মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয়ের উপায়
মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয়ের ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আপনাদেকে একটি স্বচ্ছ ধারনা দিতে এসেছি।আপনি ঘরে বসেই যা অনায়াসে অর্থ উপার্যন করতে পারবে। কিভাবে তা সম্ভব এ ব্যাপারে বিস্তারিত তা আালোচনা করবো।
এ কাজ গুলে সবাই সচারচর দেখে থাকলেও মানুষ ব্যবসার আঙ্গিকে তেমন বিষদ ভাবে দেখেনি।অথচ ব্যবসার উদ্দেশে নিজে এ জাতীয় কাজ দ্বারা কর্মসংস্থান সৃষ্টি সহ নিজের একটি পুর্নাঙ্গ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া সম্ভব।যা আপনার এলাকার আপনার পরিচিতি তুলে ধরবে।
পেজ সূচিপত্র
- সূচ ও সুতার কাজ
- ক্রস সুতার কাজ
- মাটির পাত্রে মোমের কাজ
- টেইলরের কাজ
- ফুলের টবের কাজ
- মাটির পাত্রে রঙের কাজ
- আমাদের শেষ কথা
সূচ ও সুতার কাজ করে আয়
গ্রাম্য এলাকায় সচারাচর সূচ ও সুতার কাজ গুলি দেখা গেলেও তা নিজেদের মধ্যেয় সীমাবদ্ধ রয়েছে।বাহিরে বিকাশ লাভের
সম্ভাবনা কখনোও চিন্তা করেনি।এ কাজ গুলিকে সংগঠিত করে প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক
রুপ দেওয়া যেতে পারে।একজন নূতন বাচ্চা পৃথিবীতে আগমনের পূর্বে নানী দাদীদের কাঁথা
বানানের ধুম পড়ে যায়। সকল কাজকর্ম ফেলে রাত দিন কাঁথা বানানোর ব্যস্ততায় সময়
কাটায়।এই সকল উপকরণ যদি উৎপাদন করা যেত।
আপনি যদি এই সকল উপকরণ উৎপাদনের জন্য এগিয়ে আসেন তবে গ্রাম্য মহিলা গুলোকে
সংঘবদ্ধ করে উৎপাদন ও বাজারযাত করা যেতে পারে। বড় কাঁথা সহ বেবিদের বিভিন্ন
ধরনের আট করা কাঁথা সেলাই করা যেতে পারে ছোট মনিদের আগমন উপলক্ষে শহর অথবা গ্রামে
পরিবারের মধ্যে আনন্দের হৈচৈ পড়ে যায় আপনি যদি পরিকল্পিতভাবে এই ব্যবসার দিকে
উদ্বদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসতে পারেন তবে গ্রাম্য এলাকায় অসচ্ছল মহিলারা সচ্ছলতার
দিকে এগিয়ে যাবে।
অপরদিকে একটি সংগঠন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করবে। আমরা যদি সোশ্যাল মার্কেটিং এর
সঙ্গে যুক্ত হতে পারি তবে বৃহত্তর বাজার ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাবে। এতে করে
গ্রামের দরিদ্র মহিলারাও কর্মসংস্থানের সুযোগ খুজে পাবে এবং তারাও সচ্ছলতার মুখ
দেখবে বলে আমরা মনে করি। আমরা ও পারি এ জাতীয় উৎপাদনের সংগে সম্পৃক্ত হতে।যেখানে
থাকবে অধিকার বঞ্চিত মানুষ যারা অসহায় নিঘৃত , লাচ্ছিত ও অধিকার বঞ্চিত মহিলাগনও।
ক্রশ ও সুতার কাজ করে আয়
ক্রশ ও সুতা দিয়ে আমাদের গ্রাম্য মেয়েরা বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরি করে থাকে যেমন
টুপি সেলাই ছেলেদের গেঞ্জি সেলাই অথবা সোফা সেটের ব্যাক কভার সহ নানা পণ্য তৈরি
করে থাকে ।এই জাতীয় পণ্য তাদের পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে ।অপরদিকে ডাইনিং
টেবিলের ম্যাপ ও তৈরি করা দিয়ে খুবই উন্নত মানের ডাইনিং টেবিলের ম্যাপ তৈরি করে
সোশ্যাল মার্কেটিং করা যেতে পারে এভাবে একটি সোশ্যাল মার্কেটিং প্লাটফর্মের
মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবসায়িক রুপ দেওয়া যেতে পারে।
এই উৎপাদন গুলি এতই জনপ্রিয় যে আপনি বাড়িতে বসে থেকে উৎপাদনের অর্ডার ও বিপণন
ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে পারেন আপনি যদি গ্রাম্য মহিলাদের সংগঠিত করে একটি
প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চান তবে তা করলে আপনি অল্প সময়ের মধ্যে তা পরিপূর্ণতা
লাভ করতে পারেন। মানুষের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান এক সময় গড়ে
