ভেষজ উদ্ভিদের মধ্যে উলটকম্বল উদ্ভিদের অনেক গুণ জেনে নিন

ভেষজ উদ্ভিদের মধ্যে উলটকম্বল উদ্ভিদের অনেক গুণ জেনে নিতে চান? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই লিখা হয়েছে। 

ভেষজ উদ্ভিদের মধ্যে উলটকম্বল উদ্ভিদের অনেক গুণ জেনে নিন


এই সমস্ত উদ্ভিদ গুলি সাধারণত গ্রামগঞ্জে রাস্তাঘাট এবং বন জঙ্গলে প্রাকৃতিকভাবেই গজিয়ে ওঠতে দেখা যায়। চলুন তবে দেরি না করে জেনে নেই উলটকম্বল উদ্ভিদের গুণগুলো। 

পেট সূচিপত্র 

ভেষজ উদ্ভিদের মধ্যে উলটকম্বল উদ্ভিদের অনেক গুনাগুন

প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠা যে উদ্ভিদের কথা আপনাদেরকে আমরা বলতে যাচ্ছি সেই উদ্ভিদের নাম উলটকম্বল। যার ইংরেজী নাম ডেভিলস কটন। উলটকম্বল গাছ সাধারণত ৫ থেকে ৭ ফিট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এ জাতীয় গাছের শাখার গোড়র পাতা হৃতপিন্ডের মতো দেখায়।গুল্মজাতীয় চির হরিত গাছ এটি।তবে পাতার সামনের দিকটা সরু ও উজ্জ্বল সবুজ বটে। এ জাতীয় উদ্ভিদ সচারাচর আমাদের বাড়ির আশেপাশে ঝোপে জঙ্গলে দেখা যায়।
 
এ জাতীয় উদ্ভিদের গুণের কথা বলে শেষ করা যায় না। এর ছাল এর বীজসহ এর ডাল গুলো বিভিন্ন চিকিৎসায় কাজে লাগে। ভেষজ উদ্ভিদের মধ্যে উলটকম্বলের অনেক গুণ যে গুণগুলো সাধারণত মানুষ ব্যবহার করে বহুবিধ উপকার পাচ্ছে।বাংলাদেশে বা তার পার্শ্ববর্তী দেশ গুলোতে গজিয়ে ওঠা অনেক ভেষজ উদ্ভিদের কথা শোনা যায়। আমরা দেখেছি বিভিন্ন গ্রাম্য এলাকায় প্রাকৃতিকভাবে এ সমস্ত উদ্ভিদগুলো জন্মে থাকে।
আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে এ জাতীয় উদ্ভিদের বিভিন্ন গুণের কথা আমরা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় অথবা বিভিন্ন কবিরাজের কাছে থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করে উপকারও পেয়ে এসেছি। এই গাছের ছাল ছোট ছোট টুকরা করে সামান্য এক ঢোক সমপরিমান পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিন। উলটকম্বেলর ছাল থেকে এক প্রকার পিচ্ছিল রস নির্গত হবে। সকালে খালি পেটে সেবন করুন।এভাবে ১ৄ সপ্তেহর মধ্যে আপনার শপেটের গ্যাস সহহ কুষ্টকানিন্য দূর হয়ে যাবে।

উলটকম্বল গাছের ছালের উপকারিতা 

উলটকম্বল গাছের ছাল হারবাল চিকিৎসা উপকরণ হিসেবে আমাদের দেশে সমাধিক প্রশংসিত। যাদের দীর্ঘদিন যাবত পায়খানায় কষা  ঠিকঠাক মতো পায়খানা  ক্লিয়ার হয় না  বা পেটের বিভিন্ন সমস্যা যেমন গ্যাস বদ হজম এ জাতীয় সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য উলট কম্বল গাছের ছাল ছোট ছোট আকারে কেটে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এর ছাল থেকে যে পিচ্ছল রস বের হব তা খালি পটে সেবন করুন। দেখবেন আপনি এ রোগ থেকে সেফা পাবেন।

অপরদিকে উলটকম্বলের কচি কচি ডাল পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে আঠার মত নিঃসরণ হয় ।এই আঠার মতো নিঃসরণ বস্তু আপনি খালি পেটে দীর্ঘ সময় ধরে খেলে আপনার পেটের যত কোষ্ট কাটিন্যতা আছে তা দূর হয়ে যাবে। এটির ঔষধি গুন অত্যন্ত জনপ্রিয় তাই এটি গ্রাম বাংলায় প্রচলিত আয়োরবেদীক পথ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। 

প্রাগৈতিহাসিক যুগে যে সমস্ত রাজা বাদশারা ছিলেন তাদের কবিরাজী বিজ্ঞানীরা এবং হারবাল চিকিৎসকগন এই ঔষধি গাছ সাধারণত মানুষকে খাওয়ে বিভিন্ন উপকার করে যেতেন ।এর ঔষধি গুন অনেক বেশি হওয়ায় এই গাছ সাধারণত বিভিন্ন এলাকায় দেখতে পাওয়া যায়। যে গাছের উপকারিতা সমাধিকভাবে প্রশংসিত।

