কিভাবে কম পুজিতে ৬টি লাভজনক ব্যবসা করবেন
কিভাবে কম পুজিতে ৬টি লাভজনক ব্যবসা করবেন এ সম্পর্কে আপনাদেরকে স্বচ্ছো ধারনা দিতে যাচ্ছি। এ ব্যবসা আপনি নিজ এলাকাতে আরাম আয়েসে করতে পারবেন।সময় বেছে নিয়ে এ ব্যবসা করাও যেতে পারে।এটি একটি হালাল উপার্জনের পথও বটে।
এ ব্যবসা গুলি অন্যের চোখে ছোট খাটো মনে হলেও লাভের দিক থেকে বেশ অনেককে সাফল্য এনে দিয়েছে। বিষয় গুলো এমন যে মানুষ ভাবতেই পারে না এগুলো থেকে কিভাবে সাফল্য পাওয়া যায়।আসুন এগুলোর কিছু ধারনা দেয়।
পেজ সূচিপত্র
- কম পুজিতে নার্সারীর ব্যবসা
- কম পুজিতে ছোট মুদি দোকানের ব্যবসা
- কম পুজিতে বার্গারের ব্যবসা
- কম পুজিতে ঝাল মুড়ির ব্যবসা
- কম পুজিতে কফি ও চায়ের ব্যবসা
- কম পুজিতে পাপস তৈরীর ব্যবসা
- আমাদের শেষ কথা
কম পুজিতে নার্সারীর ব্যবসা
নার্সারীর ব্যবসা করে ইতিমধ্যে অনেকে সাফল্য লাভ করছে।আমার পরিচিত অনেকে এ ব্যবসার মাধ্যমে তাদের ব্যবসার প্রসার ঘটিয়েছে। বিভিন্ন সবজি বীজ থেকে চারা গজিয়ে স্থানীয় হাটে চারাগুলো বিক্রি করে সেখান থেকে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে চলেছে। মৌসুমের শুরুতে বীজতলা তৈরি করে বিভিন্ন ফসলের চারা উৎপাদন করা যেতে পারে। কৃষকের মাঝে হাইব্রিড বীজের চারা উৎপাদন করে বাংলাদেশের সবজি বিতরণে এক ভূমিকা পালন করে চলেছে।
অনেকেই মনে করে এ জাতীয় ব্যবসা থেকে কি পরিমান লাভ হয় তার ইতিবাচক কোন দিকনির্দেশনা না থাকাই তারা এর ফলাফল বুঝতে ব্যর্থ হয়। আপনি যদি এ জাতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক হন তাহলে আপনার বাড়িতেই আপনি বীজতলা তৈরী করতে পারেন।আমের বিভিন্ন জাতের চারা গাছ থেকে আপনি গ্রাফটিং এর মাধ্যমে হাইব্রিড জাতীয় আম চাষে নার্সারি তৈরি করতে পারেন।
অপরদিকে মেহগনি গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে মেহগনি গাছের চারা উৎপাদন করলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা সহ আপনি ব্যবসা-বাণিজ্যে যথেষ্ট লাভবান হতে পারবেন। প্রত্যেক দেশের মোট আয়োতনের ২৫ ভাগ বনভুমি থাকা প্রয়োজন।সে হিসাবে আমাদের দেশে তা খুবই কম।জাতীয় বৃক্ষ রোপেনে সরকার সহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা মহাউৎসবে জাতীয় বৃক্ষ রোপেন সপ্তাহ উৎযাপন করে থাকে। এক্ষেত্রে আপনিও চারগুলি বিক্রী করে লাহবান হতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায়
কম পুজিতে ছোট মুদির দোকানের ব্যবসা
ছোটখাটো মুদির ব্যবসা করে দিনে অন্তত দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা অনায়াসে উপার্জন করতে পারবেন।। আমরা জানি গ্রাম অঞ্চলের মানুষ একটু অতিথি পরায়ণ হওয়ার কারনে এর জন্য বিকালের দিকে কাজকর্ম সেরে মুদি এবং চায়ের দোকানে বসে কিছুটা সময় মনের খোরাক বা আরাম-আয়েশ করে থাকেন। এ সময়ে মানুষ তাদের আনন্দ এবং আড্ডাবাজিতে সে দোকানে বসে চায়ের উৎসবে মেতে উঠেন । চা একটি পানীয় যা বাঙালি জাতিকে আতিথেয়তার দিকে নিয়ে যাই।