উঠতে পারে যা মানুষের কল্পনাকেও হার মানায়। আজ যারা বড় হয়েছে তাদের সফলতাও এভাবে
এসেছে।
বলা বাহুল্য বাংলাদেশের স্বনামধন্য বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাথমিক অবস্থা ছোট
আকারে শুরু করলেও আজকে তারা তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও অধ্যবসায়ের জন্য
প্রান্তিক পর্যায় থেকে বটবৃক্ষে রূপ লাভ করেছে।সফলতা মানুষের একদিনে আসেনি।অনেক
সাধনার বলে অনেকে তার নিজ কর্মকে স্বার্থকতার স্বর্ণসিখরে পৌছে দিয়েছে। আমরাও
যদি আমাদের কর্মস্পৃহা দ্বারা আমাদের দৃঢ় গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার
প্রচেষ্টা অব্যহত রাখতে স্বচেষ্ট হয় তবে আমাদের সফলতা আসবেই।
মাটির পাত্রে মোমের কাজ করে আয়
মাটির পাত্রে মোমের কাজ করেও আপনি স্বাবলম্বী হতে পারেন তবে আপনাকে জানতে হবে
কিভাবে আপনি এগুলি করবেন মাটির পাত্র গুলি আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে তবে এই মাটির
পাত্রের ভিন্নতা রহিয়াছে প্রযুক্তিগত ভিন্নতা ও বিভিন্ন আকার আকৃতির মাটির পাত্র
সংগ্রহ করতে হবে। মাটির পাত্র গুলোতে নানান রঙে রঙিন করেও আকর্ষনীয় করে গড়ে তোলার
মাধ্যমে আরও আকর্ষনীয় হিসাবে গড়ো তুলতে পারি।তাতে ভিন্নতা থাকবে।
মাটির পাত্রের ভিন্নতা অনুযায়ী আপনাকে তার রূপ রং-এর পরিবর্তন আনতে হবে তবে
ভিতরে মোমের সুতা দিয়ে সেই ডায়াসে গলানো মন ঢালতে হবে মন ঢালা শেষ হলে সেই
আকৃতির মোন ডায়াস থেকে বের করে নিতে হবে মোমের ডায়েস অনুযায়ী মোমগুলির বাজারজাত
করা যেতে পারে । সৌখিন ব্যক্তিদের এ জাতীয় শখ প্রাগৈতিহাসক থেকে বিদ্যমান। রাজা
বাদশগন সৌখিনতার বসে আনক কিছু শিল্প রেখে গেছেন।
অপরদিকে ডয়াসে মোম ঢেলে মাটির ডায়ের সহ মঙ্গগুলি বাজারজাত করা যেতে পারে আপনি
জানবেন যে এই জাতীয় তরিকৃত মন যায়েসহ বিদেশ ও রপ্তানি করে থাকি এ বাজার
ব্যবস্থার আপনার এলাকার গরীব মানুষ যেমন উপকৃত হবে অপরদিকে দেশ ও বৈদেশিক মুদ্রা
অর্জনে সমৃদ্ধি অর্জন করবে। দেশের উন্নয়নে আপনিও ভূমকা রাখতে সচেষ্ট
হবেন।
টেইলর এর কাজ করে আয়
টেইলর এর কাজ করে একজন মানুষ ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে রূপ লাভ করতে পারে।।
গ্রাম্য মহিলারা বিভিন্ন সেলাই প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণ লাভ করে তারা নিজেরা বাড়িতে
বসে তাদের দৈনন্দিন সাংসারিক কাজের পরেও তারা বিভিন্ন ধরনের সেলাই করার কাজ করে
মাসে অন্তত ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারে।
আপনি যদি আপনার পরিবারের সচ্ছলতার দিকে বিবেচনা করেন তবে বাড়িতে বসেও আপনার
পরিবারের যে কোন সেলাই ফোড়ার কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেবার
জন্য আপনি চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারেন। এতে আপনার একদিকে যেমন পরিবারের স্বচ্ছলতা
ফিরে আসবে অপরদিকে মহিলাগণ কাজেও স্বচ্ছলতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
এটি এমন একটি ব্যবসা যে ব্যবসার মাধ্যমে আপনি আপনার প্রতিষ্ঠান থেকে স্ববলম্বী
করে গড়ে তুলতে পারেন। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের সেলাই মেশিন আবিষ্কৃত হয়েছে
যেখানে এ বৈদ্যুতিক অথবা ম্যানুয়ালি মেশিন গুলো ব্যবহার করে স্বাচ্ছন্দ্যে আপনি
সচ্ছলতার দিকে এগিয়ে যাবেন এটা আমার বিশ্বাস।এ ব্যবসাগুলি সমাধিক প্রচলিত হয়ে
দাঁড়িয়েছে।
ফুলের টবের কাজ করে আয়
বর্তমানে মানুষ অনেক আভিজাত্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যারা অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস
করে থাকেন তারা সৌখিনতার বসে ফুল গাছ লাগিয়ে থাকেন এক দিকে যেমন শ্যামল সুশোভিত
তাদের মন-মানসিকতা রঙিন হয়ে ওঠে অপরদিকে প্রাকৃতিক শোভাবর্ধনও করে থাকে। দিনে
দিনে এ ব্যবসর প্রসার লাভ করছে।আপনি এ ব্যবসায় সমধিক পরিচিতি অর্জন করতে পারেন।
আপনি বিভিন্ন এলাকা থেকে ফুলের টপ সংগ্রহ করে তাতে মাটি এবং জৈব সার মিশিয়ে
ফুলের টবের ব্যবসায় উদ্বুদ্ধ করতে পারেন বর্তমানে বিভিন্ন শহর এলাকায় ভ্যানের
মাধ্যমে বিভিন্ন উৎপাদিত ফুলের টপ গুলো বাজারে বিক্রয় করে থাকে। এখানে বিক্রেতা
এবং উৎপাদনকারী লভ্যাংশ গুনতে পারে। সেখান থেকে আপিনও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন করা
সম্ভব।
আপনি যেমন আপনার বাড়ির আশেপাশে সামান্য একটি জায়গার উপরে যে ফুলের নার্সারি
তৈরি করে উৎপাদিত ফুলগুলো ভ্যান এর মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে বিক্রয়ের ব্যবস্থা
করেন তাতে করে একজন গ্রাম্য মহিলা ওই নার্সারিতে কাজ করে তার পারিবারিক সচলতা
ফিরিয়ে আনতে পারে।আপনিও এই ব্যবসার মাধ্যমে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে পারেন ।
মাটির পাত্রে রংয়ের কাজ করে আয়
বর্তমানে বাংলাদেশে মাটির কাজ অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে মাটির পাত্র গুলোকে
বিভিন্ন রং করে এটা মানুষের ব্যবহার উপযোগী করে বিভিন্ন পণ্য সাজিয়ে মানুষ
বাজারজাত করছে। আপনিও এ জাতীয় ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে আপনার উপার্জনের
সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারেন। মাটির পাত্র গুলো বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে
নিপুন হাতে রঙের কাজ করে তার স্পষ্টতা ফুটিয়ে তুলতে পারেন।
এতে করে আপনার এলাকার বিভিন্ন ধরনের মানুষের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে এবং
যারা এই পণ্যটি বাজারজাত করবে তারাও সেখান থেকে লাভবান হতে পারে। মাটির পণ্যগুলো
আভিজাত্যের একটি প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। বিভিন্ন পরিবারের সৌখিনতার বসে
এই সমস্ত মাটির পাত্র গুলো তাদের আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে তারা বিবেচিত করে অথবা
সামাজিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধারণ বাহন করে।
আপনি যদি এই জাতীয় ব্যবসায় উদ্বুদ্ধ হয়ে থাকেন তাহলে এটি হবে আপনার জন্য
বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবসা আপনি যদি অতিরিক্ত সময়ের এটাকে কাজে লাগাতে চান তবে
আপনি এটাকে পেশা হিসেবে নিতে পারলে প্রতিমাসে আপনি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা উপার্জন
করতে পারবেন। এই আয় থেকে আপনি নিজেদের স্বচছলতা সহ আপনার এলাকার হত দরিদ্র
মানুষের কর্মসংস্থানের পথকে সুগম করতে পারবেন।যা আপনার জন্য মর্যাদার বাহক হিসাবে
কাজ লাগবে।
আমাদের শেষ কথা
আমরা জানি আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য এবং কারু নৈপুণ্যতা যথেষ্ট ভাবে সমাদৃত।
গ্রাম্য এই ঐতিহ্য গুলো ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যেতে বসেছে। আমরা যদি মনে করি গ্রাম
বাংলার এই ঐতিহ্যগুলোকে সংরক্ষণ করে আমরা সমাজ এবং দেশের কল্যাণে অবদান রাখবো
তাহলে আমরা এই পণ্যগুলো উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে এবং এই
দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিশাল অবদান রাখব বলে আমরা বিশ্বাস করি। এই ব্যাপারে
আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।য দেশের কল্যানে অবদান রাখে।
পেন এন্ড পেপার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url