ভেষজ উদ্ভিদের মধ্যে উলটকম্বল উদ্ভিদের অনেক গুণ জেনে নিন

উলটকম্বল গাছের চিকন ডাটার উপকারিতা 

উলটকম্বল জাতীয় গাছের চিকন ডাল ছোট ছোট করে টুকরো করে কেটে রাত্রিতে পানিতে ভিজিয়ে  রেখে ভোরে সকালে এই ডাটাগুলো থেকে আঠালো রস মিশ্রিত হবে এই আঠালো রস সকালে উঠে আপনি বাসি পেটে সেবন করলে আপনার দীর্ঘদিনের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে। আপনি যেকোনো বয়সের মানুষকে এই ডাঠার রস অনায়াসে খাওয়াতে পারেন। 

এই ডাঠার রস সাধারণত সাগু বা বালিজাতীয় সুপের মতো দেখা যায়। যা সেবনে আপনার পেট ঠান্ডা রাখবে এবং আপনি দীর্ঘ সময় ধরে এই কবিরাজি ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য চীরদিনের  জন্য দূর হয়ে যাবে। এ গাছের  সবুজ ডাটা ছোট ছোট টুকরা করে পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিলে  আঠালো পানির মতো বের হয়। এই পানি সকালে  বাঁসি পেটে খেলে পেসাপের জ্বলাপোড়া থেকে নিস্কৃতি পায়।

যাদের দীর্ঘ সময় ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য আছে এই জাতীয় কোন ব্যক্তি যদি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ডাঠার রস  সেবণ করতে পারে তাহলে দীর্ঘদিনের জমানো কোষ্ঠকাঠিন্য চীরদিনের জন্য অনায়াসে দূর হবে। যা গ্রামবাংলায় এখনো সামাজিকভাবে প্রচলিত। 


আরো পড়ুনঃ সাপ তাড়ানোর ভেষজ পদ্ধতি

উলটকম্বলের ফেলর বীজের উপকারিতা

উলটকম্বলের ফল সাধারণত অনেকটা মানুষের হার্টের মতো দেখায় ।এর ভিতরে উলটকম্বলের বীজ উৎপাদিত হয়ে থাকে। এই উৎপাদিত বীজগুলি যদি আপনি চিবিয়ে প্রতিদিন সকালে বাঁশি পেটে খেতে পারেন তবে মেয়েদের মাসিকের সমস্যা সাদাশ্রাব জনিত সমস্যা জীবনের জন্য ভালো হয়ে যেতে পারে।আবার এই বীজ গুলি চূর্ণ করে আপনি বয়েমের  মধ্যে সংরক্ষন করে রাখতে পারবেন। এই বীজগুলি পানিতে ভিজায়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই পানিগুলো ছেকে যদি সেবন করতে পারেন তাহলে মহিলাদের যে সমস্ত সমস্যাগুলো আছে সে সমস্যাগুলো দূর হয়ে যাবে। 

আমাদের দেশে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার মধ্যে উলটকম্বল গাছের কথা সবাই জানে। এশিয়া মহাদেশের মধ্যে এই গাছ সমাধিক সব জায়গায় দেখতে পাওয়া যায় আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত শ্রীলংকা নেপাল ভুটান পাকিস্তানেও এই গাছের অস্তিত্ব আছে। কবিরাজি চিকিৎসা হিসাবে এই গাছগুলো গ্রাম বাংলায় সমাধিক পরিচিত এ জাতীয় গাছ দ্বারা সাধারণত গ্রাম এলাকার মানুষগুলো চিকিৎসা প্রদান করে সফলতা পেয়েছে। 

ভেষজ উদ্ভিদের মধ্যে উলটকম্বল উদ্ভিদের অনেক গুণ জেনে নিন

আমাদের শেষ কথা 

আমাদের দেশ সহ এই সাব কন্টিনেন্ট বিশেষত বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা নেপাল ভুটান সহ পার্শবর্তী দেশ সহ বিভিন্ন দেশগুলোতে এই গাছের অস্তিত্ব অবলোকন করা যায়। গ্রামবাংলায় সাধারণত মানুষ কবিরাজি চিকিৎসা হিসেবে এই গাছগুলোকে ব্যবহার করে থাকেন। যেখান থেকে গ্রাম বাংলার মানুষ সহজ সরল ভাবে তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিচালিত করে থাকেন। আমরা যদি এ গাছের ব্যবহার সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারি তবে আমরা এই গাছটি দ্বারা আমাদের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারবো। এই জাতীয় গাছের ঔষধি গুন অনেক ভাবে পরিলক্ষিত হয়। যা গ্রাম বাংলায় সমাধিকভাবে প্রশংসিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পেন এন্ড পেপার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url