একজন চা বিক্রেতা দিনে ৫০০ কাপ চা বিক্রি করলে সেখান থেকে তার ৫00 টাকা উপার্জন হয়ে থাকে ।অপরদিকে আনুষঙ্গিক বিস্কিট বা অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি করলেও সেখান থেকে আয় আসে।আমরা দেখেছি প্রতিদিন ৮00 টাকা থেকে ১০০০ পর্যন্ত উপার্জন হয়ে থাকে।সব মিলিয়ে দিনে ১০০০ টাকা উপার্জন করা সম্ভব।এই ব্যবসার মাধ্যমে আপনার পরিবারের স্বাভাবিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে আমি বিস্বাস করি।
বর্তমানে বিভিন্ন পন্য নিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীগন বিভিন্ন দোকােন দোকানে বিভিন্ন মালামাল পৌছে দিয়ে থাকে।সে দিক থেকে দোকানীকে মালামাল সংগ্রহের জন্য কোন হাট বাজার বা কোন গজ্ঞে যেতে হবে না।সে দোকােন বসে বিক্রয় যোগ্য পন্য কিনতে পারবেন।প্রতিদিনের পন্য বিক্রির টাকা থেকে সে মহাজনের দেনা মিটিয়ে লভ্যাংসের হিসাব দেখতে পাবেন।এক্ষেত্রে তার পুজি হারানোর সম্ভাবনা থাকবে না বলে আমাদের বিশ্বাস।যা তাকে আরও উৎসায়ী হিসেবে আমাদেরকে গড়ে তুলবে।
কম পুজিতে বার্গারের ব্যবসা
আমরা দেখে থাকি ফুটপাতে পাউরুটির সাথে মুরগির মাংস এবং অন্যান্য উপাদান মিশিয়ে মানুষের বার্গারের ব্যবসা একটি সহজলভ্য ব্যবসা হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। এখানে বেকারী থেকে পাউরুটি কিনে এই পাউরুটি সঙ্গে মুরগির মাংস পুড়িয়ে এই বার্গার গুলো তৈরি করে থাকে । প্রতি পিস পাউরুটি এবং মাংস খরচ হিসেবে ১৫ টাকা বিবেচনায় ফিপটি পার্সেন্ট লাভ হয়ে থাকে। এই বার্গার গুলির সঙ্গে মিউনিস মিশিয়ে প্রতি পিস বার্গার ৩০ টাকা হিসাবে বিক্রি করে থাকেন। হবে।
বর্তমানে প্রতি পিস বার্গার ৩০ টাকা হিসাবে বিক্রি করলে প্রতি পিসে সর্ব নিম্ন ১৫ টাকা লাভ হয়ে থাকে। একজন ব্যক্তি যদি প্রতিদিন ১০০ পিস বারগার বিক্রি করে তাহলে প্রতিদিন তার বার্গার থেকে ১৫০০ টাকা উপার্জন হয়ে থাকে এই হিসাবে এই ব্যবসা আপনার জন্য একটি উপযুক্ত লাভজনক ব্যবসা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এর আয় থেকে আপনার পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
আমরা যদি নিজ কাজের প্রতি নিজেরা শ্রদ্ধাশীল থেকে আত্ম নির্ভরশীল হিসেবে গড়ে উঠতে চায় তবে সকল কাজের প্রতি সকল শ্রদ্ধাবোধ তৈরী করতে হবে। বর্তমানো অনেক ছাত্র ছাত্রী সফল উদ্রোতা হিসেবে এগিয়ে এসেছে।আমরা যদি আত্মমর্যাদার সংগে কাজকে কাজ হিসেবো বিবেচনা করে এগিয়ে আসতে পারি তবে আমাদের সাফল্য নিশ্চিত হবে। এই ব্যাপারে সকল স্থরে সচেনতার মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।
কম পুজিতে ঝাল মুড়ির ব্যবসা
ঝাল মুড়ির ব্যবসা এখন সমাধিক প্রচলিত। ট্রেনে কিংবা স্টিমারে অথবা পথে ঘাটে অথবা কোন আড্ডাশালায় এই ঝালমুড়ি গুলো বিক্রি হয়ে থাকে। মুড়ির সঙ্গে কিছু অংশে চানাচুর মিশিয়ে এবং তেল দিয়ে এ ঝালমুড়ি গুলো বিক্রি হয়ে থাকে। যেখান থেকে প্রতিদিন একজন বিক্রেতা ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা লাভ করে থাকে । এ ব্যবসায় একটি সফল ব্যবসা ।
