয়ে নিয়ে আসবে বলে আমাদের বিস্বাস। এই সমস্ত কর্মকাণ্ড গুলো যদি আপনি গ্রাম্য এলাকার মহিলা অথবা বেকার ছেলেমেয়েদেরকে সংগঠিত করে এই সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাহলে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আপনার এই সমস্ত উপার্জিত দ্রব্যের দ্বারা বাজারজাতকরণে আপনি একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।
পেন এন্ড পেপার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url