কিছু পরিমাণ পুঁজি গঠন করে এই ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে ।বাংলাদেশে এই ব্যবসা সফলভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কোন কোন ব্যক্তি এই ব্যবসার মাধ্যমে তাদের দৈনন্দিন খরচ মিটিয়েও তারা লভ্যাংশের মাধ্যমে সঞ্চয় গড়ে তুলতে পারি।সচারোচর আমরা গ্রামে গজ্ঞে দৈনন্দিন এ জাতীয় খাবারের সংগে পরিচিত।ছেলে মেয়েদের স্কুলের সামনেও এই জাতীয় ব্যবসার সংগে অনেককে দেখা যায়। যারা প্রতিদিন কাজ করে যাচ্ছেন।
আমরা যদি একজন সফল উদ্দোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা অর্জন করতে চায় তবে সকল অহঙ্কার ত্যাগ করে আত্মকর্মসংস্থানের দিকে দিদেচনা করতে হবে।জীবনে কোন ব্যাবসায় ছোট নয়।সকল ব্যবসার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সাফল্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।আমরা যদি কোন কাজকে ছোট না ভেবে কাজকে কাজ ভাবলে সাফল্য আসবেই।এ ব্যাপারে অন্যান্ন অনেকের কাছ থেকে বাস্তব ভিত্তিক জ্ঞানেরও পয়োজন হতে পারে।
কম পুজিতে কফি অথবা চায়ের দোকানের ব্যবসা
কফি অথবা চায়ের দোকান করে আপনিও প্রতিদিন ১৫০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারেন। এ ব্যবসা সফলভাবে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অনেকেই এই ব্যবসার মাধ্যমে স্বনির্ভরতা অর্জন করেছে। চা অথবা কফি এমন একটি পানীয় যা বাঙালির আতিথেয়তার প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। একজন বাঙালি তার আতিথেয়তার প্রধান উৎসাহ হচ্ছে চা এই চায়ের মাধ্যমে তার বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এই চায়ের ব্যবসা এমন একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা যেখানে আপনার দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করেও আপনাকে সঞ্চয় এবং মুনাফা অর্জনে সহায়তা প্রদান করতে পারে।এ ব্যাপারে আপনাকে আনেক বড় ভূমিকা পালন করে যতে হবে।প্রতিষ্ঠিত একজন চা ব্যবসায়ী তার ব্যবহার আচার আচরনের দিক থেকে পেষাদারীেত্বর দিকে নজর দিতে হবে।আমরা জানি এই জাতীয় ব্যবসা আপনার ভাবমুত্রীকে আরো উজ্জল থেকে জ্জলতর করবে।
আমরা বাংগালী জাতী আতিথী পরায়ন জাতী ।সারাদিন কর্মব্যস্ততার পর বিকেলের দিকে সহকর্মী অথবা বন্ধু ও সহপাঠীদের নিয়ে চায়ের দোকােন বেশ আড্ডাতে সময় কাটায়।আপনি যদি ভালো উদ্দোতা হয়ে উঠতে চান তবে আপনার নিকটস্ত যে কোন সুস্থ্য হাইজেনিক পরিবেশে একটি চা ও সঙ্গে কফির দোকান গড়ে তুলতে পারে।যেখান থেকে আপনি প্রিতদিন গড়ে ১০০০ কাপ চা বিক্রি করেত পারবেন।এতে করে আপনার ১৫০০ টাকা লাভ হবে।
কম পুজিতে পাপোশ তৈরীর ব্যবসা
আমাদের শেষ কথা
এই জাতীয় ছোট ছোট ক্ষুদ্র ব্যবসা যা অনেকেই জানেনা সেখান থেকে কি পরিমান অর্থ উপার্জন হতে পারে। এই ব্যবসার মাধ্যমে আপনি যে উপার্জিত অর্থ অ্রর্জন করবেন তা আপনার পরবর্তী জীবনে সঞ্চয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন অথবা আপনার পরবর্তী প্রজন্মের জন্য তা সহায়ক হিসেবে কাজ করে যাবে। যা আপনার জীবনের জন্যেও আগামী দিনের ভবিষ্যৎ এর অবলম্বন হিসেবে সহায়ক হিসেবে কাজে আসবে।
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায়
পেন এন্ড পেপার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url